উন্নয়ন চাইলে নৌকায় ভোট দিন :প্রধানমন্ত্রী
by মামুন রেজা ও হাসান হিমালয়: উন্নয়নের
ধারা বজায় রাখার জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার
আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
গতকাল শনিবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা গত নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়েছেন, উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারা আপনারা কি বজায় রাখতে চান? যদি চান, তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। আপনারা দুই হাত তুলে দেখান, নৌকায় ভোট দেবেন কি-না।' এ সময় উপস্থিত শ্রোতারা দুই হাত তুলে সাড়া দিলে তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ইনশাআল্লাহ নৌকার জয় হবে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ করে সোনার বাংলা গড়ে তুলব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেছেন, আদালত রায় দিয়েছেন। সে রায়ে তিনি কারাগারে। এখানে আওয়ামী লীগের কিছুই করার নেই। দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতেই হবে।
দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। এ সময় উপস্থিত জনতা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আর স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর ২৪ মিনিটের ভাষণের বড় অংশজুড়ে ছিল সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন। আর সেই উন্নয়নের জন্য আমরা সব কাজ করে দিচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, 'আজকে আমি আপনাদের সামনে ১০০টি প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। এর মধ্যে ৪৮টি উদ্বোধন করেছি।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার সরকার গঠনের আগে খুলনার সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন তৈরি করেছি। প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন তৈরি করেছি। বন্ধ কলকারখানা চালু করেছি।
শিক্ষায় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এখন বাবা-মাকে আর বই কিনতে হয় না। বই কেনার দায়িত্ব আমি নিয়েছি।' চলতি বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না বলে ঘোষণা দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, 'আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছি। একটি টিনের ঘর হলেও আমি করে দেবো। কেউ গৃহহীন থাকবে না। কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে দুই লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বিদেশে যেতে এখন আর ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি বিক্রি করতে হয় না। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে যেতে পারবে- সে ব্যবস্থা আমি করেছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একটা সুখবর দিতে চাই, ভোলায় অনেক গ্যাস পাওয়া গেছে। সেই গ্যাস পাইপলাইনে করে বরিশাল ও খুলনায় যাতে আসে, তার ব্যবস্থা আমরা করে দেবো। পদ্মা সেতু থেকে যশোর, খুলনা ও বাগেরহাট হয়ে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি।'
মিছিলের নগরী :এর আগে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল সার্কিট হাউস মাঠে এসে জড়ো হতে থাকে। তাদের হাতে দলীয় প্রতীক নৌকাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি শোভা পাচ্ছিল। দুপুর ১২টার পর থেকে খুলনা হয়ে যায় মিছিলের নগরী। নগরীর সব রুট থেকে দলে দলে মানুষ সার্কিট হাউস মাঠে যেতে থাকে। দুপুর আড়াইটার আগেই সার্কিট হাউস মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠে জায়গা না পেয়ে মানুষ আশপাশের সড়কগুলোতে দাঁড়িয়ে মাইকে বক্তৃতা শুনেছেন।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, একসময়ের জনপ্রিয় ফুটবলার সালাম মুর্শেদী, দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কেন্দ্রীয় নেত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার ও এস এম কামাল হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি প্রমুখ। এ সময় মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, এইচ টি ইমাম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রমুখ।
যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন :খুলনার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০তলা বিশিষ্ট চতুর্থ একাডেমিক ভবন জয় বাংলা, ১০তলা বিশিষ্ট শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী আবাসিক ভবন, খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন, জেলা স্টেডিয়াম পুনর্নির্মাণ, খুলনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, মহেশ্বরপাশা সরকারি শিশু পরিবার হোস্টেল ভবন, তেরখাদা ও কয়রা থানা ভবন, রূপসা ফায়ার স্টেশন ও রিভার ফায়ার স্টেশন ভবন, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিস ভবন, কেসিসির নগর মাতৃসদন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবন, কুয়েটের শহীদ মিনার, কয়রায় পাঁচতলা বিশিষ্ট ডাকবাংলো ভবনসহ মোট ৪৮টি প্রকল্প।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের শেখ রাসেল ইকো পার্ক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন সাঁই মিলনায়তন ও টিএসসি ভবন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসাকেন্দ্র, সুলতানা কামাল জিমনেসিয়াম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আইইআর ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা কারাগার, খুলনা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ভবন, জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ভবন, পাইকগাছা কৃষি কলেজসহ ৫২টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রকৌশলীদের কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী :বেলা পৌনে ১১টায় হেলিকপ্টারে করে নৌবাহিনীর ঘাঁটি তিতুমীরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে নগরীর খালিশপুর বায়তুল ফালাহ ঈদগাহ মাঠে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৮তম কনভেনশনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলীদের সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আপনাদের ওপরই বর্তায়। কাজেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপনারা পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করুন।'
