নাসিরনগর উপনির্বাচন- বিএনপি’র দুয়ারে জাপা আওয়ামী লীগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১
(নাসিরনগর) আসনের উপনির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে জাতীয় পার্টি। তারা বলছে,
রংপুর সিটি করপোরেশনের মতো ফলাফল হবে এখানে। বিএনপি’র সমর্থনের ওপর ভর
করেই এমন আশা প্রবল হয়ে উঠেছে প্রার্থী আর দলের কর্মী-সমর্থকদের। মনোনয়ন
দাখিলের পরই জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছুটে যান বিএনপি’র নেতাদের দুয়ারে। তবে
সাংগঠনিক দুর্বলতা, প্রার্থীর শারীরিক অসুস্থতায় মাঠে গণসংযোগ ও
প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে আছে দলটি। অন্যদিকে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব থাকলেও
বিজয় নিশ্চিত বলেই আশাবাদী আওয়ামী লীগ।
বিএনপি’র অনেক নেতাও আবার সরাসরি আওয়ামী লীগের নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী ঐক্যজোটের একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মূল লড়াই আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টির মধ্যে হবে এটা পরিষ্কার। এ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক গত ১৬ই ডিসেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য এ আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে ১৩ই মার্চ। এখানে সোয়া ২ লাখ ভোটারের মধ্যে ৪০/৪২ হাজার ভোটার সংখ্যালঘু। ২০১৬ সালের অক্টোবরে হরিপুর ও নাসিরনগর সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর সংখ্যালঘু ভোটাররা আওয়ামী লীগের প্রতি কতোটা আস্থাশীল থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। যদিও এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিষয়টি তেমন গণনায় নেই। তবে দলের অন্তর্কোন্দলই এখন বড় ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১৩ জন। এরমধ্যে ছায়েদুল হক জীবিত থাকাকালে তার বিরোধিতায় লিপ্ত স্থানীয় কয়েকজন নেতাসহ ১১ জন জোটবদ্ধ হন দলের মনোনয়ন তাদের মধ্যে থেকে কাউকে দেয়ার জন্য। যার নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার। তবে নিশ্চিত করেই বলা হচ্ছিলো ছায়েদুল হক পত্নীই মনোনয়ন পাবেন। শেষ পর্যন্ত ১১ জনের মধ্যে কারো ভাগ্যে মনোনয়ন জুটেনি। মনোনয়ন পাননি ছায়েদুল হক পত্নীও। মনোনয়ন দেয়া হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে। এরপরই শুরু হয় নতুন হিসাবনিকাশ। ছায়েদুল হক পত্নী সমর্থন দেন সংগ্রামকে। আর মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি নীরব হয়ে যায়। তারা লাঙ্গলকে ভোট দেয়ার জন্য বলছেন বলে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে বিএনপি-জাতীয় পার্টির সমঝোতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় তাদের সমর্থন চান জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজুয়ান। এলাকায় চাউর হয়েছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের লড়াইয়ের হিসাব কষে তরুণ নেতা সংগ্রামকে ঠেকাতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন যোগাতে স্থির হয়েছে বিএনপি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজুয়ান আহমেদ বলেন, রংপুরের মতো ফল হবে এখানে। আওয়ামী লীগে বিভেদ এবং বিএনপি’র প্রার্থী না থাকায় তাদের ভোট তার বাক্সে পড়বে বলেই দাবি করেন রেজুয়ান। তিনি এরআগে ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন। তখন পেয়েছিলেন প্রায় ১৩ হাজার ভোট। রেজুয়ান আহমেদ বিএনপি’র পুরোপুরি সমর্থন পাওয়ার দাবি করলেও বিএনপি’র অনেক নেতা করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন। গোকর্ণ ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নৌশাদ উল্লাহ সরাসরি নৌকার নির্বাচন করছেন। এজন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। উপজেলা