ইসরাইল নিয়ে প্রতিবেদন প্রত্যাহারে সমালোচিত জাতিসংঘ
ইসরাইলের
বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘বৈষম্যমূলক শাসন’ চাপানোর অভিযোগ তুলে
প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নেয়ার পর জাতিসংঘের কড়া সমালোচনা
করেছেন লেবাননের হিযবুল্লাহ নেতারা। জাতিসংঘের পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক
অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইএসসিডব্লিউএ) প্রকাশ করা প্রতিবেদনটি
ইন্টারনেট থেকে মহাসচিব সরিয়ে নিতে বলার পর শুক্রবার জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ
কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী ওই কর্মকর্তা রিমা খালাফের
সাহসিকতার প্রশংসা করেছে ফিলিস্তিন। তার এ সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ
খালাফকে ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ সম্মাননায়ও ভূষিত করেছেন ফিলিস্তিনি
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। খবর রয়টার্স ও আল জাজিরার। জাতিসংঘের আন্ডার
সেক্রেটারি জেনারেল ও ইএসসিডব্লিউএর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি রিমা খালাফ
বলেছেন, ‘শক্তিশালী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর’ পক্ষ থেকে এই বিশ্ব সংস্থা ও এর
প্রধানের ওপর ‘হিংস্র হামলা ও হুমকির’ চাপ আসার পর তিনি পদত্যাগ করেছেন।
হিযবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ শনিবার এক টেলিভিশন বক্তৃতায়
বলেন,
এ ঘটনা জাতিসংঘের বিষয়ে একটি সত্য আবারও মনে করিয়ে দিল যে, ‘এই
সংস্থা দুর্বল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করতে
বাধ্য।’ তিনি বলেন, জাতিসংঘ কোনো অবস্থান নিতে অক্ষম এবং প্রতিবেদন ঘিরে এই
যে বিপর্যয় তা প্রমাণ করে ‘আমাদের ধর্মে মানবিক অধিকার রক্ষায়’ এই সংস্থার
ওপর আস্থা রাখা যায় না। ১৮টি আরব রাষ্ট্রভুক্ত ইএসসিডব্লিউএ বুধবার ওই
প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ সংস্থা
স্পষ্ট ভাষায় এই অভিযোগ আনল যে ইসরাইল ‘একটি বৈষম্যমূলক শাসনব্যবস্থা
প্রতিষ্ঠা করে সামগ্রিকভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চেপে বসেছে। সমালোচকদের
পক্ষ থেকে প্রায় তোলা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষুব্ধ ইসরাইল এবং ডার
স্টারমার নামে একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে এর তুলনা করেন, যেটি ছিল মারাত্মক
‘অ্যান্টি-সেমিটিক একটি নাৎসি প্রপাগান্ডা’। ইসরাইলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র
বলেছে, এটাতে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং এই প্রতিবেদন সরিয়ে নেয়ার দাবি
জানিয়েছে।
No comments