পুরনো কৌশলে এরশাদ
আলোচিত
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ঠিক একই দৃশ্যপট দেখা যায়। তৎকালীন
নির্বাচনকালীন সরকার থেকে জাপার মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগের ঘোষণা
দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ওই সময় নির্বাচন
বর্জনেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে ছিলেন।
মন্ত্রী-উপদেষ্টারাও দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচনের পর সংসদে বিরোধী দলের
আসনে আসীন হয় জাতীয় পার্টি।
পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ হন বিরোধী দলের নেতা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব নেন পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ। দলের তিন নেতা দায়িত্ব নেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর। দেশের রাজনীতিতে বিরল এক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় দলটি। একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে অবস্থান নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়লেও গত চার বছরে অনেকটা নির্বিকারই ছিল দলটি। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে হঠাৎ সরব হয়েছেন নেতারা। তারা এবার পদত্যাগের সুর তুলেছেন। সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন, তারা সরকারে আছেন না বিরোধী দলে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছেন, জাতীয় মন্ত্রীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার। এই যখন অবস্থা তখন জাপা চেয়ারম্যান এরশাদও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খুব শিগগিরই তার দলের মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। দলের চেয়ারম্যান ও কো- চেয়ারম্যানের মুখে পদত্যাগের এমন ঘোষণার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি তাদের পুরনো কৌশল। ২০১৪ সালে যেমন নানা নাটকীয়তার পর তাদের কোনো ঘোষণাই টেকেনি। এবারও হয়তো নির্বাচন সামনে রেখে একই কৌশলে এগোবে জাতীয় পার্টি। এছাড়া দেশের অন্যতম দল বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাদের বক্তব্যও অনেকটা তারই ইঙ্গিত দেয়। জাতীয় পার্টির সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দলের তিন মন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়ে দলীয়ভাবে কোনো আলোচনা হয়নি। এ পর্যন্ত আলোচনার কোনো লক্ষণও নেই। এছাড়া এ নিয়ে অতীতে কয়েকবার আলোচনা হলেও মন্ত্রীরা ওই আলোচনাকে গুরুত্ব দেননি। দলীয় সূত্র বলছে, এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও খুব শিগগিরই তারা পদত্যাগ করছেন না। পরিস্থিতি দেখেই এরশাদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আসন্ন নির্বাচন কেমন হবে, ওই নির্বাচনে সব দল অংশ নিলে কি পরিস্থিতি হয় তার একটা আগাম বার্তা পেলেই তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এরশাদ বাইরে যাই বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। অনেকে বলছেন, মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের বিষয়টি জাতীয় পার্টির বিষয়। দলীয় ফোরামে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে এক নির্দেশেই নেতারা পদত্যাগ করতে বাধ্য। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানোতে প্রমাণ হয় তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির ‘পরিচয় সংকটের’ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি দলের তিন মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে প্রত্যাহার করতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান। তিনি নিজেই প্রশ্ন রেখে বলেন, বাইরে লোকজন আমাদের প্রশ্ন করে আমরা সরকারে আছি নাকি বিরোধী দলে। শুক্রবার রংপুরে পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ঘোষণা দিয়েছেন কিছু দিনের মধ্যেই তিনিসহ দলের মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। তবে দলের নেতারা মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো তথ্যই জানেন না। এ নিয়ে দলীয় ফোরামেও এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি।
এদিকে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থান নেয়া নিয়ে দলেই অস্বস্তি দেখা দেয়। দলীয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নেতারা এ নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন। সমালোচনার মুখে পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ কয়েক দফা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। যদিও কোনোবারই দলীয় মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি পার্টি ফোরামে। সরকার গঠনের বছরেই একটি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাপার মন্ত্রীদের পদত্যাগের কথা জানান এরশাদ। তার এ ঘোষণার পর গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির তিন মন্ত্রী। তাদের কেউ কেউ উল্টো মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্বে থাকা এরশাদের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে অবশ্য কিছুদিন এরশাদ এ নিয়ে আর কথা বলেননি। ২০১৫ সালে রংপুরে এক অনুষ্ঠানে ফের এ নিয়ে কথা বলেন এরশাদ। জাতীয় পার্টিকে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে দলের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে বলেন তিনি। পরের বছর জানুয়ারিতে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়ে বৈঠকের পর এরশাদ বলেছিলেন, শিগগিরই তিনি পার্টির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে বলবেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, কেউ পার্টির সিদ্ধান্ত না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরে আরো কয়েক দফা পদত্যাগের ঘোষণা দেন এরশাদ। তবে ঘোষণা কেবল ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। পার্টি চেয়ারম্যান বার বার পদত্যাগের কথা বললেও এ বিষয়ে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ ছিলেন নিশ্চুপ। মন্ত্রিসভায় থাকা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা ও মুজিবুল হক চুন্নু রওশন এরশাদের অনুগত বলে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেই আলোচনা রয়েছে। গত নির্বাচনের আগে এরশাদ যখন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন রওশন এরশাদই তার পক্ষের নেতাদের নিয়ে সরকারের সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে সমঝোতা করেন। তবে এবার রহস্যজনকভাবে রওশন এরশাদ মন্ত্রীদের পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন।
পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ হন বিরোধী দলের নেতা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব নেন পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ। দলের তিন নেতা দায়িত্ব নেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর। দেশের রাজনীতিতে বিরল এক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় দলটি। একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে অবস্থান নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়লেও গত চার বছরে অনেকটা নির্বিকারই ছিল দলটি। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে হঠাৎ সরব হয়েছেন নেতারা। তারা এবার পদত্যাগের সুর তুলেছেন। সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন, তারা সরকারে আছেন না বিরোধী দলে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছেন, জাতীয় মন্ত্রীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার। এই যখন অবস্থা তখন জাপা চেয়ারম্যান এরশাদও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খুব শিগগিরই তার দলের মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। দলের চেয়ারম্যান ও কো- চেয়ারম্যানের মুখে পদত্যাগের এমন ঘোষণার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি তাদের পুরনো কৌশল। ২০১৪ সালে যেমন নানা নাটকীয়তার পর তাদের কোনো ঘোষণাই টেকেনি। এবারও হয়তো নির্বাচন সামনে রেখে একই কৌশলে এগোবে জাতীয় পার্টি। এছাড়া দেশের অন্যতম দল বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাদের বক্তব্যও অনেকটা তারই ইঙ্গিত দেয়। জাতীয় পার্টির সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দলের তিন মন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়ে দলীয়ভাবে কোনো আলোচনা হয়নি। এ পর্যন্ত আলোচনার কোনো লক্ষণও নেই। এছাড়া এ নিয়ে অতীতে কয়েকবার আলোচনা হলেও মন্ত্রীরা ওই আলোচনাকে গুরুত্ব দেননি। দলীয় সূত্র বলছে, এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও খুব শিগগিরই তারা পদত্যাগ করছেন না। পরিস্থিতি দেখেই এরশাদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আসন্ন নির্বাচন কেমন হবে, ওই নির্বাচনে সব দল অংশ নিলে কি পরিস্থিতি হয় তার একটা আগাম বার্তা পেলেই তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এরশাদ বাইরে যাই বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। অনেকে বলছেন, মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের বিষয়টি জাতীয় পার্টির বিষয়। দলীয় ফোরামে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে এক নির্দেশেই নেতারা পদত্যাগ করতে বাধ্য। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানোতে প্রমাণ হয় তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির ‘পরিচয় সংকটের’ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি দলের তিন মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে প্রত্যাহার করতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান। তিনি নিজেই প্রশ্ন রেখে বলেন, বাইরে লোকজন আমাদের প্রশ্ন করে আমরা সরকারে আছি নাকি বিরোধী দলে। শুক্রবার রংপুরে পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ঘোষণা দিয়েছেন কিছু দিনের মধ্যেই তিনিসহ দলের মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। তবে দলের নেতারা মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো তথ্যই জানেন না। এ নিয়ে দলীয় ফোরামেও এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি।
এদিকে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থান নেয়া নিয়ে দলেই অস্বস্তি দেখা দেয়। দলীয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নেতারা এ নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন। সমালোচনার মুখে পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ কয়েক দফা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। যদিও কোনোবারই দলীয় মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি পার্টি ফোরামে। সরকার গঠনের বছরেই একটি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাপার মন্ত্রীদের পদত্যাগের কথা জানান এরশাদ। তার এ ঘোষণার পর গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির তিন মন্ত্রী। তাদের কেউ কেউ উল্টো মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্বে থাকা এরশাদের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে অবশ্য কিছুদিন এরশাদ এ নিয়ে আর কথা বলেননি। ২০১৫ সালে রংপুরে এক অনুষ্ঠানে ফের এ নিয়ে কথা বলেন এরশাদ। জাতীয় পার্টিকে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে দলের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে বলেন তিনি। পরের বছর জানুয়ারিতে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়ে বৈঠকের পর এরশাদ বলেছিলেন, শিগগিরই তিনি পার্টির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে বলবেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, কেউ পার্টির সিদ্ধান্ত না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরে আরো কয়েক দফা পদত্যাগের ঘোষণা দেন এরশাদ। তবে ঘোষণা কেবল ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। পার্টি চেয়ারম্যান বার বার পদত্যাগের কথা বললেও এ বিষয়ে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ ছিলেন নিশ্চুপ। মন্ত্রিসভায় থাকা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা ও মুজিবুল হক চুন্নু রওশন এরশাদের অনুগত বলে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেই আলোচনা রয়েছে। গত নির্বাচনের আগে এরশাদ যখন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন রওশন এরশাদই তার পক্ষের নেতাদের নিয়ে সরকারের সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে সমঝোতা করেন। তবে এবার রহস্যজনকভাবে রওশন এরশাদ মন্ত্রীদের পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন।
No comments