বিএনপি’র সদস্য জেঠাগ্রামের আলীজান মেম্বারও করছেন নৌকার নির্বাচন। ফান্দাউক ও সদর ইউনিয়নের দুই প্রভাবশালী বিএনপি নেতাও আওয়ামী লীগের নির্বাচন করছেন। ভলাকুটে বিএনপি’র দু’ভাগই করছে নৌকার নির্বাচন। উপজেলা বিএনপি’র দায়িত্বশীল এক নেতা জানিয়েছেন এসব তথ্য। ওই নেতা বলেন, বিএনপি দু’ভাগ হয়ে গেছে। একভাগ করছে নৌকার নির্বাচন। আরেকভাগ করছে লাঙ্গলের নির্বাচন। কুণ্ডা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ওমরাও খান লাঙ্গলের নির্বাচন করছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, দু’দিন আগে চৈয়ারকুড়ি বাজারে জাতীয় পার্টির এক সভায় ওমরাও খান মিছিল নিয়ে যোগ দেন। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি নাসিরনগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। এই সভার পর দলের বিরোধ ঘুচে গেছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, দু’পক্ষকে নিয়ে ডাকবাংলোয় প্রথমে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা। এরপর তারা মিছিল নিয়ে বর্ধিত সভায় যান। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক গতি বাড়াটা দৃশ্যমান হচ্ছে। আলোচনা আছে এই মিলমিশ উপরে উপরে কিনা। আবার মনিরুজ্জামানের সঙ্গে মিলিত হওয়াটা ছায়েদুল হক সমর্থকরা ভালোভাবে নেয়নি বলেও আলোচনা রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য ছিল সেটা আমরা মিটিয়ে দিয়েছি। এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। জাতীয় পার্টির অবস্থা ভালো সেটা মনে করি না। আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এটা নৌকার মাটি। অতীতের জয়ের ধারা অবশ্যই বহাল থাকবে। তবে এখানে বিএনপি’র ভোট একটা ফ্যাক্টর। সরজমিন খোঁজখবরে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে চাপরতলা, ধরমণ্ডল, পূর্বভাগ, গোকর্ণ, কুণ্ডা, বুড়িশ্বর ও নাসিরনগর সদরে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ভালো সমর্থন রয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বাড়ি গুনিয়াউকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজুয়ান আহমেদের বাড়ি পূর্বভাগ ইউনিয়নে এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা একেএম আশরাফুল হকের বাড়ি ধরমণ্ডলে।
বিএনপি’র অনেক নেতাও আবার সরাসরি আওয়ামী লীগের নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী ঐক্যজোটের একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মূল লড়াই আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টির মধ্যে হবে এটা পরিষ্কার। এ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক গত ১৬ই ডিসেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য এ আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে ১৩ই মার্চ। এখানে সোয়া ২ লাখ ভোটারের মধ্যে ৪০/৪২ হাজার ভোটার সংখ্যালঘু। ২০১৬ সালের অক্টোবরে হরিপুর ও নাসিরনগর সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর সংখ্যালঘু ভোটাররা আওয়ামী লীগের প্রতি কতোটা আস্থাশীল থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। যদিও এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিষয়টি তেমন গণনায় নেই। তবে দলের অন্তর্কোন্দলই এখন বড় ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১৩ জন। এরমধ্যে ছায়েদুল হক জীবিত থাকাকালে তার বিরোধিতায় লিপ্ত স্থানীয় কয়েকজন নেতাসহ ১১ জন জোটবদ্ধ হন দলের মনোনয়ন তাদের মধ্যে থেকে কাউকে দেয়ার জন্য। যার নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার। তবে নিশ্চিত করেই বলা হচ্ছিলো ছায়েদুল হক পত্নীই মনোনয়ন পাবেন। শেষ পর্যন্ত ১১ জনের মধ্যে কারো ভাগ্যে মনোনয়ন জুটেনি। মনোনয়ন পাননি ছায়েদুল হক পত্নীও। মনোনয়ন