চাকরির বয়সসীমা: ভুগবে কেন তরুণেরা? by তুহিন ওয়াদুদ
আমাদের
দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে
তুলনা করলে কিংবা এ দেশের বাস্তবতায় এই সময়সীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন কি না, এ
নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে লেখালেখি-মানববন্ধন-সভা-সেমিনার-স্মারকলিপি পেশসহ
বহুবিধ কর্মসূচি। সরকার কখনো কখনো চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির পক্ষে
অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই অবস্থানও বদলেছে। দীর্ঘদিনের
আন্দোলন এখন রূপ নিয়ে অনশনে। সরকার কি অনশনকারীদের যৌক্তিকতা বিচার করবে?
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন বাড়ানো প্রয়োজন?
আমাদের গড় আয়ু যখন ছিল ষাটের নিচে, তখন আমাদের চাকরি থেকে অবসরের সময় ছিল ৫৭ বছর। এখন সেই অবসরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ বছর। আলোচনা চলছে অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি করার। অবসরের সময় বাড়লে সংগত কারণে ওই দুই বছর চাকরিতে নতুনদের প্রবেশের সুযোগ কমে আসে। কারণ, ওপরের পদ শূন্য হলেই কেবল নিচের পদে জনবল নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সেই বিবেচনায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা উচিত। একই সঙ্গে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করাই ছিল যুক্তিসংগত।
স্কুলিং বেড়েছে, চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়েনি
আমাদের দেশে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আগে স্নাতক ছিল দুই বছরের। এখন হয়েছে তিন বছর। আগে স্নাতক (সম্মান) ছিল তিন বছরের কোর্স, এখন চার বছরের। আগে স্নাতকোত্তর শেষ করতে প্রয়োজন হতো চার বছর, এখন পাঁচ বছর। স্কুলিং এক বছর করে বাড়লেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়েনি। মেডিকেল কলেজে স্কুলিং বেশি হওয়ার কারণে তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা করা হয়েছে ৩২ বছর। তাহলে সাধারণদের স্কুলিং বেড়ে যাওয়ার পরও কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়বে না?
পাঠক্রমে মনোযোগীদের জন্য সময় বৃদ্ধি জরুরি
বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ পর্যায়ে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদল আছে, যারা পাঠক্রম (সিলেবাস) ভালোভাবে পড়ে। একাডেমিক ফল ভালো করার প্রত্যাশায় দিন-রাত পাঠক্রম রপ্ত করতে থাকে। লক্ষ্য তাদের প্রথম শ্রেণি কিংবা ভালো সিজিপিএ অর্জন। যারা সাধারণত পাঠক্রমকেন্দ্রিক পাঠে মনোনিবেশ করে, তারা চাকরির প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে না। তাদের প্রস্তুতি নিতে হয় পাঠক্রমের পরীক্ষা শেষ করার পর। ফলে তারা চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অনেক কম পায়। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কম হওয়ার কারণে এখন অনেকেই বিষয়ভিত্তিক পড়ালেখা কমিয়ে শুধু বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য চাকরির গাইড পড়ে। এতে করে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাঠক্রমে মনোযোগ দেওয়ার বেলায় নিরুৎসাহিত হন।
চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষতির দায় কার?
একজন শিক্ষার্থী তাঁর লেখাপড়াজীবনে পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে অনেকটা সময় ক্ষতিগ্রস্ত হন। একজন শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দেন। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার কথা ১৮ বছর বয়সে। স্নাতক (সম্মান) পাস করার কথা ২২ বছর বয়সে। স্নাতকোত্তর ২৩ বছর বয়সে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর হলে প্রত্যেকে সাত বছর করে সময় পাওয়ার কথা চাকরির জন্য, চেষ্টার জন্য। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে তাঁদের যে সময় নষ্ট হয়, সেই সময় কি সরকার তাঁদের দিচ্ছে? এ রকম তো কোনো পদ্ধতি চালু নেই যে একজন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর পাসের পরদিন থেকে হিসাব করে সাত বছর সময় পাবেন চাকরির চেষ্টা করার জন্য। এখন স্নাতকোত্তর শেষ করতে কারও কারও ২৬ থেকে ২৮ বছর লাগে। পদ্ধতিগত কিংবা সেশনজটগত কারণে শিক্ষার্থীর কয়েক বছর ক্ষতির দায় কে নেবে? এর একটি উপায় তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি কি লাভজনক?
