হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে কে!
সম্প্রতি
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েকে
‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, হামাসের সামরিক শাখার সঙ্গে
ঘনিষ্ঠ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে হানিয়ের। এছাড়া তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে
সশস্ত্র সংগ্রাম সমর্থন করেন। যুক্তরাষ্ট্র আগেই হামাসকে ‘সন্ত্রাসী দল’
হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছিল। এখন আলাদাভাবে হানিয়েকে সন্ত্রাসী হিসেবে
তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ইসমাইল হানিয়ে গত বছর হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান নির্বাচিত হন।
তবে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি আন্দোলনে তিনি বহুদিন ধরে জড়িত। দুই দশক ধরে ওই আন্দোলনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তার। আবু আল আবেদ হিসেবেও পরিচিত তিনি। নিচে তার সম্পর্কে ১৪ আগ্রহোদ্দীপক তথ্য।
১. হানিয়ে ১৯৬৩ সালে গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তের সন্তানের পিতা। তার জৈষ্ঠ পুত্রের নাম আবেদ। আর এজন্যই তিনি আবু আল আবেদ বা ‘আবেদের পিতা’ হিসেবেও পরিচিত। তার পিতার আদি নিবাস ছিল গাজা তীরের নিকটবর্তী আশকেলন শহরে। তবে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল শহরটি দখল করে নিলে তার বাবা-মা শহর ছেড়ে পালিয়ে যান।
২. তিনি জাতিসংঘের একটি শরণার্থী স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৭ সালে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজা থেকে আরবি সাহিত্যের ওপর ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
৩. ইসরাইলের গাজা ও পশ্চীম তীর দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১৯৮৭ সালে হানিয়ে ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদায় সামিল হন। ওই ইন্তিফাদার সময়ই হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুরুর দিকে এটি সুন্নি ইসলামী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড ইন প্যালেস্টাইনের একটি অঙ্গসংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
৪. ইন্তিফাদার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হানিয়ে বেশ কয়েকবার জেল খেটেছেন। ১৯৮৮ সালে একবার ইসরাইলি কারাগারে ৬ মাস বন্দী ছিলেন। ১৯৮৯ সালে তাকে হামাসের আরও ৪০০ সদস্যের সঙ্গে লেবাননে নির্বাসনে পাঠানো হয়। কিন্তু লেবানন সরকার নির্বাসিতদের গ্রহণ করতে রাজি হয় নি। তাদেরকে ইসরাইলের নিরাপত্তা জোনের দক্ষিণ অংশে, অর্থাৎ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে তাবুর মধ্যে বাস করতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে অবশ্য ১৯৯৩ সালে তিনি পুনরায় গাজায় ফিরে যান।
৫. তার নির্বাসনের সময় হানিয়ে তৎকালীন হামাস নেতা আব্দেল আজিজ আল রানতিসি’র ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। ইসরাইল ২০০৪ সালে এক বিমান হামলা চালিয়ে আল রানতিসিকে হত্যা করে।
৬. ২০০৩ সালে হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় হানিয়েকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তবে তিনি বেঁচে যান। ইয়াসিরের নির্দেশনাতেই হামাসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের একজন হয়ে ওঠেন হানিয়ে। তবে ২০০৪ সালে একদিন ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে হুইলচেয়ারে করে বেরিয়ে আসার সময় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন ইয়াসির।
৭. ২০০৬ সালে তার নেতৃত্বে হামাস ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় ও জয়ী হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তুরস্ক, জর্দান, মিসর, কাতার, সুদান, তিউনিশিয়া, বাহরাইন ও ইরান সফর করেন। যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও ২০০৯ সালে গাজায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
