আঁখিকে ধর্ষণ-হত্যার পর কবর জিয়ারত করেছিলো রায়হান
ফুফাতো
বোন আঁখি হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের থেকে শুরু করে সবকিছুতে সক্রিয় ছিলো
তারিকুল ইসলাম রায়হান (৩৫)। লাশ উদ্ধারের পর তার কান্নাকাটি ছিলো চোখে পড়ার
মতো। এমনকি আঁখির কবরও জিয়ারত করেছিলো। সেই রায়হানই আঁখির হত্যাকারী।
গ্রেপ্তারের পর আদালতে হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে এক
সন্তানের জনক রায়হান। ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলো আঁখিকে।
লাশ গুম করতে নানা চেষ্টা করেছিলো সে।
হত্যার পর আঁখির গলার স্বর্ণের চেইন বিক্রি করে রায়হান। চেইন বিক্রির কিছু টাকা দিয়ে কিনে এনেছিলো একটি বড় ব্যাগ। ব্যাগ নিয়ে সকাল ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয় রায়হান। চাচা রোকন খান সিঁড়ির নিচে দেখা পেয়ে জানতে চান, ‘ব্যাগে কী’? ‘জিন্সের প্যান্ট’ উত্তর দিয়েছিল রায়হান। প্যান্ট ব্যবসায়ী ভাতিজার কথায় সন্দেহ হয়নি চাচার। অটোরিকশায় করে ব্যাগ নিয়ে রেললাইনে। চালক সন্দেহ করতে পারে ভেবে রেললাইনে না ফেলে চলে যায় বিমানবন্দর রেলস্টেশনে।
আপন ফুফাতো বোন আঁখিকে ধর্ষণশেষে হত্যার পর এভাবেই অপরাধ লুকাতে চেয়েছিল রায়হান। হত্যার পর ‘নিখোঁজ’ আঁখিতে খুঁজেছে রায়হানও। লাশ উদ্ধারের পর কান্নাকাটি করেছে। এত কিছুর মধ্যেও পরিবারের কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পাঁচ দিন স্বাভাবিকভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে রায়হান। মা-বাবা, স্ত্রী কারোরই সন্দেহ হয়নি তাকে। মেয়ে হত্যার খবর পেয়ে বিদেশে (মরিশাস) থেকে আঁখির বাবা বেলায়েত হোসেন আরিফ দেশে ফিরে আসেন। তারও সন্দেহ হয়নি রায়হানকে। আঁখির বাবার সঙ্গে কবর জিয়ারত করতে মাদারীপুরের কালকিনির গ্রামের বাড়িতেও গিয়েছিলো সে।
লাশভর্তি ব্যাগ ফেলে যাওয়ার পরদিন গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ভোরে বিমানবন্দর রেলস্টেশনের এলাকা থেকে কালো ব্যাগ থেকে আঁখির লাশ উদ্ধার পুলিশ। পরে রায়হানের মা-বাবা, স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে নেয় রেলওয়ে থানা পুলিশ। আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা আঁখির লাশের সঙ্গে থাকা একটি কাঁথা রায়হানের মা-বাবাকে দেখানো হয়। তারা পুলিশকে জানান, এটি আঁখির কাঁথা। ওই কাঁথা গায়ে দিয়ে আঁখি ঘুমাত। এরপরই পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হয় যে রায়হানই খুনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক জানান, শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি থানার আন্ডারচর গ্রামের বাড়ি এলাকা থেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে।
ঘটনার দিন শনিবার সকালে রায়হানের স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যরা বাসার বাইরে ছিলেন। রায়হান বাসার ড্রয়িং রুমে টিভি দেখছিল। আঁখি ছিল নিজ রুমে। একপর্যায়ে আঁখির রুমে গিয়ে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় রায়হান। এতে আঁখি চরমভাবে ক্ষিপ্ত হলে জোরপূর্বক আঁখিকে ধর্ষণ করে। আঁখি তখন ধর্ষণের কথা পরিবারের সবাইকে বলে দেওয়ার হুমকি দিলে গলাটিপে হত্যা করে তাকে। এরপর লাশ গুম করার চেষ্টায় পাতলা কাঁথা দিয়ে লাশ মুড়িয়ে ফেলে।
রায়হান স্বীকারোক্তিতে বলেছে, লাশ ফেলে এসে বাসায় ফিরে পরিবারের কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে। ঘটনার পর আঁখির স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোনও বিক্রি করে দেয় রায়হান।
আঁখির বড় মামা ও রায়হানের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, আঁখি তাদের বোনের মেয়ে। তার ছেলেই যে তার এই মেয়েকে হত্যা করতে পারে তা চিন্তুাও করতে পারিনি। মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার আন্ডারচর গ্রামের বেলায়েত হোসেন আরিফ ও মা হাসনাহেনার মেয়ে আঁখি। পাঁচ বছর আগে তার মা-বাবা চাকরি করার জন্য মরিশাস চলে যান।
