কাতারের সঙ্গে প্রথমবারের মতো জাহাজ চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে ইরান
কাতারের
সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে প্রথমবারের মতো
জাহাজ চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে তেহরান। ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহরের শীর্ষ
জাহাজ চলাচল বিষয়ক কর্মকর্তা সিয়াভোশ আর্জমান্দযাদে এ খবর জানিয়ে বলেছেন, ‘গ্র্যান্ড ফেরি’ নামক একটি জাহাজ কাতারের হামাদ বন্দর ও
ইরানের বুশেহর বন্দরের মধ্যে চলাচল করবে।
তিনি বলেন, ইরান থেকে কাতারে নানা ধরনের পন্য বিশেষ করে হিমায়িত খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ করবে এই জাহাজ। ইরানের এই কর্মকর্তা বলেন, আকাশপথে পন্য পরিবহনের উচ্চ মূল্যের কথা বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং এর ফলে ইরান ও কাতারের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়াদিগন্তের সূচনা হবে।
তিনি বলেন, ইরান থেকে কাতারে নানা ধরনের পন্য বিশেষ করে হিমায়িত খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ করবে এই জাহাজ। ইরানের এই কর্মকর্তা বলেন, আকাশপথে পন্য পরিবহনের উচ্চ মূল্যের কথা বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং এর ফলে ইরান ও কাতারের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়াদিগন্তের সূচনা হবে।
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর বন্দরে নোঙর করা জাহাজ 'গ্র্যান্ড ফেরি' (সাম্প্রতিক ছবি) |
ইরানের
‘কারানে লাইন্স’ কোম্পানির জাহাজ ‘গ্র্যান্ড ফেরি’ একসঙ্গে ১,৬০০ যাত্রী
এবং কন্টেইনার আকারে ২,০০০ টন পন্য পরিবহন করতে পারে। জাহাজটি চালু হলে
দু’দেশের মধ্যে পন্য পরিবহনের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ
হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের জুন মাসে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েকদিনের মধ্যে ২৭ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত কাতারে খাদ্যদ্রব্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়। পারস্য উপসাগর তীরবর্তী এই ছোট দেশটির প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
চার আরব দেশের নিষেধাজ্ঞার মুখে কাতারকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায় ইরান। তেহরান থেকে আকাশপথে ব্যাপকভাবে খাদ্যদ্রব্যের চালান পাঠানো হলে কাতারের জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তখন থেকে গত দুই বছরেরও বেশি সময় আকাশপথে ইরান থেকে পন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এবার সাগরপথে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু হলে দু’দেশই উপকৃত হবে বলে তেহরান ও দোহা আশা করছে।
২০১৭ সালের জুন মাসে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েকদিনের মধ্যে ২৭ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত কাতারে খাদ্যদ্রব্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়। পারস্য উপসাগর তীরবর্তী এই ছোট দেশটির প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
চার আরব দেশের নিষেধাজ্ঞার মুখে কাতারকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায় ইরান। তেহরান থেকে আকাশপথে ব্যাপকভাবে খাদ্যদ্রব্যের চালান পাঠানো হলে কাতারের জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তখন থেকে গত দুই বছরেরও বেশি সময় আকাশপথে ইরান থেকে পন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এবার সাগরপথে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু হলে দু’দেশই উপকৃত হবে বলে তেহরান ও দোহা আশা করছে।
গ্রান্ড ফেরি চালু করতে যাচ্ছে কারানে লাইন্স কোম্পানি |
No comments