৮. ২০১২ সালে মিসরের আল আজহার মসজিদে এক জুম্মার নামাজে বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সিরীয় বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জানান হানিয়ে। তিনি বলেন, আমি আরব বসন্তের সমর্থক সকল মানুষকে স্যালুট জানাই। আমি সিরিয়ার স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রকামী ও সংস্কারবাদী মানুষদেরও স্যালুট জানাই। ওই বছর ইরান থেকে অর্থায়ন পাওয়ার পর এই বিবৃতি দিয়েছিলেন হানিয়ে। তার এই বিবৃতির পর ইরানের সঙ্গে হামাসের সম্পর্কে শীতলতা তৈরি হয়।
৯. ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন হানিয়ে। হানিয়ে ও হামাস-নেতৃত্বাধীন সরকারকে বরখাস্ত ঘোষণা করেছিলেন আব্বাস। কিন্তু হানিয়ে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গাজা তীরে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলে নিয়ে নেন।
১০. প্রতিদ্বন্দ্বী দল ফাতাহ ও ফিলিস্তিনি কতৃপক্ষের কর্মকর্তাদের তুলনায় হানিয়ে খুব দরিদ্র অবস্থা থেকে উঠে এসেছেন। হামাস প্রায়ই তার ওই উত্তরণের কথা তুলে ধরে। ফাতাহ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিয়ে হানিয়ে বলেন, মার্কিন প্রশাসনের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিরা একটি অনৈতিক ও অন্যায্য অবরোধের সম্মুখীন। কিন্তু ফাতাহ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তারা ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বেশি আনুগত্য প্রদর্শন করছে।
১১. হামাসের নেতা হওয়ার আগে দলটির সাবেক নেতা খালেদ মেশালের ডেপুটি ছিলেন হানিয়ে। গাজা পুলিশ বাহিনী পরিচালনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তবে তিনি সরাসরি হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড পরিচালনা করেন না।
১২. হামাসের অন্যান্য নেতার চেয়ে হানিয়েকে তুলনামূলকভাবে বাস্তববাদী ভাবা হয়। কিন্তু ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি এখনও অনড়।
১৩. ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দিলেও, হামাসের নেতা হওয়ার সময় তিনি বলেছেন, পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে গঠিত একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হামাস মেনে নেবে। তার অর্থ, ইসরাইল রাষ্ট্রের ওপর দাবি তিনি ছেড়ে দেবেন। যদিও তিনি তা স্পষ্ট করে বলেননি। একই সঙ্গে তিনি অবশ্য এ-ও বলেছেন, আমি আপনাদেরকে সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে বলছি, আমরা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবো না।
১৪. ২০০৭-২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্ক, কাতার ও ইরান থেকে রাজনৈতিক ও আর্থিক উভয় ধরণের সমর্থন পেয়েছেন হানিয়ে।
ইসমাইল হানিয়ে গত বছর হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান নির্বাচিত হন।
তবে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি আন্দোলনে তিনি বহুদিন ধরে জড়িত। দুই দশক ধরে ওই আন্দোলনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তার। আবু আল আবেদ হিসেবেও পরিচিত তিনি। নিচে তার সম্পর্কে ১৪ আগ্রহোদ্দীপক তথ্য।
১. হানিয়ে ১৯৬৩ সালে গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তের সন্তানের পিতা। তার জৈষ্ঠ পুত্রের নাম আবেদ। আর এজন্যই তিনি আবু আল আবেদ বা ‘আবেদের পিতা’ হিসেবেও পরিচিত। তার পিতার আদি নিবাস ছিল গাজা তীরের নিকটবর্তী আশকেলন শহরে। তবে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল শহরটি দখল করে নিলে তার বাবা-মা শহর ছেড়ে পালিয়ে যান।
২. তিনি জাতিসংঘের একটি শরণার্থী স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৭ সালে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজা থেকে আরবি সাহিত্যের ওপর ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
৩. ইসরাইলের গাজা ও পশ্চীম তীর দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১৯৮৭ সালে হানিয়ে ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদায় সামিল হন। ওই ইন্তিফাদার সময়ই হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুরুর দিকে এটি সুন্নি ইসলামী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড ইন প্যালেস্টাইনের একটি অঙ্গসংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
