পুঁজিবাজারে বড় ধস
বড়
ধরনের ধস নেমেছে দেশের পুঁজিবাজারে।
প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)।
সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক
ডিএসইএক্স ১৩৩ পয়েন্ট বা ২.২১ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এর আগের ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল ডিএসইএক্সের সর্বোচ্চ পতন হয়। সেদিন এই সূচক
২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৪ পয়েন্টে নামে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ৪
হাজার ৫৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট ডিএসইএক্স সূচক চালু হয়। ওই বছরই ২১ জুলাই এর
আগের সর্বোচ্চ দরপতন হয়।
সেদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে ৪
হাজার ৯০ পয়েন্টে ঠেকেছিল। ব্যাপক দরপতনের মুখে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষকে
নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। ডিএসইর
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়া বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশন ও
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এবং শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসের
কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেবেন। ব্যাংক আমানত-ঋণের (এডি) অনুপাত কমানো ও
মুদ্রানীতি ঘোষণা নিয়ে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে বাজার ধুঁকছিল। বাজার
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার
রায়ের কারণে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে পারে। এ জন্যই বাজারে পতন
তরান্বিত হয়েছে। রোববার পর্যন্ত গত গত ছয় কার্যদিবসের মধ্যে পাঁচ দিনই
ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় ৩২৭ পয়েন্টের বেশি। গত এক মাসে সূচক কমেছে ৩৮০
পয়েন্ট।
এদিন শুরু থেকেই সূচক নামতে শুরু করে।চার ঘণ্টার লেনদেনের প্রায় পুরো
সময়টাতেই সূচক কোনো বাধা ছাড়াই নামতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ডিএসইএক্স ১৩৩
পয়েন্ট কমে ৫৮৮৮ পয়েন্টে নেমেছে। ডিএসইতে হাতবদল হওয়া ৩২৪টি কোম্পানি ও
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩টির, কমেছে ৩০২টির এবং অপরিবর্তিত
রয়েছে ১১টির। এ সময়ে ৩৬৪ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে,
যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা বেশি। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের
(সিএসই) সিএএসপিআই সূচক প্রায় ৪০৪ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১৮ হাজার ২১৯ পয়েন্ট।
এ সময় লেনদেনে থাকা বেশির ভাগ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম কমেছে।
সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২০৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে
১৪টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।
No comments