সিরিয়ায় আর কত লাশ চাই!
সময়ের
সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সিরিয়ায় বাড়ছে লাশের সংখ্যা। সরকারি বাহিনী ও
বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে অকাতরে ঝরে যাচ্ছে নিরপরাধ, বেসামরিক মানুষ।
চারদিকে শুধু ধ্বংসাবশেষ। তার মাঝে মরাকান্না। যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়া
মানুষের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। হয়তো সন্তানকে কোলে নিয়ে মা বুকের দুধ পান
করাচ্ছেন, এমন সময় যুদ্ধবিমান থেকে ছুড়ে ফেলা হলো বোমা।
তাতে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর মুখে পতিত হলেন মা ও তার সন্তান। অনেক পিতাকে দেখা গেছে সন্তানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ কাঁধে নিয়ে অবোধের মতো হাউমাউ করে কাঁদছেন আর রুদ্ধশ্বাসে ছুটছেন। আর কত লাশ চাই সিরিয়ায়! আর কত লাশ হলে সেখানে শান্তি ফিরবে! গত প্রায় ১৩ দিনের লড়াইয়ে কমপক্ষে ৬৭৪ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন সেখানে। এ অবস্থাকে সিরিয়া যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। সরকারি বাহিনী নির্বিচারে বিমান থেকে হামলা করছে। ছুড়ে মারছে বোমা। এতে দেশটির পূর্বাঞ্চল ঘৌটা এলাকা যেন ‘কারবালার’ রূপ নিয়েছে। সরকার বলেছে, বিদ্রোহীদের দমন করে তার বাহিনী ওই শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ওই শহর দখলে নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। সিরিয়া সেই আহ্বানে সাড়া দেয় নি। তাই জাতিসংঘসমর্থিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা নিয়ে শুক্রবার ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তারা চাইছেন, সেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক। এক্ষেত্রে সিরিয়া যাতে ওই যুদ্ধবিরতি মেনে চলে সেজন্য চাপ সৃষ্টি করতে তারা রাশিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার সিরিয়াজুড়ে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তবে এর পাল্টা ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। তারা ওই যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি আহ্বান করেছে। উল্লেখ্য, সিরিয়া যুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করছে রাশিয়া। তবে তারা যে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তা বৃহস্পতিবার প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা রাশিয়ার ওই পরিকল্পনাকে কৌতুক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘মানবিক করিডোর’ ব্যবহার করে যুদ্ধকবলিত এলাকার মানুষ বেরিয়ে আসতে ভয় পায়। কারণ, তারা মনে করে, বেরিয়ে এলেই তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে অথবা হত্যা করা হবে। ওদিকে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়েছে শুক্রবার। সেখানে বক্তব্য রেখেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ বিন রাদ আল হোসেন। তিনি বলেছেন, ঘৌটা এলাকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সিরিয়াকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দাঁড়াতে হবে।
তাতে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর মুখে পতিত হলেন মা ও তার সন্তান। অনেক পিতাকে দেখা গেছে সন্তানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ কাঁধে নিয়ে অবোধের মতো হাউমাউ করে কাঁদছেন আর রুদ্ধশ্বাসে ছুটছেন। আর কত লাশ চাই সিরিয়ায়! আর কত লাশ হলে সেখানে শান্তি ফিরবে! গত প্রায় ১৩ দিনের লড়াইয়ে কমপক্ষে ৬৭৪ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন সেখানে। এ অবস্থাকে সিরিয়া যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। সরকারি বাহিনী নির্বিচারে বিমান থেকে হামলা করছে। ছুড়ে মারছে বোমা। এতে দেশটির পূর্বাঞ্চল ঘৌটা এলাকা যেন ‘কারবালার’ রূপ নিয়েছে। সরকার বলেছে, বিদ্রোহীদের দমন করে তার বাহিনী ওই শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ওই শহর দখলে নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। সিরিয়া সেই আহ্বানে সাড়া দেয় নি। তাই জাতিসংঘসমর্থিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা নিয়ে শুক্রবার ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তারা চাইছেন, সেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক। এক্ষেত্রে সিরিয়া যাতে ওই যুদ্ধবিরতি মেনে চলে সেজন্য চাপ সৃষ্টি করতে তারা রাশিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার সিরিয়াজুড়ে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তবে এর পাল্টা ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। তারা ওই যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি আহ্বান করেছে। উল্লেখ্য, সিরিয়া যুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করছে রাশিয়া। তবে তারা যে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তা বৃহস্পতিবার প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা রাশিয়ার ওই পরিকল্পনাকে কৌতুক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘মানবিক করিডোর’ ব্যবহার করে যুদ্ধকবলিত এলাকার মানুষ বেরিয়ে আসতে ভয় পায়। কারণ, তারা মনে করে, বেরিয়ে এলেই তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে অথবা হত্যা করা হবে। ওদিকে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়েছে শুক্রবার। সেখানে বক্তব্য রেখেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ বিন রাদ আল হোসেন। তিনি বলেছেন, ঘৌটা এলাকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সিরিয়াকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দাঁড়াতে হবে।
No comments