এইচটিসির স্মার্টফোন বিভাগ অধিগ্রহণ করল গুগল
জনপ্রিয়
সার্চ ইঞ্জিন গুগল এবার মোবাইল হার্ডওয়্যার খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ
করছে। এজন্য গত বছর তাইওয়ানভিত্তিক ডিভাইস নির্মাতা এইচটিসির স্মার্টফোন
ব্যবসা বিভাগের আংশিক অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয় গুগল। সম্প্রতি ১১০ কোটি ডলারের
এ অধিগ্রহণ চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এইচটিসির পিক্সেল
বিভাগ কিনে নেয়ায় মোবাইল হার্ডওয়্যার খাতে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে
পারবে গুগল। বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে একমাত্র ব্র্যান্ড আইফোন দিয়ে
জমজমাট ব্যবসা করছে অ্যাপল। এ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি চুক্তিভিত্তিক পণ্য
নির্মাতাদের মাধ্যমে আইফোন তৈরি করলেও প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম নিজেরাই তৈরি
করে। বিশেষ করে আইফোনের বিভিন্ন চিপ অ্যাপল নিজেই নকশা ও উন্নয়ন করে। এ
ছাড়া ডিভাইসগুলোতে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি। আর এ
কারণে ডিভাইস বাজারে কোনোভাবেই অ্যাপলকে টেক্কা দিতে পারছে না গুগল।
তবে
এইচটিসির পিক্সেল বিভাগ অধিগ্রহণের ফলে গুগল এখন তাদের পিক্সেল ব্র্যান্ডের
ডিভাইসের চিপ নকশা ও উন্নয়ন করতে পারবে। এইচটিসি প্রথম এবং দ্বিতীয়
প্রজন্মের পিক্সেল ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরি করলেও তৃতীয় প্রজন্মের
পিক্সেল স্মার্টফোন গুগল নিজেই তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কাজেই
এইচটিসির স্মার্টফোন বিভাগের অধিগ্রহণের ফলে হার্ডওয়্যার খাতে অ্যাপলকে
টেক্কা দেয়া গুগলের জন্য সহজ হবে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের তথ্যমতে,
হার্ডওয়্যার খাতে ব্যবসা জোরদারে অ্যাপলের মতো পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারে
গুগল। তবে অ্যাপল বা গুগল কেউই পুরোপুরি নিজস্ব চিপের ওপর নির্ভর করে থাকতে
পারবে না। কারণ, অ্যাপলের আইফোনের প্রসেসর তৈরিতে কাজ করে টিএসএমসিসহ আরো
কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের প্রসেসর তৈরি করে কোয়ালকম।
গুগল নিজে প্রসেসর তৈরি করলে কোয়ালকমের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
গুগলের নতুন চিপ কবে আসবে এ বিষয়ে কোনো পরিষ্কার ধারণা দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
গুগলের হার্ডওয়্যার বিভাগের প্রধান রিক অস্টেরলোহ জানিয়েছেন, গুগলের কাছ
থেকে গ্রাহকেরা ভবিষ্যতে আরো বেশি ‘কাস্টম সিলিকন’ চিপ পাবেন। পিক্সেল
বিভাগ অধিগ্রহণ চুক্তির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে এইচটিসির গবেষণা এবং উন্নয়ন
বিভাগের প্রায় অর্ধেক বা দুই হাজার স্মার্টফোন বিশেষজ্ঞ গুগলের সিলিকন
ভ্যালি কার্যালয়ে যোগদান করেছেন। মোবাইল হার্ডওয়্যার খাতে আধিপত্য ধরে
রাখতে অ্যাপলের একগুচ্ছ কাস্টম প্রসেসর রয়েছে। জনপ্রিয় আইফোন, ম্যাকবুক,
আইম্যাক, অ্যাপলওয়াচ ও এয়ারপডের মতো ডিভাইসে এসব কাস্টম প্রসেসর ব্যবহার
করা হচ্ছে।
No comments