সাইবার অপরাধীদের থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষাকরণ by সজীব ওয়াজেদ
দ্রুততার
সঙ্গে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। নাগরিকদের ডাটা ও গোপনীয়তা
রক্ষা করতে, ডিজিটাল মাধ্যমে ভুয়া প্রকাশনা- যা সহিংসতা উস্কে দেয় তা থেকে
রক্ষাকবচ হিসেবে গত বছর জাতীয় সংসদ পাস করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এমন
অবস্থা সরাবিশ্বে কার্যকর করা হয়েছে।
দুর্ভাগ্যবশত, পশ্চিমা মুষ্টিমেয় কিছু মিডিয়া আউটলেট ও বেসরকারি গ্রুপ এই গুরুত্বপূর্ণ আইনকে ভুলভাবে তুলে ধরেছে এবং সরকারকে অভিযুক্ত করেছে এই বলে যে, সরকার এই আইনকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকারকে দমিয়ে রাখতে ব্যবহার করছে।
এটা সত্য নয়। বাংলাদেশে রয়েছে সমৃদ্ধ, মুক্ত প্রেস মিডিয়া। এখানে রয়েছে ৯টি জাতীয় পত্রিকা ও তিন শতাধিক স্থানীয় পত্রিকা। দৃষ্টিভঙ্গির যে বিস্তৃতি তারই প্রতিনিধিত্ব করে এসব। এসব পত্রিকার অনেকেই সরকারের সমালোচক।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র ‘নেটওয়ার্ক’ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রিপোর্ট করে। কিন্তু প্রায় ৩০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন নেটওয়ার্ক নিয়মিত সরকার, রাজনীতিক ও তাদের নীতির সমালোচনা করে খবর প্রকাশ করে। একই রকম দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র দেখা যাবে ২২০টিরও বেশি নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত সংবাদভিত্তিক অনলাইনে।
এসব আউটলেটকে দমনের চেষ্টার পরিবর্তে, সংখ্যালঘুদের কণ্ঠকে যেন শোনা হয়, সাইবার অপরাধীদের কবল থেকে যেন প্রতিজন বাংলাদেশী সুরক্ষিত থাকেন, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কিন্তু যেহেতু ডিজিটাল মিডিয়া ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির বিকাশ অব্যাহত আছে, তাই নিয়ন্ত্রণ কাঠামোও বৃদ্ধি পাবে। অন্য যেকোনো আইনের মতোই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একেবারে নিখুঁত নয়।
স্বাধীনতার চ্যালেঞ্জ আছে। গণতন্ত্রেও আছে দুর্বলতা ( ডেমোক্রেসি ইজ মেসি)। বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র উভয়ই পেয়েছে। নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে এই দুটি বিষয়কে সুরক্ষিত রাখতে উদ্বুদ্ধ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই দুটি বিষয়ের ‘কম্বিনেশন’ সাধারণ নয় অথবা এর ভারসাম্য রক্ষা করা সহজ নয়।
কর্তৃপক্ষ অতি যত্ন সহকারে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের বিষয়ে কাজ করছে। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু ক্রমবর্ধমান পীড়া দেখা দিয়েছে। অনেক সংবাদভিত্তিক আউটলেট রিপোর্ট করেছে, এই আইনের অধীনে অনেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিবাদীরা এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ আইনের অধীনে আদালত কাউকেই অভিযুক্ত করে নি, এটা খারাপ কিছু নয়।
এই আইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। তারপর এ আইন নিয়ে জাতীয় সংসদে, মিডিয়ায় এবং আইনী ক্ষেত্রগুলোতে বিতর্ক হয়েছে। সাংবাদিকরা, সম্পাদকরা, এমন কি সম্পাদকদের পরিষদ মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন, যা খসড়া চূড়ান্ত করতে সহায়তা করেছে। ফলাফলটা হলো একটি সমঝোতা ও বোঝাপড়া। তা হলো, যেহেতু নতুন নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাব হচ্ছে এবং যেহেতু কর্তৃপক্ষ তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে, তাই আইনটি পরিবর্তন করতে হবে।
কিন্তু আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। ডিজিটাল চাঁদাবাজি, ব্লাকমেইল, সাইবার গুন্ডামি থেকে নাগরিকদের অবশ্যই সুরক্ষা করতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের কণ্ঠকে শোনা হচ্ছে এটা নিশ্চিত করতে হবে। ওই আইনের একটি অংশে এমন বক্তব্যকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। এর অর্থ হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় উভয়ের অধিকার ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখা। ক্ষমতাহীনদের প্রতি ভীতি প্রদর্শনের জন্য তথ্য প্রচারকে শাস্তির আওতায় এনে এই আইনে সংখ্যালঘুদের রক্ষাকবচ হিসেবে রয়েছে কিছু সেকশন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গণহত্যা চালানো হয়েছিল। তাতে