ফিলিস্তিনের প্রতি অনন্য সংহতি
পবিত্র
ভূমি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা প্রায় দুই মাস হতে চলল। এ ঘোষণা নিয়ে বিশ্বব্যাপী
চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। প্রতিবাদ জানাতে ফিলিস্তিনিরা রাজপথে বিক্ষোভে
নেমেছেন। মধ্যপ্রাচ্য দিন দিন যেন পরিণত হচ্ছে উত্তপ্ত উনুনে। তবে
ট্রাম্পের ওই ঘোষণার প্রতিবাদ করতে একেবারে ভিন্ন পথে হাঁটলেন এক
ফিলিস্তিনি দম্পতি। গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের বাসিন্দা নিদাল ও ইসলাম
আল-সাইকলি নামের ওই দম্পতির ঘর আলো করে একসঙ্গে এসেছে তিন সন্তান।
ফিলিস্তনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং ইসরায়েলের নয়, ফিলিস্তিনের রাজধানী
জেরুজালেম হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা ওই ত্রয়ীর নাম রেখেছেন জেরুজালেম,
ক্যাপিটাল ও প্যালেস্টাইন। জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী মনে করেন
ফিলিস্তিনিরা। তবে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এবং দীর্ঘদিনের
মার্কিন নীতি পাশ কাটিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী
ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
ওই ঘোষণার কয়েক দিন পর ওই ত্রয়ীর জন্ম। ত্রয়ীর মধ্যে
দুজন ছেলে যাদের নাম রাখা হয়েছে জেরুজালেম ও প্যালেস্টাইন। আর কন্যাশিশুটির
নাম দেওয়া হয়েছে ক্যাপিটাল। ত্রয়ীর মা ইসলাম আল-সাইকলি বলেন, ‘আল্লাহকে
ধন্যবাদ, আমি একসঙ্গে তিন সন্তানের মা হতে পেরে। এই কারণেই ট্রাম্পের
সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় আমরা তাদের নাম রাখতে সক্ষম হয়েছি।’ বাবা নিদাল
বলেন, ‘ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কোনো মূল্য নেই। জেরুজালেম আমাদের স্থায়ী
রাজধানী।’ শিশুদের নামের ব্যাখ্যা দিতে ওই দম্পতি একটি ছবি প্রকাশ করেছেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিছানায় শিশু তিনটি সার বেঁধে ঘুমিয়ে আছে, আর তাদের
পেটের ওপর রাখা হয়েছে তাদের জন্মসনদ। আর শিশুদের এক পাশে মা আর ও অন্য পাশে
বাবা বসে আছেন। অনেকে মনে করেন, ট্রাম্প বিশ্বরাজনীতির আগপাছ না ভেবেই
বিতর্কিত ওই সিদ্ধান্ত নেন। ফলে ফিলিস্তিনিরা তাঁর ওপর বেজায় চটেছেন।
নেমেছেন প্রতিবাদী বিক্ষোভ ও ন্যায্য দাবি আদায়ের সংগ্রামে। ১৯৬৭ সালে ছয়
দিন স্থায়ী আবর-ইসরায়েল যুদ্ধের পর জেরুজালেমকে দখল করে ইসরায়েল তা
নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা দেয়। তবে ইসরায়েলের এই দাবি আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায় কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।
No comments