আঁখি থাকতো মোজো মামা মোহাম্মদ রোকন ও মামি জেসমিনের সঙ্গে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ই ব্লকের ৩৩ নম্বর রোডের ৩৮ নম্বর বাড়িতে থাকত। পাশের বাসায় থাকতেন আঁখির বড় মামা ও রায়হানের বাবা নুরুল ইসলাম।
লাশ গুম করতে নানা চেষ্টা করেছিলো সে।
হত্যার পর আঁখির গলার স্বর্ণের চেইন বিক্রি করে রায়হান। চেইন বিক্রির কিছু টাকা দিয়ে কিনে এনেছিলো একটি বড় ব্যাগ। ব্যাগ নিয়ে সকাল ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয় রায়হান। চাচা রোকন খান সিঁড়ির নিচে দেখা পেয়ে জানতে চান, ‘ব্যাগে কী’? ‘জিন্সের প্যান্ট’ উত্তর দিয়েছিল রায়হান। প্যান্ট ব্যবসায়ী ভাতিজার কথায় সন্দেহ হয়নি চাচার। অটোরিকশায় করে ব্যাগ নিয়ে রেললাইনে। চালক সন্দেহ করতে পারে ভেবে রেললাইনে না ফেলে চলে যায় বিমানবন্দর রেলস্টেশনে।
আপন ফুফাতো বোন আঁখিকে ধর্ষণশেষে হত্যার পর এভাবেই অপরাধ লুকাতে চেয়েছিল রায়হান। হত্যার পর ‘নিখোঁজ’ আঁখিতে খুঁজেছে রায়হানও। লাশ উদ্ধারের পর কান্নাকাটি করেছে। এত কিছুর মধ্যেও পরিবারের কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পাঁচ দিন স্বাভাবিকভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে রায়হান। মা-বাবা, স্ত্রী কারোরই সন্দেহ হয়নি তাকে। মেয়ে হত্যার খবর পেয়ে বিদেশে (মরিশাস) থেকে আঁখির বাবা বেলায়েত হোসেন আরিফ দেশে ফিরে আসেন। তারও সন্দেহ হয়নি রায়হানকে। আঁখির বাবার সঙ্গে কবর জিয়ারত করতে মাদারীপুরের কালকিনির গ্রামের বাড়িতেও গিয়েছিলো সে।
লাশভর্তি ব্যাগ ফেলে যাওয়ার পরদিন গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ভোরে বিমানবন্দর রেলস্টেশনের এলাকা থেকে কালো ব্যাগ থেকে আঁখির লাশ উদ্ধার পুলিশ। পরে রায়হানের মা-বাবা, স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে নেয় রেলওয়ে থানা পুলিশ। আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা আঁখির লাশের সঙ্গে থাকা একটি কাঁথা রায়হানের মা-বাবাকে দেখানো হয়। তারা পুলিশকে জানান, এটি আঁখির কাঁথা। ওই কাঁথা গায়ে দিয়ে আঁখি ঘুমাত। এরপরই পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হয় যে রায়হানই খুনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক জানান, শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি থানার আন্ডারচর গ্রামের বাড়ি এলাকা থেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে।
ঘটনার দিন শনিবার সকালে রায়হানের স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যরা বাসার বাইরে ছিলেন। রায়হান বাসার ড্রয়িং রুমে টিভি দেখছিল। আঁখি ছিল নিজ রুমে। একপর্যায়ে আঁখির রুমে গিয়ে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় রায়হান। এতে আঁখি চরমভাবে ক্ষিপ্ত হলে জোরপূর্বক আঁখিকে ধর্ষণ করে। আঁখি তখন ধর্ষণের কথা পরিবারের সবাইকে বলে দেওয়ার হুমকি দিলে গলাটিপে হত্যা করে তাকে। এরপর লাশ গুম করার চেষ্টায় পাতলা কাঁথা দিয়ে লাশ মুড়িয়ে ফেলে।
রায়হান স্বীকারোক্তিতে বলেছে, লাশ ফেলে এসে বাসায় ফিরে পরিবারের কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে। ঘটনার পর আঁখির স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোনও বিক্রি করে দেয় রায়হান।
আঁখির বড় মামা ও রায়হানের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, আঁখি তাদের বোনের মেয়ে। তার ছেলেই যে তার এই মেয়েকে হত্যা করতে পারে তা চিন্তুাও করতে পারিনি। মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার আন্ডারচর গ্রামের বেলায়েত হোসেন আরিফ ও মা হাসনাহেনার মেয়ে আঁখি। পাঁচ বছর আগে তার মা-বাবা চাকরি করার জন্য মরিশাস চলে যান।
আঁখি থাকতো মোজো মামা মোহাম্মদ রোকন ও মামি জেসমিনের সঙ্গে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ই ব্লকের ৩৩ নম্বর রোডের ৩৮ নম্বর বাড়িতে থাকত। পাশের বাসায় থাকতেন আঁখির বড় মামা ও রায়হানের বাবা নুরুল ইসলাম।
No comments