যে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হন তাদের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হলো এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। জার্মানি ও ইউরোপের অন্য ১৫টি দেশের মতোই মানবতার বিরুদ্ধে ওইসব অপরাধের বিষয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রচারকে নিষিদ্ধ করেছে এই আইন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সতর্কতা প্রয়োজন। এখানে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি মানুষ মুসলিম। বাকিরা হিন্দু। দৃশ্যমান নির্দোষ, তবে ভুয়া খবরে নাটকীয়তা ও ভয়াবহতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ফেসবুকের একটি সাম্প্রতিক পোস্টের কথা বলা যায়। তাতে দেখা যায় ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মসজিদ মক্কার ভিতরে হিন্দুদের একটি দেবতার ‘ফোনি ইমেজ’। এর জবাবে ঢাকার উত্তর-পূব দিকে নরসিংদিতে কট্টর ইসলামপন্থিরা হিন্দুদের ১৫টি মন্দির ও ১০০ ঘর ভাঙচুর করে। কিন্তু ওই ছবি যে ফটোশপে তৈরি করা হয়েছে এটা পরিষ্কার হলেও এক্ষেত্রে তা কোনো ব্যাপার ছিল না।
এমন আচরণকে অনুৎসাহিত করতে চাইছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সমালোচকরা যুক্তি দিচ্ছেন যে, এর ভাষা খুব বেশি বিস্তৃত ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে বড় আকারে সীমাবদ্ধ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা পরিষ্কার করেছেন যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হলো একটি ভিত্তি। কিন্তু মিডিয়াকেও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই সত্য অনুসন্ধান করতে হবে। সত্য অনুসরণ করতে হবে। জননিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
যখন প্রেসের সদস্যরা আইন লঙ্ঘন করেন, তখন তারা তাদের পেশার কারণে বিচার থেকে দায়মুক্তি আশা করতে পারেন না। প্রেস যখন জেনেশুনে মিথ্য তথ্য প্রচার করে, যাতে ক্ষতি হয়, তখন তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে।
স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার মধ্যে সতর্কতার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এটা কি একেবারে নিখুঁত? না। এটি বিকশিত হবে। আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ।
>>>(সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। দ্য ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত তার লেখার অনুবাদ)
দুর্ভাগ্যবশত, পশ্চিমা মুষ্টিমেয় কিছু মিডিয়া আউটলেট ও বেসরকারি গ্রুপ এই গুরুত্বপূর্ণ আইনকে ভুলভাবে তুলে ধরেছে এবং সরকারকে অভিযুক্ত করেছে এই বলে যে, সরকার এই আইনকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকারকে দমিয়ে রাখতে ব্যবহার করছে।
এটা সত্য নয়। বাংলাদেশে রয়েছে সমৃদ্ধ, মুক্ত প্রেস মিডিয়া। এখানে রয়েছে ৯টি জাতীয় পত্রিকা ও তিন শতাধিক স্থানীয় পত্রিকা। দৃষ্টিভঙ্গির যে বিস্তৃতি তারই প্রতিনিধিত্ব করে এসব। এসব পত্রিকার অনেকেই সরকারের সমালোচক।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র ‘নেটওয়ার্ক’ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রিপোর্ট করে। কিন্তু প্রায় ৩০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন নেটওয়ার্ক নিয়মিত সরকার, রাজনীতিক ও তাদের নীতির সমালোচনা করে খবর প্রকাশ করে। একই রকম দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র দেখা যাবে ২২০টিরও বেশি নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত সংবাদভিত্তিক অনলাইনে।
এসব আউটলেটকে দমনের চেষ্টার পরিবর্তে, সংখ্যালঘুদের কণ্ঠকে যেন শোনা হয়, সাইবার অপরাধীদের কবল থেকে যেন প্রতিজন বাংলাদেশী সুরক্ষিত থাকেন, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কিন্তু যেহেতু ডিজিটাল মিডিয়া ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির বিকাশ অব্যাহত আছে, তাই নিয়ন্ত্রণ কাঠামোও বৃদ্ধি পাবে। অন্য যেকোনো আইনের মতোই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একেবারে নিখুঁত নয়।
স্বাধীনতার চ্যালেঞ্জ আছে। গণতন্ত্রেও আছে দুর্বলতা ( ডেমোক্রেসি ইজ মেসি)। বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র উভয়ই পেয়েছে। নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে এই দুটি বিষয়কে সুরক্ষিত রাখতে উদ্বুদ্ধ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই দুটি বিষয়ের ‘কম্বিনেশন’ সাধারণ নয় অথবা এর ভারসাম্য রক্ষা করা সহজ নয়।
