শরীরের ওজন হঠাৎ কমে গেলে করণীয়

মানবদেহের ওজন দেশ, জাতি, স্ত্রী, পুরুষ উচ্চতা ও বয়সভেদে কমবেশি হয়ে থাকে। তবে এসবের তারতম্য অনুযায়ী, মানবদেহের স্বাভাবিক ওজন আছে এবং জন্মের সময়ই সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক শিশুর পূর্ণতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন দিয়ে থাকেন, যেটা ভবিষ্যতে পুষ্টি, বংশগত প্রভাব, অসুখ-বিসুখ না হওয়া, মানসিক প্রশান্তি, পরিবেশ ইত্যাদির ফলে ওজন কমবেশি হয়ে থাকে। তবে বর্তমান পশ্চিমা খাদ্যের প্রভাবে ফাস্টফুডের প্রচলনে মানবদেহের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। যার ফলে পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, মেদ বৃদ্ধি, হৃদরোগ ইত্যাদি হয়ে থাকে। তবে যে কোনো সময় হঠাৎ করে যদি কয়েক মাসের মধ্যে শরীরের ওজন কমে যায়, তবে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয় এবং এর কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি। অনেকে পথ্য নিয়ন্ত্রণ করে, ব্যায়াম ও পরিশ্রম করে শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু হঠাৎ করে যদি অল্প সময়ে বেশি ওজন কমে যায়, তখনই চিন্তার বিষয় এবং যত দ্রুত সম্ভব এর কারণ বের করে চিকিৎসার মাধ্যমে ওজন স্বাভাবিক রাখা যায়। শরীরের ওজন কমে গেলে যা করবেন
অধিক আঁশযুক্ত খাবার
শরীর ওজন কয়েক মাসের মধ্যে হঠাৎ করে কমে গেলে অধিক আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। আঁশযুক্ত খাবার অন্ত্রনালি ও পায়ুপথ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। তাই অধিক ফলমূল, লাল আটা ও চাল, শস্যদানা, কমলা ও টমোটো গ্রহণ করবেন।
টাটকা শাকসবজি খান
ওজন কমে গেলে টাটকা শাকসবজি খান- সবুজ, হলুদ ও পাতাযুক্ত শাকসবজি (বাঁধাকপি, ফুলকপি) অন্ত্রনালি, পায়ুপথ, পাকস্থলী ও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’
ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ আছে, এমন খাবার গ্রহণ করুন- ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- টাটকা ফল, সবুজ শাকসবজি, দুধজাতীয় খাদ্য ও কলিজা পায়ুপথ ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- আমলকী, আমড়া, পেয়ারা, কমলা, কাঁচা মরিচ, টমেটো ইত্যাদি খাবারও অন্ত্রনালি, পাকস্থলী, পায়ুপথ ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ব্যায়াম
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম (হাঁটার অভ্যাস বেশ উপকারী) এবং অধিক ক্যালরিযুক্ত খাদ্য পরিহার করুন।
লেখক : চিফ মেডিকেল অফিসার, ইবনে সিনা হাসপাতাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা

No comments

Powered by Blogger.