পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা
পরীক্ষার
হলে নকল করা ঠেকাতে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় নজরদারির উদ্যোগ
নেওয়া হয়েছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায়। চলতি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
(এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় উপজেলার ১২টি কেন্দ্রের ২০টিতে ভেন্যুতে
স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা
সদরের বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আরবি দ্বিতীয়
পত্রের পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সবাই উত্তরপত্রে
লেখায় ব্যস্ত। কেউ নকল করছে না বা উঁকি দিয়ে আরেকজনের খাতা দেখার চেষ্টা
করছে না। অধ্যক্ষের কার্যালয়ে বসে মনিটরে তা তদারক করছেন পরীক্ষার দায়িত্বে
থাকা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ইরানী। তিনি বলেন,
‘পরীক্ষার কক্ষে সিসি ক্যামেরার কারণে পরীক্ষা তদারক করা সহজ হয়েছে।
নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষার্থীরাও সাবলীলভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে।’ একটু পরেই
পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের
মধ্যে নকলের প্রবণতা দূর করা এবং শৃঙ্খলা রাখার জন্য সিসি ক্যামেরার আওতায়
আনা হয়েছে উপজেলার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার সব কেন্দ্র ও ভেন্যু। বিগত
পরীক্ষাগুলোতে বিভিন্ন কেন্দ্রে থেকে নকলের অভিযোগ পেতাম। এ ছাড়া
কারণে-অকারণে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকে পড়তেন;
যা আমার একার পক্ষে রোধ করা সম্ভব ছিল না। তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সফলতাও পেয়েছি। প্রথম দিন কোনো কেন্দ্র থেকে কোনো অনিয়মের অভিযোগ আসেনি।
নকল দূর করতে এটি একটি সহজ উপায়। আর এ উদ্যোগকে সফল করতে আর্থিকভাবে সহায়তা
করেছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রপ্রধান ও উপজেলা পরিষদ।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
কয়েকজন শিক্ষক বলেন, যেসব শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান, তাঁরাই পরীক্ষার সময় নকল
সরবরাহে ব্যস্ত থাকতেন। এতে পরীক্ষার পরিবেশ পরিবেশ নষ্ট হতো। এ বছর
পরীক্ষার কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকায় ওই শিক্ষকেরা পরীক্ষার কেন্দ্রের
আশপাশেও আসেননি। ২০১৫ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী হিসেবে
পুরস্কৃত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, সারা দেশে এ
রকম পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মন দেবে। জেলা প্রশাসক
মাছুমুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এ পদ্ধতিতে জেলা থেকেও আমার
দপ্তর থেকে পরীক্ষা তদারকি করা সম্ভব হবে। সারা দেশের জন্য পরীক্ষাপদ্ধতির
এটি একটি উদাহরণ হতে পারে।’ উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো.
সোহেল রানা বলেন, এবার বাউফলে ৬০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার হাজার ৮৭৩ জন
শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১
হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী।
সিসি ক্যামেরার আওতায় যেসব কেন্দ্র ও ভেন্যু
বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া হায়াতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ, বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজ, কালিশুরী এসএ ইনস্টিটিউট, কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মহাবিদ্যালয়, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কনকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজ, কালাইয়া রব্বানিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, কালিশুরী ডিগ্রি কলেজ, কনকদিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবং পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসা।
সিসি ক্যামেরার আওতায় যেসব কেন্দ্র ও ভেন্যু
বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া হায়াতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ, বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজ, কালিশুরী এসএ ইনস্টিটিউট, কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মহাবিদ্যালয়, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কনকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজ, কালাইয়া রব্বানিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, কালিশুরী ডিগ্রি কলেজ, কনকদিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবং পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসা।
No comments