দমানো যাচ্ছে না পাথরখেকোদের: অভিযানের ফাঁকেই মারা যাচ্ছে শ্রমিকরা by ওয়েছ খছরু
সিলেটের
কোম্পানীগঞ্জ প্রশাসনের হিসাব মতে- গেল চার দিনে তারা বিভিন্ন স্থানে
অভিযান চালিয়ে ৭৬টি বোমা মেশিন ধ্বংস করেছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের
নেতৃত্বে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবারও শারপিন টিলায় অভিযান চালিয়েছে
প্রশাসন। কিন্তু অভিযান শেষ করে ফিরে আসতে না আসতেই আবারো বিপর্যয় ঘটে
শারপিন টিলায়। চার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে। অভিযানের
ফাঁক গলিয়ে পাথর উত্তোলন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কারাইরাগের দৃশ্যপটেরও কোনো পরিবর্তন নেই। মৃত্যুকূপে চলছে পাথর উত্তোলন। বিছনাকান্দি জাফলংয়ের অবস্থাও একই। গতকাল সিলেটের বাপার সেক্রেটারি আব্দুল করিম কীম ১৪ মাসে শ্রমিক মৃত্যুর নতুন তথ্য জানালেন। মানবজমিনকে তিনি বলেন, এ সময়ে প্রায় ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে। অনেক লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। টাকা দিয়ে মুখবন্ধ করে রাখা হয়েছে প্রশাসনেরও কর্মকর্তাদের। তিনি বলেন, সিলেটসহ পাথর কোয়ারি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে যেসব শীর্ষ কর্মকর্তা বদলি হয়ে আসেন তাদের ফিরে যাওয়ার সময় ব্যাংক একাউন্ট তলব করলেই বোঝা যাবে পেছনে শেল্টার দিচ্ছে কারা। তিনি দাবি করেন, অনেক কর্মকর্তাই পকেট ভারি করে যান সিলেট থেকে। আর রাজনৈতিক প্রভাব তো রয়েছে। সরাসরি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ কর্মকর্তারা নেতৃত্ব দেন পাথর খেকোদের। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রশাসন কোনো গাফলতি করছে না। এখন প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। এতে করে শ্রমিক মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি পরিবেশও রক্ষা পাবে। সাম্প্রতিক হিসেব মতে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গত চার দিনে ৭৬টি বোমা মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। কয়েক হাজার ফুট পাইপলাইনও ধ্বংস করা হয়। এর মধ্যে গতকালও অভিযান চালানো হয়েছে শারপিন টিলায়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, শারপিন টিলায় গতকাল ১১টি বোমা মেশিন ও ২৭৫ ফুট পাইপলাইন ধ্বংস করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবারও কালাইরাগ এবং নয়াবাজার এলাকায় বোমা মেশিন বিরোধী অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে অভিযান। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে স্থাপনাসহ ১৮টি অবৈধ বোমা মেশিন জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এ সময় প্রায় ৫শ’ ফুট পাইপ আগুনে পুড়ানো হয়। অভিযানে পুলিশ, বিজিবি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা অংশ নেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছ টাস্কফোর্সের অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির দয়ারবাজার, নয়াবাজার, কালাইরাগ ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকা এবং শারপিন টিলায় টানা তিন দিনের অভিযানে ৬৫টি বোমা মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের পাথর উত্তোলন থেকে বিরত থাকার জন্য শারপিন টিলা ও ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি এলাকায় বৃহস্পতিবারও মাইকিং করা হয়েছে। সিলেটের বাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কীম জানালেন, অভিযানে তো কাজ হচ্ছে না। পেছনে কারা তা খুঁজে বের করতে হবে। এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ শারপিন পাথর কোয়ারিতে মাটি চাপায় তিন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার নিহত শ্রমিক আফাজ উদ্দিনের ভাই মুহিব আলী বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিরা হলো- শাহ্ আরফিন টিলা এলাকার শুক্কুর হাজির পুত্র বশর মিয়া ও কালা মিয়া, পাড়ুয়া কালাসাদক এলাকার নুরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার জামলাবাদ গ্রামের কয়েছ আহমদ। এ ঘটনায় আটক আসামি কালা মিয়াকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শাহ্ আরফিনে স্থানীয় বশর, কালা মিয়া ও তাদের সহযোগীদের গর্তে পাথর উত্তোলনের সময় মাটি চাপায় শ্রমিক আফাজ উদ্দিন, জাহিদ হোসেন ও কাছা মিয়া নিহত হন।