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে কারও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং যাঁরা সরকারি চাকরিতে নিজেদের মেধা প্রয়োগ করতে চান, তাঁদের বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটা দেশের জন্য কল্যাণের। আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপালসহ বিশ্বের অনেক দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৮-এর ওপর। বাংলাদেশের চাকরি প্রত্যাশীরা চান মাত্র ৩৫ বছর। সেটুকু বাস্তবায়নেও সরকারের অনীহা।
সরকারের চেষ্টা কি সুদূর পরাহত?
২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে মহাজোট সরকার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কিছু কিছু কাজকে বেছে নিয়েছিল। এসবের মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করারও কথা বলা হয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচনে যেহেতু জনগণের অংশগ্রহণ খুব বেশি ছিল না, তাই হয়তো বিষয়টি চাপা পড়েছে। দেশের এক দল শিক্ষার্থী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বৃদ্ধি করার। কয়েক বছর আগে ঢাকায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ আয়োজিত একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে রাশেদ খান মেননও উপস্থিত ছিলেন। তিনি তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধিকরণে তিনিও ভূমিকা রাখবেন। সেই চেষ্টা আজ সুদূর পরাহত? দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনকারীরা অনশন শুরু করেছেন। আসলে তাঁদের অনশন হঠাৎ করে নয়। দীর্ঘদিন আন্দোলন শেষে তাঁরা অনশনে বসেছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, সবাই শুধু সরকারের শেষ বছরে এসে দাবি উত্থাপন করছেন এবং অনশনে বসছেন। কেন অনশন করছেন, তাঁদের অনশন যৌক্তিক কি না, এসব বিবেচনা করাটাই জরুরি। সরকারের এ মেয়াদে সময় আছে আর অল্প দিন। আমরা আশা করি, সরকার আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি যৌক্তিকভাবে সমর্থন দেবে। কারণ, তাঁরা চাকরি চাননি, বেকার ভাতা চাননি, চেয়েছেন চাকরির চেষ্টা করার অধিক সময়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবেন—এটাই আমাদের বিশ্বাস।
তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
wadudtuhin@gmail.com
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন বাড়ানো প্রয়োজন?
আমাদের গড় আয়ু যখন ছিল ষাটের নিচে, তখন আমাদের চাকরি থেকে অবসরের সময় ছিল ৫৭ বছর। এখন সেই অবসরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ বছর। আলোচনা চলছে অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি করার। অবসরের সময় বাড়লে সংগত কারণে ওই দুই বছর চাকরিতে নতুনদের প্রবেশের সুযোগ কমে আসে। কারণ, ওপরের পদ শূন্য হলেই কেবল নিচের পদে জনবল নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সেই বিবেচনায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা উচিত। একই সঙ্গে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করাই ছিল যুক্তিসংগত।
স্কুলিং বেড়েছে, চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়েনি
আমাদের দেশে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আগে স্নাতক ছিল দুই বছরের। এখন হয়েছে তিন বছর। আগে স্নাতক (সম্মান) ছিল তিন বছরের কোর্স, এখন চার বছরের। আগে স্নাতকোত্তর শেষ করতে প্রয়োজন হতো চার বছর, এখন পাঁচ বছর। স্কুলিং এক বছর করে বাড়লেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়েনি। মেডিকেল কলেজে স্কুলিং বেশি হওয়ার কারণে তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা করা হয়েছে ৩২ বছর। তাহলে সাধারণদের স্কুলিং বেড়ে যাওয়ার পরও কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়বে না?
