গোলাম সারওয়ার শুধু সম্পাদক নন শিক্ষকও ছিলেন: -স্মরণসভায় বক্তারা
গোলাম
সারওয়ার ছিলেন নির্ভীক ও সৎ সাংবাদিকতার প্রতীক। তিনি সৃজনশীলতায় সকলকে
ছাড়িয়ে গেছেন। অন্যরা যা ভাবতো তিনি তা বাস্তাবায়ন করতেন। তিনি তরুণ
সাংবাদিকদের জন্য ছিলেন সবসময় অনুকরণীয়। গোলাম সারওয়ার পক্ষ-বিপক্ষ সকল
শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ছিলেন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। গতকাল রাজধানীর টাইমস
মিডিয়া ভবনে গোলাম সারওয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গোলাম সারওয়ার
নাগরিক পরিষদ’-এর উদ্যোগে স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। স্মরণসভায়
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সারওয়ার ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় ষাটের দশকে। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমরণ লড়াই করেছেন।
এখন এমন একটা সময় পার করছি যেখানে স্বাধীন সাংবাদিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত এসময় কাটিয়ে আবার স্বাধীন সাংবাদিকতা ফিরে আসবে সেটাই আশা করছি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শোকের মাসেই আমরা সারওয়ার ভাইকে হারিয়েছি। তার সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তিনি মাঠের লড়াইয়ে ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, গোলাম সারওয়ার ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় আমরা সম্পাদক পরিষদ গঠন করি। সারওয়ার ভাইকে একটা কাজ দিয়েই আমরা স্মরণ করতে পারি। আর তা হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা। আমি বিশ্বাস করি স্বাধীন সাংবাদিকতাই হচ্ছে সঠিক সাংবাদিকতা।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সারওয়ার ভাই সাংবাদিকতায় যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখন যে অনেক মিডিয়া তৈরি হয়েছে তাতে সারওয়ার ভাইয়ের অবদান রয়েছে। সারওয়ার ভাইকে তার কর্মের ও অবদানের জন্য আমরা মনে রাখবো।
সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গোলাম সারওয়ার ছিলেন একজন নির্ভীক সাংবাদিক। তিনি ছিলেন অকুতোভয়। নিরেট বঙ্গবন্ধুপ্রেমী। তিনি আগাগোড়া ছিলেন বাঙালি। তিনি তরুণ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন যারা আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত রয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমি গোলাম সারওয়ারের হাসিমুখ ছাড়া কখনো বিমর্ষ মুখ দেখিনি। তিনি আমার আত্মার মানুষ। তার সঙ্গে আমার ষাটের দশক থেকেই সম্পর্ক। সাংবাদিকতা, সংবাদে যে কৌশলী হতে হয় তাতে গোলাম সারওয়ারের তুলনা নেই। আর কথা হবে না, দেখা হবে না এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি কৌশলী ছিলেন, বিরোধী দলের নিউজ কিভাবে কাভার করতে হয় তা তিনি জানতেন। গোলাম সারওয়ারের মতো একজন উঁচুমানের সাংবাদিক আমাদের প্রয়োজন। সত্য যেন আমরা সাহসের সঙ্গে বলতে পারি। চোখের সামনে রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে যাবে, এই বেঁচে থাকায় কোনো আনন্দ নেই। অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করিনি। শারীরিকভাবে সারওয়ার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা না হলেও নীতিগতভাবে দেখা হবে সে বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমার পক্ষে কষ্টকর ব্যাপার সারওয়ার ভাইয়ের সম্পর্কে কথা বলা। তিনি আমাকে অত্যন্ত মায়া, স্নেহ করতেন। তিনি আমার পরমাত্মীয় ছিলেন। তিনি আমাকে দিকনির্দেশনা দিতেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার কথা আজও মনে পড়ে। সারওয়ার ভাই ছিলেন একজন হেমিলনের বংশীবাদক। তিনি যখন ইত্তেফাকে ছিলেন ইত্তেফাক হাতে নিয়েছি, যুগান্তরে যখন গেলেন তখন যুগান্তর হাতে নিয়েছি, সমকালে যখন গেলেন তখন হাতে নিলাম।
বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সরওয়ার ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল। তিনি আমাকে নানা উপদেশ দিতেন। তিনি আমাকে সাহস যুগিয়েছেন। প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, গোলাম সারওয়ার ছিলেন আমাদের বটবৃক্ষ, সাংবাদিকতার বাতিঘর। এখন প্রেস ক্লাব পরিচালনা করতে গিয়ে সারওয়ার ভাইয়ের অভাব অনুভব করছি।