কারাইরাগের দৃশ্যপটেরও কোনো পরিবর্তন নেই। মৃত্যুকূপে চলছে পাথর উত্তোলন। বিছনাকান্দি জাফলংয়ের অবস্থাও একই। গতকাল সিলেটের বাপার সেক্রেটারি আব্দুল করিম কীম ১৪ মাসে শ্রমিক মৃত্যুর নতুন তথ্য জানালেন। মানবজমিনকে তিনি বলেন, এ সময়ে প্রায় ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে। অনেক লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। টাকা দিয়ে মুখবন্ধ করে রাখা হয়েছে প্রশাসনেরও কর্মকর্তাদের। তিনি বলেন, সিলেটসহ পাথর কোয়ারি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে যেসব শীর্ষ কর্মকর্তা বদলি হয়ে আসেন তাদের ফিরে যাওয়ার সময় ব্যাংক একাউন্ট তলব করলেই বোঝা যাবে পেছনে শেল্টার দিচ্ছে কারা। তিনি দাবি করেন, অনেক কর্মকর্তাই পকেট ভারি করে যান সিলেট থেকে। আর রাজনৈতিক প্রভাব তো রয়েছে। সরাসরি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ কর্মকর্তারা নেতৃত্ব দেন পাথর খেকোদের। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রশাসন কোনো গাফলতি করছে না। এখন প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। এতে করে শ্রমিক মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি পরিবেশও রক্ষা পাবে। সাম্প্রতিক হিসেব মতে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গত চার দিনে ৭৬টি বোমা মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। কয়েক হাজার ফুট পাইপলাইনও ধ্বংস করা হয়। এর মধ্যে গতকালও অভিযান চালানো হয়েছে শারপিন টিলায়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, শারপিন টিলায় গতকাল ১১টি বোমা মেশিন ও ২৭৫ ফুট পাইপলাইন ধ্বংস করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবারও কালাইরাগ এবং নয়াবাজার এলাকায় বোমা মেশিন বিরোধী অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে অভিযান। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে স্থাপনাসহ ১৮টি অবৈধ বোমা মেশিন জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এ সময় প্রায় ৫শ’ ফুট পাইপ আগুনে পুড়ানো হয়। অভিযানে পুলিশ, বিজিবি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা অংশ নেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছ টাস্কফোর্সের অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির দয়ারবাজার, নয়াবাজার, কালাইরাগ ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকা এবং শারপিন টিলায় টানা তিন দিনের অভিযানে ৬৫টি বোমা মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের পাথর উত্তোলন থেকে বিরত থাকার জন্য শারপিন টিলা ও ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি এলাকায় বৃহস্পতিবারও মাইকিং করা হয়েছে। সিলেটের বাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কীম জানালেন, অভিযানে তো কাজ হচ্ছে না। পেছনে কারা তা খুঁজে বের করতে হবে। এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ শারপিন পাথর কোয়ারিতে মাটি চাপায় তিন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার নিহত শ্রমিক আফাজ উদ্দিনের ভাই মুহিব আলী বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিরা হলো- শাহ্ আরফিন টিলা এলাকার শুক্কুর হাজির পুত্র বশর মিয়া ও কালা মিয়া, পাড়ুয়া কালাসাদক এলাকার নুরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার জামলাবাদ গ্রামের কয়েছ আহমদ। এ ঘটনায় আটক আসামি কালা মিয়াকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শাহ্ আরফিনে স্থানীয় বশর, কালা মিয়া ও তাদের সহযোগীদের গর্তে পাথর উত্তোলনের সময় মাটি চাপায় শ্রমিক আফাজ উদ্দিন, জাহিদ হোসেন ও কাছা মিয়া নিহত হন।
No comments