দেশে প্রায় ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী বধির
দেশে
মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী ধরনের বধির। সম্পূর্ণ বা
মারাত্মক বধির হলো ১ দশমিক ২ শতাংশ। এ সংখ্যা যাতে আর বৃদ্ধি না পায় সে
জন্য এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব শ্রবণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত
‘ভবিষ্যতের বধিরতা না বাড়াতে প্রস্তুতি নিতে হবে’ শীর্ষক এক সেমিনারে তারা
এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
সেমিনারে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অটোলজি-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আবুল
হাসনাত জোয়ারদার জানান, দেশে মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী
ধরনের বধির।
সম্পূর্ণ বা মারাত্মক বধির হলো ১ দশমিক ২ শতাংশ। এ সংখ্যা যাতে আর বৃদ্ধি না পায় সে জন্য এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, শব্দ দূষণে শুধু মানুষের নয়, প্রাণীকুলেরও ক্ষতি হয়। শব্দ দূষণের কারণে ঢাকায় পাখির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকায় রাতের বেলায় ট্রাক জাতীয় যানবাহন চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঢাকা মহানগরের ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, ঢাকায় প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। ঢাকায় হেলথ হ্যাজার্ড একটা বড় সমস্যা। প্রিয় ঢাকাকে যখন বসবাসের অযোগ্য শহর বলা হয় তখন কষ্ট লাগে। তবে ঢাকাকে বসবাসযোগ্য রাখার এখনো সময় আছে। চিকিৎসক, ট্রাফিক পুলিশ, পরিবেশবিদ, পরিবহন ও শ্রমিক সংঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ঢাকায় এখনো হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সকল যানবাহন থেকে হাইড্রোলিক হর্ণ মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকার সব এলাকাতেই সহনীয় মাত্রার চাইতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ শব্দ দূষণ রয়েছে। তিনি বলেন, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের জরিমানার হার কয়েকগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শব্দ দূষণের অন্যতম শিকার ট্রাফিক পুলিশরা। শব্দ দূষণের কারণে তারা শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন এবং তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ তারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও তারা ঘুম কম হওয়া, হৃদরোগ, অসহিষ্ণু মানসিকতা ইত্যাদি সমস্যায়ও আক্রান্ত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, শ্রবণ ক্ষমতা ধরে রাখতে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি জরুরি। আর জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম। তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট’ কর্মসূচি বিনামূল্যে চালু রয়েছে এবং এক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল, নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার প্রমুখ।
সম্পূর্ণ বা মারাত্মক বধির হলো ১ দশমিক ২ শতাংশ। এ সংখ্যা যাতে আর বৃদ্ধি না পায় সে জন্য এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, শব্দ দূষণে শুধু মানুষের নয়, প্রাণীকুলেরও ক্ষতি হয়। শব্দ দূষণের কারণে ঢাকায় পাখির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকায় রাতের বেলায় ট্রাক জাতীয় যানবাহন চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঢাকা মহানগরের ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, ঢাকায় প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। ঢাকায় হেলথ হ্যাজার্ড একটা বড় সমস্যা। প্রিয় ঢাকাকে যখন বসবাসের অযোগ্য শহর বলা হয় তখন কষ্ট লাগে। তবে ঢাকাকে বসবাসযোগ্য রাখার এখনো সময় আছে। চিকিৎসক, ট্রাফিক পুলিশ, পরিবেশবিদ, পরিবহন ও শ্রমিক সংঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ঢাকায় এখনো হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সকল যানবাহন থেকে হাইড্রোলিক হর্ণ মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকার সব এলাকাতেই সহনীয় মাত্রার চাইতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ শব্দ দূষণ রয়েছে। তিনি বলেন, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের জরিমানার হার কয়েকগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শব্দ দূষণের অন্যতম শিকার ট্রাফিক পুলিশরা। শব্দ দূষণের কারণে তারা শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন এবং তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ তারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও তারা ঘুম কম হওয়া, হৃদরোগ, অসহিষ্ণু মানসিকতা ইত্যাদি সমস্যায়ও আক্রান্ত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, শ্রবণ ক্ষমতা ধরে রাখতে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি জরুরি। আর জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম। তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট’ কর্মসূচি বিনামূল্যে চালু রয়েছে এবং এক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল, নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার প্রমুখ।
No comments