পেঁয়াজ রফতানিতে শর্ত তুলে নিল ভারত, দাম কমার সম্ভাবনা
পেঁয়াজের
ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয়
সরকার। দেশটিতে পেঁয়াজের ব্যাপক দরপতন ও মজুদ বেড়ে যাওয়ায় সরকার রফতানি
উৎসাহ করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত শুক্রবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য
বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর ফলে বাংলাদেশের বাজারে
ভারতীয় পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, নতুন অর্ডার দেয়ার আগ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে নির্ধারিত ন্যূনতম
মূল্য রহিত করা হলো। এর পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী
সুরেশ প্রভু এক বিষয়ে টুইটার বার্তায় বলেছেন, পেঁয়াজ রফতানিতে ন্যূনতম
মূল্য সরিয়ে দেয়া হল। ফলে এখন সব ধরনের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা রফতানি করতে
পারবেন। দেশের কৃষিপণ্যের রফতানি উৎসাহ করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শনিবার নাসিকসহ
দেশটির পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫ থেকে ১৮ রুপি কমে ২০ থেকে
২৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল। এর আগে বাজারে গত নভেম্বরে পেঁয়াজ সংকট সামাল
দিতে ন্যূনতম রফতানিমূল্য ৪৩০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ ডলার করে ভারত। তখন
ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজের দর প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ রুপিতে পৌঁছে। দাম কমতে
থাকায় গত ১৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন রফতানিসীমা দেড়শ ডলার কমিয়ে ৭০০ ডলার
নির্ধারণ করে দেশটি। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের দাম ৩০ রুপি ধরলে এখন
থেকে ৪৭০ ডলার খরচ করে প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন বাংলাদেশের
ব্যবসায়ীরা। এদিকে ভারতের বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠতে শুরু করেছে। এর জের ধরে
সরবরাহ দেশটিতে আগের তুলনায় পণ্যটির দাম কমে এসেছে। চলতি বছরের শুরুতে
পেঁয়াজের এমইপি টনপ্রতি ১৫০ ডলার কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ভারতের
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কৃষিপণ্যের রফতানি
আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে পেঁয়াজের এমইপি কমানো হলো।
No comments