স্বাধীন কূটনীতি ভারতকে আন্তর্জাতিক স্ট্যাটাস অর্জনে সাহায্য করতে পারে by শু হায়লিন
ফ্রান্সে
জি৭ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে
আমন্ত্রণ জানিয়েছে ফ্রান্স। ফলে মোদি সেখানে একটা প্রদর্শনীর আদর্শ সুযোগ
পেয়েছেন। মে মাসের সাধারণ নির্বাচনে জয়ের পর মোদি নিজের রাজনৈতিক
দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের একটা অবাধ সুযোগ পেয়ে গেছেন। এর মধ্যে নয়াদিল্লীর
একটা আন্তর্জাতিক মর্যাদা তৈরির বিষয়টিও রয়েছে।
দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন মোদিকে এই আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অনুসারে ২০১৯ সালে জার্মানির পরে বিশ্বের ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে এবং তাদের জিডিপির আকার অনুমান করা হচ্ছে ৩,০০০ বিলিয়ন ডলার।
আমরা দেখছি যে পশ্চিমা সম্প্রদায় ভারতকে ক্রমেই বেশি করে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ১০ জুন বলেছেন যে, ভারত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এখন মোদিকে জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হলো।
তবে, পশ্চিমাদের ভারতকে গুরুত্ব দেয়ার অন্যতম কারণ হলো ভারতকে ব্যবহার করে চীনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা।
আন্তর্জাতিক স্ট্যাটাস বাড়ানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে মোদি প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে ভারসাম্য তৈরিতে নিশ্চিত ভূমিকা রাখতে পারে, কিন্তু তাদের এ বিষয়টি এড়িয়ে গেলে চলবে না যে, চীনে রফতানি থেকে তারা বড় ধরনের উপকৃত হচ্ছে এবং ২০১৮ সালের জুন-নভেম্বরে চীনে তাদের রফতানি ৩২ শতাংশ বেড়ে ৮.৪৬ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালে একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ৬.৩৭ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীন এশিয়ান দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য অংশীদার, যেটা কোনভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই। ভারতের জন্যও এটা সত্য। মনে হচ্ছে নয়াদিল্লীকে বিকল্প কৌশলগত সুযোগ দেয়া হয়েছে, কিন্তু মোদি প্রশাসনের জন্য এটা পদক্ষেপ নেয়াটা আরও কঠিন।
মোদি প্রশাসন একই সাথে আঞ্চলিক পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল করার চ্যালেঞ্জের মধ্যেও রয়েছে। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কথাই ধরুন। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের জন্য মোদি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটা দুধারি তলোয়ারের মতো আচরণ করবে।
এই পদক্ষেপের কারণে মোদির ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী নীতির উপকার হবে এবং হিন্দুদের মধ্যে তিনি জনপ্রিয় হবেন, কিন্তু একইসাথে এটা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তার বিরোধিতা আরও তীব্র হবে।
আন্তর্জাতিকভাবে এই পদক্ষেপ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনিশ্চয়তা বহু বাড়িয়ে দেবে, যেটা আন্তর্জাতিক স্ট্যাটাস অর্জনের পথে ভারতের জন্য শুভ হবে না। দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশ – যাদেরকে ভারত ‘ছোট ভাই’ জ্ঞান করে – তারা হয়তো ভারতের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
এ-ই যখন পরিস্থিতি, তখন মোদির জন্য আরও সমন্বিত পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করাটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনা প্রশমন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে তাদের। আর আঞ্চলিক পরাশক্তির দায়দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা এখানেই।
আঞ্চলিক ইস্যুতে গঠনমূলক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে ভারতকে সহায়তা করছে চীন। যদিও চীনকে মোকাবেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলের সাথে যুক্ত হয়েছে ভারত।
বেইজিং বিশ্বাস করে যে, নয়াদিল্লী একটা স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করবে, কারণ একমাত্র এ পথেই ভারত আঞ্চলিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে, যদিও বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে এ কাজটা অত সহজ নয়।
দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন মোদিকে এই আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অনুসারে ২০১৯ সালে জার্মানির পরে বিশ্বের ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে এবং তাদের জিডিপির আকার অনুমান করা হচ্ছে ৩,০০০ বিলিয়ন ডলার।
আমরা দেখছি যে পশ্চিমা সম্প্রদায় ভারতকে ক্রমেই বেশি করে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ১০ জুন বলেছেন যে, ভারত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এখন মোদিকে জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হলো।
তবে, পশ্চিমাদের ভারতকে গুরুত্ব দেয়ার অন্যতম কারণ হলো ভারতকে ব্যবহার করে চীনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা।
আন্তর্জাতিক স্ট্যাটাস বাড়ানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে মোদি প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে ভারসাম্য তৈরিতে নিশ্চিত ভূমিকা রাখতে পারে, কিন্তু তাদের এ বিষয়টি এড়িয়ে গেলে চলবে না যে, চীনে রফতানি থেকে তারা বড় ধরনের উপকৃত হচ্ছে এবং ২০১৮ সালের জুন-নভেম্বরে চীনে তাদের রফতানি ৩২ শতাংশ বেড়ে ৮.৪৬ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালে একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ৬.৩৭ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীন এশিয়ান দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য অংশীদার, যেটা কোনভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই। ভারতের জন্যও এটা সত্য। মনে হচ্ছে নয়াদিল্লীকে বিকল্প কৌশলগত সুযোগ দেয়া হয়েছে, কিন্তু মোদি প্রশাসনের জন্য এটা পদক্ষেপ নেয়াটা আরও কঠিন।
মোদি প্রশাসন একই সাথে আঞ্চলিক পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল করার চ্যালেঞ্জের মধ্যেও রয়েছে। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কথাই ধরুন। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের জন্য মোদি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটা দুধারি তলোয়ারের মতো আচরণ করবে।
এই পদক্ষেপের কারণে মোদির ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী নীতির উপকার হবে এবং হিন্দুদের মধ্যে তিনি জনপ্রিয় হবেন, কিন্তু একইসাথে এটা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তার বিরোধিতা আরও তীব্র হবে।
আন্তর্জাতিকভাবে এই পদক্ষেপ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনিশ্চয়তা বহু বাড়িয়ে দেবে, যেটা আন্তর্জাতিক স্ট্যাটাস অর্জনের পথে ভারতের জন্য শুভ হবে না। দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশ – যাদেরকে ভারত ‘ছোট ভাই’ জ্ঞান করে – তারা হয়তো ভারতের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
এ-ই যখন পরিস্থিতি, তখন মোদির জন্য আরও সমন্বিত পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করাটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনা প্রশমন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে তাদের। আর আঞ্চলিক পরাশক্তির দায়দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা এখানেই।
আঞ্চলিক ইস্যুতে গঠনমূলক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে ভারতকে সহায়তা করছে চীন। যদিও চীনকে মোকাবেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলের সাথে যুক্ত হয়েছে ভারত।
বেইজিং বিশ্বাস করে যে, নয়াদিল্লী একটা স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করবে, কারণ একমাত্র এ পথেই ভারত আঞ্চলিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে, যদিও বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে এ কাজটা অত সহজ নয়।
No comments