সমকালের প্রকাশক ও এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সারওয়ার ভাই একজন পেশাজীবী সাংবাদিক ছিলেন। এ পেশায় যারা আছেন অনেক চ্যালেঞ্জ। এটা সব পেশা থেকে আলাদা। তাই আমি এটাকে সম্পূর্ণ আলাদা পেশা হিসেবে দেখি। সারওয়ার ভাই আমার পারিবারিক বন্ধু ও বড়ভাই ছিলেন। সারওয়ার ভাইয়ের মতো আদর্শ সাংবাদিক হতে হবে। এখন মানুষ সংবাদপত্র পড়তে চাচ্ছে না সে জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে।
সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, গোলাম সারওয়ার তার সংবাদিকতার ৫৪ বছরে ৫০০ এর অধিক সাংবাদিক তৈরি করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখে গেছেন। তার অবদানেই আজকের সমকাল পত্রিকা। বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, গোলাম সারওয়ার সম্পাদকের পাশাপাশি শিক্ষকও ছিলেন। আমি তাকে শিক্ষক মনে করি। গোলাম সারওয়ার ভাইয়ের স্মরণসভায় আজ একটাই কথা বলতে পারি তাকে যেন আমরা মনে করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমরা গোলাম সারওয়ারের বন্ধু হিসেবে বলতে পারি, একজন ভালো মানুষই একজন ভালো সম্পাদক হতে পারে। আর তিনি তাই ছিলেন। তিনি যে একজন ভালো বার্তা সম্পাদক ছিলেন তার তুলনা নেই। তিনি সম্পাদক হিসেবেও ছিলেন অতুলনীয়। তিনি কি সুন্দরভাবে সংবাদ সাজাতেন তা তার পত্রিকায় দেখছি আমরা। তিনি অল্প কয়েক শব্দে কত সুন্দর নিউজ দিতেন। তিনি ছিলেন সংবাদপত্রে সৃজনশীলতার উৎকর্ষ। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা দেখিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, গোলাম সারওয়ার বহমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি সবক্ষেত্রেই ছিলেন অবিস্মরণীয়। সরওয়ার ভাই আপাদমস্তক একজন ভদ্র মানুষ ছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, আমি দুটি কারণে সারওয়ার ভাইয়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মঞ্চ কালো কাপড়ে মোড়ানো এটা তার সঙ্গে যায় না, তিনি উজ্জ্বল রঙ পছন্দ করতেন। এছাড়া ১ মিনিট নীরবতা পালন করা এটাও তার সঙ্গে যায় না। গণমাধ্যমে নীতিনৈতিকতায় সারওয়ার ভাইয়ের সমকক্ষ কেউ নেই। স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার প্রিয় ছাত্র ছিলেন গোলাম সারওয়ার। তার সঙ্গে আমার ষাটের দশকেই পরিচয়। সারওয়ারের সঙ্গে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ছিল শেষ পর্যন্ত অক্ষুণ্ন। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সারওয়ার ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় ষাটের দশকে। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমরণ লড়াই করেছেন।
এখন এমন একটা সময় পার করছি যেখানে স্বাধীন সাংবাদিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত এসময় কাটিয়ে আবার স্বাধীন সাংবাদিকতা ফিরে আসবে সেটাই আশা করছি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শোকের মাসেই আমরা সারওয়ার ভাইকে হারিয়েছি। তার সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তিনি মাঠের লড়াইয়ে ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, গোলাম সারওয়ার ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় আমরা সম্পাদক পরিষদ গঠন করি। সারওয়ার ভাইকে একটা কাজ দিয়েই আমরা স্মরণ করতে পারি। আর তা হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা। আমি বিশ্বাস করি স্বাধীন সাংবাদিকতাই হচ্ছে সঠিক সাংবাদিকতা।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সারওয়ার ভাই সাংবাদিকতায় যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখন যে অনেক মিডিয়া তৈরি হয়েছে তাতে সারওয়ার ভাইয়ের অবদান রয়েছে। সারওয়ার ভাইকে তার কর্মের ও অবদানের জন্য আমরা মনে রাখবো।
সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গোলাম সারওয়ার ছিলেন একজন নির্ভীক সাংবাদিক। তিনি ছিলেন অকুতোভয়। নিরেট বঙ্গবন্ধুপ্রেমী। তিনি আগাগোড়া ছিলেন বাঙালি। তিনি তরুণ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন যারা আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত রয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমি গোলাম সারওয়ারের হাসিমুখ ছাড়া কখনো বিমর্ষ মুখ দেখিনি। তিনি আমার আত্মার মানুষ। তার সঙ্গে আমার ষাটের দশক থেকেই সম্পর্ক। সাংবাদিকতা, সংবাদে যে কৌশলী হতে হয় তাতে গোলাম সারওয়ারের তুলনা নেই। আর কথা হবে না, দেখা হবে না এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি কৌশলী ছিলেন, বিরোধী দলের নিউজ কিভাবে কাভার করতে হয় তা তিনি জানতেন। গোলাম সারওয়ারের মতো একজন উঁচুমানের সাংবাদিক আমাদের প্রয়োজন। সত্য যেন আমরা সাহসের সঙ্গে বলতে পারি। চোখের সামনে রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে যাবে, এই বেঁচে থাকায় কোনো আনন্দ নেই। অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করিনি। শারীরিকভাবে সারওয়ার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা না হলেও নীতিগতভাবে দেখা হবে সে বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমার পক্ষে কষ্টকর ব্যাপার সারওয়ার ভাইয়ের সম্পর্কে কথা বলা। তিনি আমাকে অত্যন্ত মায়া, স্নেহ করতেন। তিনি আমার পরমাত্মীয় ছিলেন। তিনি আমাকে দিকনির্দেশনা দিতেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার কথা আজও মনে পড়ে। সারওয়ার ভাই ছিলেন একজন হেমিলনের বংশীবাদক। তিনি যখন ইত্তেফাকে ছিলেন ইত্তেফাক হাতে নিয়েছি, যুগান্তরে যখন গেলেন তখন যুগান্তর হাতে নিয়েছি, সমকালে যখন গেলেন তখন হাতে নিলাম।
বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সরওয়ার ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল। তিনি আমাকে নানা উপদেশ দিতেন। তিনি আমাকে সাহস যুগিয়েছেন। প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, গোলাম সারওয়ার ছিলেন আমাদের বটবৃক্ষ, সাংবাদিকতার বাতিঘর। এখন প্রেস ক্লাব পরিচালনা করতে গিয়ে সারওয়ার ভাইয়ের অভাব অনুভব করছি।
সমকালের প্রকাশক ও এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সারওয়ার ভাই একজন পেশাজীবী সাংবাদিক ছিলেন। এ পেশায় যারা আছেন অনেক চ্যালেঞ্জ। এটা সব পেশা থেকে আলাদা। তাই আমি এটাকে সম্পূর্ণ আলাদা পেশা হিসেবে দেখি। সারওয়ার ভাই আমার পারিবারিক বন্ধু ও বড়ভাই ছিলেন। সারওয়ার ভাইয়ের মতো আদর্শ সাংবাদিক হতে হবে। এখন মানুষ সংবাদপত্র পড়তে চাচ্ছে না সে জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে।
সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, গোলাম সারওয়ার তার সংবাদিকতার ৫৪ বছরে ৫০০ এর অধিক সাংবাদিক তৈরি করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখে গেছেন। তার অবদানেই আজকের সমকাল পত্রিকা। বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, গোলাম সারওয়ার সম্পাদকের পাশাপাশি শিক্ষকও ছিলেন। আমি তাকে শিক্ষক মনে করি। গোলাম সারওয়ার ভাইয়ের স্মরণসভায় আজ একটাই কথা বলতে পারি তাকে যেন আমরা মনে করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমরা গোলাম সারওয়ারের বন্ধু হিসেবে বলতে পারি, একজন ভালো মানুষই একজন ভালো সম্পাদক হতে পারে। আর তিনি তাই ছিলেন। তিনি যে একজন ভালো বার্তা সম্পাদক ছিলেন তার তুলনা নেই। তিনি সম্পাদক হিসেবেও ছিলেন অতুলনীয়। তিনি কি সুন্দরভাবে সংবাদ সাজাতেন তা তার পত্রিকায় দেখছি আমরা। তিনি অল্প কয়েক শব্দে কত সুন্দর নিউজ দিতেন। তিনি ছিলেন সংবাদপত্রে সৃজনশীলতার উৎকর্ষ। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা দেখিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, গোলাম সারওয়ার বহমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি সবক্ষেত্রেই ছিলেন অবিস্মরণীয়। সরওয়ার ভাই আপাদমস্তক একজন ভদ্র মানুষ ছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, আমি দুটি কারণে সারওয়ার ভাইয়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মঞ্চ কালো কাপড়ে মোড়ানো এটা তার সঙ্গে যায় না, তিনি উজ্জ্বল রঙ পছন্দ করতেন। এছাড়া ১ মিনিট নীরবতা পালন করা এটাও তার সঙ্গে যায় না। গণমাধ্যমে নীতিনৈতিকতায় সারওয়ার ভাইয়ের সমকক্ষ কেউ নেই। স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার প্রিয় ছাত্র ছিলেন গোলাম সারওয়ার। তার সঙ্গে আমার ষাটের দশকেই পরিচয়। সারওয়ারের সঙ্গে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ছিল শেষ পর্যন্ত অক্ষুণ্ন। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
No comments