ভারত-শ্রীলংকার চেয়েও বাংলাদেশীরা সুখী
জাতিসংঘের সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১১০তম দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুসারে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নরওয়ে বিশ্বের
সবচেয়ে সুখী দেশের মর্যাদা পেয়েছে। গতবারের তালিকায় শীর্ষ দেশ ডেনমার্ক দ্বিতীয় নাম্বারে নেমে এসেছে। সুখের
তালিকায় এগিয়ে আছেন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মানুষও।
অন্যদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের মানুষ। অসুখী
দেশের তালিকায় রয়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। সোমবার ‘ইন্টারন্যাশনাল হ্যাপিনেস ডে’ উপলক্ষে প্রকাশিত হয় জাতিসংঘের
বার্ষিক ‘দ্য ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০১৭’। টানা পঞ্চমবারের মতো
বার্ষিক এ তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটির সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস
নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন)। ১৫৫টি দেশের এক হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে এ
তালিকা করা হয়েছে। তালিকা প্রণয়নে দেশগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা, সামাজিক
নিরাপত্তা, নাগরিকদের গড় আয়ুষ্কাল, মানুষের উদারতা, রাষ্ট্রের দুর্নীতির
অবস্থা প্রভৃতি সূচককে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ১৫৫টি দেশের তালিকায় সেরা ১০টি সুখী দেশ যথাক্রমে- নরওয়ে, ডেনমার্ক,
আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, কানাডা,
নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং সুইডেন।
অন্যদিকে অসুখী দেশ হিসেবে আফ্রিকার
দেশগুলো বেশ এগিয়ে রয়েছে। তালিকায় সব শেষ অবস্থানে আছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (১৫৫তম)। এরপর
ঊর্ধ্বক্রমে বুরুন্ডি, তানজানিয়া, সিরিয়া, রুয়ান্ডা, গিনি, দক্ষিণ সুদান ও
ইয়েমেনের অবস্থান। মূলত দীর্ঘদিন থেকে চলমান যুদ্ধ, সংঘাত, খাদ্যাভাব,
অপুষ্টি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, প্রভৃতি কারণে এসব দেশ তালিকায় তলানিতে
পড়েছে। তালিকায় একধাপ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবার ১৪তম অবস্থানে নেমে গেছে। ইউরোপের
দেশ জার্মানি ১৬তম, ব্রিটেন ১৯তম এবং ফ্রান্স ৩১তম অবস্থানে রয়েছে। রাশিয়া
আছে ৪৯তম অবস্থানে। অন্যদিকে এশিয়ার দেশ জাপানের অবস্থান ৫১তম। চীন
বিশ্বের ৭৯তম সুখী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে
দেশটির অবস্থান ৮০তম। এর পরই রয়েছে নেপাল (৯৯তম), বাংলাদেশ (১১০তম), ভারত
(১২২তম), শ্রীলংকা (১২০তম) ও আফগানিস্তান (১৪২তম)। জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনের আলোকে ভারতের চেয়ে সুখী দেশ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক ও
সামাজিক খাতে ক্রমাগত উন্নতি ও ক্রমবর্ধমান গড় আয়ু বাংলাদেশের এ অর্জনে
ভূমিকা রেখেছে।
No comments