চট্টগ্রামে জঙ্গি আস্তানার খোঁজে অভিযান
জঙ্গি
আস্তানার খোঁজে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ ও পাহাড়তলী এলাকার দুটি বাড়িতে
অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে শুরু হওয়া এ অভিযান ২ ঘণ্টা
ধরে চলে। তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পৃথক
অভিযান চলায় পুলিশ-র্যাব-সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। সূত্র
বলছে, সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার জঙ্গিদের দেয়া তথ্যের
ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।
বাড়ি দুটি হচ্ছে- নগরীর আকবর শাহ থানাধীন
কর্নেল হাট আবাসিক এলাকার মোয়াজ্জেম হকের মালিকানাধীন ‘মম নিবাস’ এবং
পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলী ইশান মহাজন সড়কে অবস্থিত শ্রীষ সাহার বাড়ি।
চার তলার দুটি বাড়ি পুলিশ ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘিরে রেখে অভিযান
পরিচালনা করে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার
(পশ্চিম) নাজমুল হাসান পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘দুটি জঙ্গি আস্তানা
আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়েছি। এটি চলমান ব্লক রেইডের
অংশমাত্র। যেখানেই জঙ্গি আস্তানার খবর পাওয়া যাবে বা সন্দেহ হবে সেখানেই
অভিযান চলবে। এর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি
হামলার পর রাজধানীতে ব্লক রেইড দিয়ে ধারাবাহিক অভিযান চালায় পুলিশ। পরে
ঢাকার কল্যাণপুর, মিরপুর, আজিমপুর, আশুলিয়াসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে জঙ্গি
আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। এসব অভিযানে বেশ কয়েক শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নিহত
হয়।
অনেকটা সেই আদলে সোমবার বিকালে চট্টগ্রামে দুই বাড়িতে ব্লক রেইড দিয়ে
অভিযান চালান আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। চট্টগ্রাম পুলিশ জানায়,
সীতাকুণ্ডের লামার বাজার ‘সাধনকুঠির’ থেকে গ্রেফতার জঙ্গি আরজিনা
জিজ্ঞাসাবাদে জেলা পুলিশকে একাধিক জঙ্গির অবস্থানের তথ্য দেয়। ফোন নম্বরও
দেয়। এসব তথ্যের ভিত্তিতে এবং মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে অভিযান চালানো হয়।
আকবর শাহ ও পাহাড়তলী থানা এলাকার চারতলা বিশিষ্ট দুটি বাড়ির প্রতিটি ফ্লোর
এবং বিভিন্ন কক্ষে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালালেও
কাউকে গ্রেফতার বা কোনো কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। এর আগে কুমিল্লায়
গ্রেফতার সন্দেহভাজন দুই জঙ্গির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৭ মার্চ মিরসরাই
উপজেলায় একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বোমা ও চাপাতি উদ্ধার করে
পুলিশ।
No comments