পার্লামেন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেনি আদালত
পাঁচ
সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস
জনসন। তার ঘোষণার বাস্তবায়ন ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীরা।
অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের মাধ্যমে জনসনকে পার্লামেন্ট স্থগিত করা থেকে
রুখতে আবেদন করেছিল স্কটল্যান্ডের আদালতে। কিন্তু বরিস জনসনের পরিকল্পনা
অনুযায়ী পার্লামেন্ট সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদন ওই আদালত
খারিজ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক জরুরি শুনানি শেষে বিচারক জানান, এ
বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার সম্পূর্ণ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ খবর দিয়েছে দ্য
গার্ডিয়ান।
আবেদনকারীদের দাবি ছিল, জনসন অবৈধভাবে ও সংবিধান লঙ্ঘন করে পার্লামেন্ট বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত রায় দেবেন না বলে জানান স্কটল্যান্ড আদালতের বিচারক লর্ড ডহেরটি। এক জরুরি শুনানি শেষে জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রানীর কাছে পার্লামেন্ট স্থগিতের অনুমতি চাওয়ার ক্ষমতা জনসনের আছে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবেন না আজ তিনি।
তিনি বলেন, এই পর্যায়ে এসে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বা নির্দেশ অনুমোদনের দাবিতে আমি সন্তুষ্ট নই।
আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করছি। ভারসাম্যতার কথা বিবেচনায় আদালতের ইচ্ছা হচ্ছে, এই আবেদন নিয়ে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা।
স্কটল্যান্ড ছাড়া বেলফাস্ট ও লন্ডনেও সরকারের পার্লামেন্ট বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। সরকারি এক মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, আমরা যেমনটা বলেছি, সরকারের একটি শক্তিশালী দেশীয় বিধানিক এজেন্ডা নিয়ে আসা উচিত। আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আমাদের বিচ্ছেদ নিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে সংসদ সদস্যদের বাধা দেয়া হয়নি। আমরা খুশি যে, আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য মনে করেনি। আদতে এ রকম আবেদনের কোনো যথাযথ কারণ নেই। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে পূর্ণ শুনানি হবে। আর পার্লামেন্টের স্থগিতাবস্থা শুরু হবে ৯ই সেপ্টেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য, প্রতি অধিবেশন শেষেই পার্লামেন্ট কয়েকদিনের জন্য স্থগিত থাকার রেওয়াজ রয়েছে বৃটেনে। তবে অন্যবারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি সময়ের জন্য পার্লামেন্ট বন্ধ রাখতে চাইছে জনসন সরকার। তাও এমন সময়ে যখন ইইউ থেকে বৃটেনের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিটের সময় এগিয়ে আসছে। বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে আছেন বৃটিশ সংসদ সদস্যরা। ৩রা সেপ্টেম্বর তাদের পার্লামেন্টে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। আর জনসন ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে পার্লামেন্ট বন্ধ করতে চাইছেন। তার ঘোষণা অনুসারে, ১৩ই অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্ট বন্ধ থাকবে। ১৪ই অক্টোবর রাণীর ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন অধিবেশনের। সেদিন তার সরকার ‘অত্যন্ত চমৎকার একটি এজেন্ডা’ প্রকাশ করবে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের লক্ষে পার্লামেন্ট বন্ধ করছে সরকার। যাতে করে ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কের পর্যাপ্ত সময় না পায় সংসদ সদস্যরা। পাশাপাশি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে কোনো বিল পাসের জন্য প্রয়োজনীয় সময় না পায়। উল্লেখ্য, ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। আর এখনো ইইউ’র সঙ্গে কোনো চূড়ান্ত চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে বৃটেন সরকার। বৃটিশ পার্লামেন্ট এখনো কোনো চুক্তিতে একমত হতে পারেনি।
বিরোধীদল লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ইয়ান মুরে স্কটল্যান্ড আদালতের রায় নিয়ে বলেন, রায় অনুসারে, আগামী সপ্তাহে পূর্ণ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এটা আধুনিক বৃটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহ এখন। এটা খুবই হতাশাজনক যে, বৃটিশ গণতন্ত্র রক্ষা করতে আমাদের আদালতে যেতে হচ্ছে। কিন্তু বরিস জনসন জনপ্রতিনিধিদের চুপ করিয়ে দেয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তার মোকাবিলা না করে থাকা যায় না। আদালতে এই আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সেও ব্রেক্সিট-বিরোধী প্রচারণা জারি রাখবো আমরা।