৪. ইন্তিফাদার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হানিয়ে বেশ কয়েকবার জেল খেটেছেন। ১৯৮৮ সালে একবার ইসরাইলি কারাগারে ৬ মাস বন্দী ছিলেন। ১৯৮৯ সালে তাকে হামাসের আরও ৪০০ সদস্যের সঙ্গে লেবাননে নির্বাসনে পাঠানো হয়। কিন্তু লেবানন সরকার নির্বাসিতদের গ্রহণ করতে রাজি হয় নি। তাদেরকে ইসরাইলের নিরাপত্তা জোনের দক্ষিণ অংশে, অর্থাৎ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে তাবুর মধ্যে বাস করতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে অবশ্য ১৯৯৩ সালে তিনি পুনরায় গাজায় ফিরে যান।
৫. তার নির্বাসনের সময় হানিয়ে তৎকালীন হামাস নেতা আব্দেল আজিজ আল রানতিসি’র ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। ইসরাইল ২০০৪ সালে এক বিমান হামলা চালিয়ে আল রানতিসিকে হত্যা করে।
৬. ২০০৩ সালে হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় হানিয়েকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তবে তিনি বেঁচে যান। ইয়াসিরের নির্দেশনাতেই হামাসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের একজন হয়ে ওঠেন হানিয়ে। তবে ২০০৪ সালে একদিন ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে হুইলচেয়ারে করে বেরিয়ে আসার সময় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন ইয়াসির।
৭. ২০০৬ সালে তার নেতৃত্বে হামাস ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় ও জয়ী হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তুরস্ক, জর্দান, মিসর, কাতার, সুদান, তিউনিশিয়া, বাহরাইন ও ইরান সফর করেন। যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও ২০০৯ সালে গাজায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
৮. ২০১২ সালে মিসরের আল আজহার মসজিদে এক জুম্মার নামাজে বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সিরীয় বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জানান হানিয়ে। তিনি বলেন, আমি আরব বসন্তের সমর্থক সকল মানুষকে স্যালুট জানাই। আমি সিরিয়ার স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রকামী ও সংস্কারবাদী মানুষদেরও স্যালুট জানাই। ওই বছর ইরান থেকে অর্থায়ন পাওয়ার পর এই বিবৃতি দিয়েছিলেন হানিয়ে। তার এই বিবৃতির পর ইরানের সঙ্গে হামাসের সম্পর্কে শীতলতা তৈরি হয়।
৯. ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন হানিয়ে। হানিয়ে ও হামাস-নেতৃত্বাধীন সরকারকে বরখাস্ত ঘোষণা করেছিলেন আব্বাস। কিন্তু হানিয়ে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গাজা তীরে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলে নিয়ে নেন।
১০. প্রতিদ্বন্দ্বী দল ফাতাহ ও ফিলিস্তিনি কতৃপক্ষের কর্মকর্তাদের তুলনায় হানিয়ে খুব দরিদ্র অবস্থা থেকে উঠে এসেছেন। হামাস প্রায়ই তার ওই উত্তরণের কথা তুলে ধরে। ফাতাহ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিয়ে হানিয়ে বলেন, মার্কিন প্রশাসনের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিরা একটি অনৈতিক ও অন্যায্য অবরোধের সম্মুখীন। কিন্তু ফাতাহ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তারা ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বেশি আনুগত্য প্রদর্শন করছে।
১১. হামাসের নেতা হওয়ার আগে দলটির সাবেক নেতা খালেদ মেশালের ডেপুটি ছিলেন হানিয়ে। গাজা পুলিশ বাহিনী পরিচালনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তবে তিনি সরাসরি হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড পরিচালনা করেন না।
১২. হামাসের অন্যান্য নেতার চেয়ে হানিয়েকে তুলনামূলকভাবে বাস্তববাদী ভাবা হয়। কিন্তু ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি এখনও অনড়।
১৩. ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দিলেও, হামাসের নেতা হওয়ার সময় তিনি বলেছেন, পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে গঠিত একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হামাস মেনে নেবে। তার অর্থ, ইসরাইল রাষ্ট্রের ওপর দাবি তিনি ছেড়ে দেবেন। যদিও তিনি তা স্পষ্ট করে বলেননি। একই সঙ্গে তিনি অবশ্য এ-ও বলেছেন, আমি আপনাদেরকে সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে বলছি, আমরা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবো না।
১৪. ২০০৭-২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্ক, কাতার ও ইরান থেকে রাজনৈতিক ও আর্থিক উভয় ধরণের সমর্থন পেয়েছেন হানিয়ে।
No comments