দেয়া হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে। এরপরই শুরু হয় নতুন হিসাবনিকাশ। ছায়েদুল হক পত্নী সমর্থন দেন সংগ্রামকে। আর মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি নীরব হয়ে যায়। তারা লাঙ্গলকে ভোট দেয়ার জন্য বলছেন বলে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে বিএনপি-জাতীয় পার্টির সমঝোতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় তাদের সমর্থন চান জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজুয়ান। এলাকায় চাউর হয়েছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের লড়াইয়ের হিসাব কষে তরুণ নেতা সংগ্রামকে ঠেকাতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন যোগাতে স্থির হয়েছে বিএনপি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজুয়ান আহমেদ বলেন, রংপুরের মতো ফল হবে এখানে। আওয়ামী লীগে বিভেদ এবং বিএনপি’র প্রার্থী না থাকায় তাদের ভোট তার বাক্সে পড়বে বলেই দাবি করেন রেজুয়ান। তিনি এরআগে ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন। তখন পেয়েছিলেন প্রায় ১৩ হাজার ভোট। রেজুয়ান আহমেদ বিএনপি’র পুরোপুরি সমর্থন পাওয়ার দাবি করলেও বিএনপি’র অনেক নেতা করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন। গোকর্ণ ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নৌশাদ উল্লাহ সরাসরি নৌকার নির্বাচন করছেন। এজন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। উপজেলা বিএনপি’র সদস্য জেঠাগ্রামের আলীজান মেম্বারও করছেন নৌকার নির্বাচন। ফান্দাউক ও সদর ইউনিয়নের দুই প্রভাবশালী বিএনপি নেতাও আওয়ামী লীগের নির্বাচন করছেন। ভলাকুটে বিএনপি’র দু’ভাগই করছে নৌকার নির্বাচন। উপজেলা বিএনপি’র দায়িত্বশীল এক নেতা জানিয়েছেন এসব তথ্য। ওই নেতা বলেন, বিএনপি দু’ভাগ হয়ে গেছে। একভাগ করছে নৌকার নির্বাচন। আরেকভাগ করছে লাঙ্গলের নির্বাচন। কুণ্ডা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ওমরাও খান লাঙ্গলের নির্বাচন করছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, দু’দিন আগে চৈয়ারকুড়ি বাজারে জাতীয় পার্টির এক সভায় ওমরাও খান মিছিল নিয়ে যোগ দেন। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি নাসিরনগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। এই সভার পর দলের বিরোধ ঘুচে গেছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, দু’পক্ষকে নিয়ে ডাকবাংলোয় প্রথমে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা। এরপর তারা মিছিল নিয়ে বর্ধিত সভায় যান। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক গতি বাড়াটা দৃশ্যমান হচ্ছে। আলোচনা আছে এই মিলমিশ উপরে উপরে কিনা। আবার মনিরুজ্জামানের সঙ্গে মিলিত হওয়াটা ছায়েদুল হক সমর্থকরা ভালোভাবে নেয়নি বলেও আলোচনা রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য ছিল সেটা আমরা মিটিয়ে দিয়েছি। এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। জাতীয় পার্টির অবস্থা ভালো সেটা মনে করি না। আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এটা নৌকার মাটি। অতীতের জয়ের ধারা অবশ্যই বহাল থাকবে। তবে এখানে বিএনপি’র ভোট একটা ফ্যাক্টর। সরজমিন খোঁজখবরে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে চাপরতলা, ধরমণ্ডল, পূর্বভাগ, গোকর্ণ, কুণ্ডা, বুড়িশ্বর ও নাসিরনগর সদরে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ভালো সমর্থন রয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বাড়ি গুনিয়াউকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজুয়ান আহমেদের বাড়ি পূর্বভাগ ইউনিয়নে এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা একেএম আশরাফুল হকের বাড়ি ধরমণ্ডলে।
No comments