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই দেশের সব নির্মাণ কাজে যেন বাইরের থেকে প্রযুক্তি ধার করতে না হয়। আমাদের প্রকৌশলীরাই সবকিছুতে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। এরই মধ্যে আমাদের অনেক তরুণ ও মেধাবী প্রকৌশলী পৃথিবীর কোনো কোনো দেশের 'আইটি ভিলেজে' অনেক দক্ষতা ও সুনাম অর্জন করেছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আইইবির সভাপতি কবির আহমেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর, আবদুল্লাহ সাদিক ও মনিরুজ্জামান পলাশ বক্তৃতা করেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা গত নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়েছেন, উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারা আপনারা কি বজায় রাখতে চান? যদি চান, তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। আপনারা দুই হাত তুলে দেখান, নৌকায় ভোট দেবেন কি-না।' এ সময় উপস্থিত শ্রোতারা দুই হাত তুলে সাড়া দিলে তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ইনশাআল্লাহ নৌকার জয় হবে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ করে সোনার বাংলা গড়ে তুলব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেছেন, আদালত রায় দিয়েছেন। সে রায়ে তিনি কারাগারে। এখানে আওয়ামী লীগের কিছুই করার নেই। দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতেই হবে।
দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। এ সময় উপস্থিত জনতা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আর স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর ২৪ মিনিটের ভাষণের বড় অংশজুড়ে ছিল সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন। আর সেই উন্নয়নের জন্য আমরা সব কাজ করে দিচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, 'আজকে আমি আপনাদের সামনে ১০০টি প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। এর মধ্যে ৪৮টি উদ্বোধন করেছি।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার সরকার গঠনের আগে খুলনার সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন তৈরি করেছি। প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন তৈরি করেছি। বন্ধ কলকারখানা চালু করেছি।
শিক্ষায় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এখন বাবা-মাকে আর বই কিনতে হয় না। বই কেনার দায়িত্ব আমি নিয়েছি।' চলতি বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না বলে ঘোষণা দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, 'আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছি। একটি টিনের ঘর হলেও আমি করে দেবো। কেউ গৃহহীন থাকবে না। কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে দুই লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বিদেশে যেতে এখন আর ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি বিক্রি করতে হয় না। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে যেতে পারবে- সে ব্যবস্থা আমি করেছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একটা সুখবর দিতে চাই, ভোলায় অনেক গ্যাস পাওয়া গেছে। সেই গ্যাস পাইপলাইনে করে বরিশাল ও খুলনায় যাতে আসে, তার ব্যবস্থা আমরা করে দেবো। পদ্মা সেতু থেকে যশোর, খুলনা ও বাগেরহাট হয়ে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি।'
মিছিলের নগরী :এর আগে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল সার্কিট হাউস মাঠে এসে জড়ো হতে থাকে। তাদের হাতে দলীয় প্রতীক নৌকাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি শোভা পাচ্ছিল। দুপুর ১২টার পর থেকে খুলনা হয়ে যায় মিছিলের নগরী। নগরীর সব রুট থেকে দলে দলে মানুষ সার্কিট হাউস মাঠে যেতে থাকে। দুপুর আড়াইটার আগেই সার্কিট হাউস মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠে জায়গা না পেয়ে মানুষ আশপাশের সড়কগুলোতে দাঁড়িয়ে মাইকে বক্তৃতা শুনেছেন।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, একসময়ের জনপ্রিয় ফুটবলার সালাম মুর্শেদী, দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কেন্দ্রীয় নেত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার ও এস এম কামাল হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি প্রমুখ। এ সময় মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, এইচ টি ইমাম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রমুখ।
যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন :খুলনার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০তলা বিশিষ্ট চতুর্থ একাডেমিক ভবন জয় বাংলা, ১০তলা বিশিষ্ট শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী আবাসিক ভবন, খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন, জেলা স্টেডিয়াম পুনর্নির্মাণ, খুলনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, মহেশ্বরপাশা সরকারি শিশু পরিবার হোস্টেল ভবন, তেরখাদা ও কয়রা থানা ভবন, রূপসা ফায়ার স্টেশন ও রিভার ফায়ার স্টেশন ভবন, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিস ভবন, কেসিসির নগর মাতৃসদন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবন, কুয়েটের শহীদ মিনার, কয়রায় পাঁচতলা বিশিষ্ট ডাকবাংলো ভবনসহ মোট ৪৮টি প্রকল্প।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের শেখ রাসেল ইকো পার্ক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন সাঁই মিলনায়তন ও টিএসসি ভবন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসাকেন্দ্র, সুলতানা কামাল জিমনেসিয়াম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আইইআর ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা কারাগার, খুলনা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ভবন, জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ভবন, পাইকগাছা কৃষি কলেজসহ ৫২টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রকৌশলীদের কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী :বেলা পৌনে ১১টায় হেলিকপ্টারে করে নৌবাহিনীর ঘাঁটি তিতুমীরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে নগরীর খালিশপুর বায়তুল ফালাহ ঈদগাহ মাঠে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৮তম কনভেনশনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলীদের সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আপনাদের ওপরই বর্তায়। কাজেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপনারা পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করুন।'
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই দেশের সব নির্মাণ কাজে যেন বাইরের থেকে প্রযুক্তি ধার করতে না হয়। আমাদের প্রকৌশলীরাই সবকিছুতে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। এরই মধ্যে আমাদের অনেক তরুণ ও মেধাবী প্রকৌশলী পৃথিবীর কোনো কোনো দেশের 'আইটি ভিলেজে' অনেক দক্ষতা ও সুনাম অর্জন করেছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আইইবির সভাপতি কবির আহমেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর, আবদুল্লাহ সাদিক ও মনিরুজ্জামান পলাশ বক্তৃতা করেন।
No comments