কর্তৃপক্ষ অতি যত্ন সহকারে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের বিষয়ে কাজ করছে। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু ক্রমবর্ধমান পীড়া দেখা দিয়েছে। অনেক সংবাদভিত্তিক আউটলেট রিপোর্ট করেছে, এই আইনের অধীনে অনেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিবাদীরা এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ আইনের অধীনে আদালত কাউকেই অভিযুক্ত করে নি, এটা খারাপ কিছু নয়।
এই আইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। তারপর এ আইন নিয়ে জাতীয় সংসদে, মিডিয়ায় এবং আইনী ক্ষেত্রগুলোতে বিতর্ক হয়েছে। সাংবাদিকরা, সম্পাদকরা, এমন কি সম্পাদকদের পরিষদ মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন, যা খসড়া চূড়ান্ত করতে সহায়তা করেছে। ফলাফলটা হলো একটি সমঝোতা ও বোঝাপড়া। তা হলো, যেহেতু নতুন নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাব হচ্ছে এবং যেহেতু কর্তৃপক্ষ তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে, তাই আইনটি পরিবর্তন করতে হবে।
কিন্তু আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। ডিজিটাল চাঁদাবাজি, ব্লাকমেইল, সাইবার গুন্ডামি থেকে নাগরিকদের অবশ্যই সুরক্ষা করতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের কণ্ঠকে শোনা হচ্ছে এটা নিশ্চিত করতে হবে। ওই আইনের একটি অংশে এমন বক্তব্যকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। এর অর্থ হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় উভয়ের অধিকার ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখা। ক্ষমতাহীনদের প্রতি ভীতি প্রদর্শনের জন্য তথ্য প্রচারকে শাস্তির আওতায় এনে এই আইনে সংখ্যালঘুদের রক্ষাকবচ হিসেবে রয়েছে কিছু সেকশন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গণহত্যা চালানো হয়েছিল। তাতে যে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হন তাদের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হলো এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। জার্মানি ও ইউরোপের অন্য ১৫টি দেশের মতোই মানবতার বিরুদ্ধে ওইসব অপরাধের বিষয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রচারকে নিষিদ্ধ করেছে এই আইন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সতর্কতা প্রয়োজন। এখানে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি মানুষ মুসলিম। বাকিরা হিন্দু। দৃশ্যমান নির্দোষ, তবে ভুয়া খবরে নাটকীয়তা ও ভয়াবহতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ফেসবুকের একটি সাম্প্রতিক পোস্টের কথা বলা যায়। তাতে দেখা যায় ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মসজিদ মক্কার ভিতরে হিন্দুদের একটি দেবতার ‘ফোনি ইমেজ’। এর জবাবে ঢাকার উত্তর-পূব দিকে নরসিংদিতে কট্টর ইসলামপন্থিরা হিন্দুদের ১৫টি মন্দির ও ১০০ ঘর ভাঙচুর করে। কিন্তু ওই ছবি যে ফটোশপে তৈরি করা হয়েছে এটা পরিষ্কার হলেও এক্ষেত্রে তা কোনো ব্যাপার ছিল না।
এমন আচরণকে অনুৎসাহিত করতে চাইছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সমালোচকরা যুক্তি দিচ্ছেন যে, এর ভাষা খুব বেশি বিস্তৃত ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে বড় আকারে সীমাবদ্ধ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা পরিষ্কার করেছেন যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হলো একটি ভিত্তি। কিন্তু মিডিয়াকেও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই সত্য অনুসন্ধান করতে হবে। সত্য অনুসরণ করতে হবে। জননিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
যখন প্রেসের সদস্যরা আইন লঙ্ঘন করেন, তখন তারা তাদের পেশার কারণে বিচার থেকে দায়মুক্তি আশা করতে পারেন না। প্রেস যখন জেনেশুনে মিথ্য তথ্য প্রচার করে, যাতে ক্ষতি হয়, তখন তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে।
স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার মধ্যে সতর্কতার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এটা কি একেবারে নিখুঁত? না। এটি বিকশিত হবে। আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ।
>>>(সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। দ্য ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত তার লেখার অনুবাদ)
No comments