পাঠক্রমে মনোযোগীদের জন্য সময় বৃদ্ধি জরুরি
বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ পর্যায়ে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদল আছে, যারা পাঠক্রম (সিলেবাস) ভালোভাবে পড়ে। একাডেমিক ফল ভালো করার প্রত্যাশায় দিন-রাত পাঠক্রম রপ্ত করতে থাকে। লক্ষ্য তাদের প্রথম শ্রেণি কিংবা ভালো সিজিপিএ অর্জন। যারা সাধারণত পাঠক্রমকেন্দ্রিক পাঠে মনোনিবেশ করে, তারা চাকরির প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে না। তাদের প্রস্তুতি নিতে হয় পাঠক্রমের পরীক্ষা শেষ করার পর। ফলে তারা চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অনেক কম পায়। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কম হওয়ার কারণে এখন অনেকেই বিষয়ভিত্তিক পড়ালেখা কমিয়ে শুধু বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য চাকরির গাইড পড়ে। এতে করে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাঠক্রমে মনোযোগ দেওয়ার বেলায় নিরুৎসাহিত হন।
চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষতির দায় কার?
একজন শিক্ষার্থী তাঁর লেখাপড়াজীবনে পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে অনেকটা সময় ক্ষতিগ্রস্ত হন। একজন শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দেন। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার কথা ১৮ বছর বয়সে। স্নাতক (সম্মান) পাস করার কথা ২২ বছর বয়সে। স্নাতকোত্তর ২৩ বছর বয়সে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর হলে প্রত্যেকে সাত বছর করে সময় পাওয়ার কথা চাকরির জন্য, চেষ্টার জন্য। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে তাঁদের যে সময় নষ্ট হয়, সেই সময় কি সরকার তাঁদের দিচ্ছে? এ রকম তো কোনো পদ্ধতি চালু নেই যে একজন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর পাসের পরদিন থেকে হিসাব করে সাত বছর সময় পাবেন চাকরির চেষ্টা করার জন্য। এখন স্নাতকোত্তর শেষ করতে কারও কারও ২৬ থেকে ২৮ বছর লাগে। পদ্ধতিগত কিংবা সেশনজটগত কারণে শিক্ষার্থীর কয়েক বছর ক্ষতির দায় কে নেবে? এর একটি উপায় তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি কি লাভজনক?
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে কারও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং যাঁরা সরকারি চাকরিতে নিজেদের মেধা প্রয়োগ করতে চান, তাঁদের বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটা দেশের জন্য কল্যাণের। আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপালসহ বিশ্বের অনেক দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৮-এর ওপর। বাংলাদেশের চাকরি প্রত্যাশীরা চান মাত্র ৩৫ বছর। সেটুকু বাস্তবায়নেও সরকারের অনীহা।
সরকারের চেষ্টা কি সুদূর পরাহত?
২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে মহাজোট সরকার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কিছু কিছু কাজকে বেছে নিয়েছিল। এসবের মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করারও কথা বলা হয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচনে যেহেতু জনগণের অংশগ্রহণ খুব বেশি ছিল না, তাই হয়তো বিষয়টি চাপা পড়েছে। দেশের এক দল শিক্ষার্থী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বৃদ্ধি করার। কয়েক বছর আগে ঢাকায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ আয়োজিত একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে রাশেদ খান মেননও উপস্থিত ছিলেন। তিনি তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধিকরণে তিনিও ভূমিকা রাখবেন। সেই চেষ্টা আজ সুদূর পরাহত? দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনকারীরা অনশন শুরু করেছেন। আসলে তাঁদের অনশন হঠাৎ করে নয়। দীর্ঘদিন আন্দোলন শেষে তাঁরা অনশনে বসেছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, সবাই শুধু সরকারের শেষ বছরে এসে দাবি উত্থাপন করছেন এবং অনশনে বসছেন। কেন অনশন করছেন, তাঁদের অনশন যৌক্তিক কি না, এসব বিবেচনা করাটাই জরুরি। সরকারের এ মেয়াদে সময় আছে আর অল্প দিন। আমরা আশা করি, সরকার আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি যৌক্তিকভাবে সমর্থন দেবে। কারণ, তাঁরা চাকরি চাননি, বেকার ভাতা চাননি, চেয়েছেন চাকরির চেষ্টা করার অধিক সময়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবেন—এটাই আমাদের বিশ্বাস।
তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
wadudtuhin@gmail.com
No comments