উল্লেখ্য, পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন জনসন। বিরোধী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ তার নিজ দলেও সিদ্ধান্তটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়েছে। উঠেছে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাবও।
আবেদনকারীদের দাবি ছিল, জনসন অবৈধভাবে ও সংবিধান লঙ্ঘন করে পার্লামেন্ট বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত রায় দেবেন না বলে জানান স্কটল্যান্ড আদালতের বিচারক লর্ড ডহেরটি। এক জরুরি শুনানি শেষে জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রানীর কাছে পার্লামেন্ট স্থগিতের অনুমতি চাওয়ার ক্ষমতা জনসনের আছে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবেন না আজ তিনি।
তিনি বলেন, এই পর্যায়ে এসে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বা নির্দেশ অনুমোদনের দাবিতে আমি সন্তুষ্ট নই।
আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করছি। ভারসাম্যতার কথা বিবেচনায় আদালতের ইচ্ছা হচ্ছে, এই আবেদন নিয়ে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা।
স্কটল্যান্ড ছাড়া বেলফাস্ট ও লন্ডনেও সরকারের পার্লামেন্ট বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। সরকারি এক মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, আমরা যেমনটা বলেছি, সরকারের একটি শক্তিশালী দেশীয় বিধানিক এজেন্ডা নিয়ে আসা উচিত। আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আমাদের বিচ্ছেদ নিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে সংসদ সদস্যদের বাধা দেয়া হয়নি। আমরা খুশি যে, আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য মনে করেনি। আদতে এ রকম আবেদনের কোনো যথাযথ কারণ নেই। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে পূর্ণ শুনানি হবে। আর পার্লামেন্টের স্থগিতাবস্থা শুরু হবে ৯ই সেপ্টেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য, প্রতি অধিবেশন শেষেই পার্লামেন্ট কয়েকদিনের জন্য স্থগিত থাকার রেওয়াজ রয়েছে বৃটেনে। তবে অন্যবারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি সময়ের জন্য পার্লামেন্ট বন্ধ রাখতে চাইছে জনসন সরকার। তাও এমন সময়ে যখন ইইউ থেকে বৃটেনের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিটের সময় এগিয়ে আসছে। বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে আছেন বৃটিশ সংসদ সদস্যরা। ৩রা সেপ্টেম্বর তাদের পার্লামেন্টে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। আর জনসন ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে পার্লামেন্ট বন্ধ করতে চাইছেন। তার ঘোষণা অনুসারে, ১৩ই অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্ট বন্ধ থাকবে। ১৪ই অক্টোবর রাণীর ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন অধিবেশনের। সেদিন তার সরকার ‘অত্যন্ত চমৎকার একটি এজেন্ডা’ প্রকাশ করবে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের লক্ষে পার্লামেন্ট বন্ধ করছে সরকার। যাতে করে ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কের পর্যাপ্ত সময় না পায় সংসদ সদস্যরা। পাশাপাশি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে কোনো বিল পাসের জন্য প্রয়োজনীয় সময় না পায়। উল্লেখ্য, ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। আর এখনো ইইউ’র সঙ্গে কোনো চূড়ান্ত চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে বৃটেন সরকার। বৃটিশ পার্লামেন্ট এখনো কোনো চুক্তিতে একমত হতে পারেনি।
বিরোধীদল লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ইয়ান মুরে স্কটল্যান্ড আদালতের রায় নিয়ে বলেন, রায় অনুসারে, আগামী সপ্তাহে পূর্ণ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এটা আধুনিক বৃটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহ এখন। এটা খুবই হতাশাজনক যে, বৃটিশ গণতন্ত্র রক্ষা করতে আমাদের আদালতে যেতে হচ্ছে। কিন্তু বরিস জনসন জনপ্রতিনিধিদের চুপ করিয়ে দেয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তার মোকাবিলা না করে থাকা যায় না। আদালতে এই আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সেও ব্রেক্সিট-বিরোধী প্রচারণা জারি রাখবো আমরা।
উল্লেখ্য, পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন জনসন। বিরোধী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ তার নিজ দলেও সিদ্ধান্তটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়েছে। উঠেছে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাবও।
No comments