তেলের সঙ্গে কোকেন: তদন্ত নিয়ে দ্বন্দ্বে না জড়াতে সরকারি সংস্থাগুলোকে আদালতের আদেশ
তেলের
চালানে কোকেন শনাক্ত হওয়ার মামলার তদন্তে সরকারি সংস্থাগুলো
অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বে জড়ালে এবং এর মাধ্যমে আসামিরা সুবিধা পেলে
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হতে পারে বলে সতর্ক
করেছেন আদালত। একই সঙ্গে জব্দ হওয়া সূর্যমুখী তেলের নমুনা সংগ্রহ করে
পরীক্ষাগারে পাঠানো, জব্দ তালিকা তৈরি এবং তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতার জন্য
চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে আবারও নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলম এই মামলার তদন্তসংক্রান্ত বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদেশের অনুলিপি চট্টগ্রামের কমিশনার অব কাস্টমস, পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালককে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান আদালতে অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাস্টমস কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে জব্দ তালিকা তৈরি ও আলামত সংগ্রহ করা যায়নি। একই দিন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমেদ পৃথক আবেদনে আদালতকে জানান, মামলার আলামত অন্য কোনো সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হলে তদন্তকাজ ব্যাহত হতে পারে। কারণ, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর বিষয়টির তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বার্থে পুলিশ, কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বন্দর নিরাপত্তা বিভাগকে সমন্বিত সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কোনো সংস্থা আদালতের আদেশ পালন না করলে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ আদালত অবমাননার মামলা করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিচারক।
সরকারি কৌঁসুলি জানান, মামলাটিকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিচারক আদেশে বলেছেন, মামলার আলামত কোনো ব্যক্তি কিংবা সংস্থার ব্যক্তিগত বা নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পত্তি দাবি করার সুযোগ নেই। কোনো সংস্থা আলামতের ওপর কোনো কর্তৃত্ব অর্জন করবে না। আদালতের নির্দেশে বন্দর কর্তৃপক্ষের হেফাজতে তা থাকবে এবং বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন, তদন্তকাজে স্বচ্ছতার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশের একজন উপকমিশনার এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর নিরাপত্তা বিভাগ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন করে প্রতিনিধির (প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা) উপস্থিতিতে কনটেইনার থেকে ড্রামগুলো খুলে বিস্তারিত বর্ণনাসহ তদন্ত কর্মকর্তা জব্দ তালিকা তৈরি করবেন। প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে তা (নমুনা) পরীক্ষার জন্য আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। আদেশে বলা হয়েছে, নমুনা সংগ্রহের পর ভবিষ্যতে কোনো কারণে আলামত যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য প্রতিটি ড্রামের মুখ বন্ধ করে সিলগালা করা এবং কনটেইনার সিলগালা করে সংরক্ষণ করতে হবে। সিলগালা কার্ডে উপস্থিত সব সংস্থার প্রতিনিধি স্বাক্ষর করবেন।
পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ জুন কোকেন সন্দেহে সূর্যমুখী তেলের চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গত ২৭ জুন তেলের চালানের একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে বন্দর থানায় মামলা করে পুলিশ। কিন্তু মামলায় ত্রুটি থাকায় জব্দ হওয়া সূর্যমুখী তেলের চালানের প্রতিটি ড্রাম থেকে ২০০ মিলিমিটার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো, জব্দ তালিকা তৈরি এবং তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে গত রোববার নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলম। বর্তমানে এই মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলম এই মামলার তদন্তসংক্রান্ত বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদেশের অনুলিপি চট্টগ্রামের কমিশনার অব কাস্টমস, পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালককে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান আদালতে অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাস্টমস কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে জব্দ তালিকা তৈরি ও আলামত সংগ্রহ করা যায়নি। একই দিন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমেদ পৃথক আবেদনে আদালতকে জানান, মামলার আলামত অন্য কোনো সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হলে তদন্তকাজ ব্যাহত হতে পারে। কারণ, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর বিষয়টির তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বার্থে পুলিশ, কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বন্দর নিরাপত্তা বিভাগকে সমন্বিত সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কোনো সংস্থা আদালতের আদেশ পালন না করলে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ আদালত অবমাননার মামলা করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিচারক।
সরকারি কৌঁসুলি জানান, মামলাটিকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিচারক আদেশে বলেছেন, মামলার আলামত কোনো ব্যক্তি কিংবা সংস্থার ব্যক্তিগত বা নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পত্তি দাবি করার সুযোগ নেই। কোনো সংস্থা আলামতের ওপর কোনো কর্তৃত্ব অর্জন করবে না। আদালতের নির্দেশে বন্দর কর্তৃপক্ষের হেফাজতে তা থাকবে এবং বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন, তদন্তকাজে স্বচ্ছতার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশের একজন উপকমিশনার এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর নিরাপত্তা বিভাগ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন করে প্রতিনিধির (প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা) উপস্থিতিতে কনটেইনার থেকে ড্রামগুলো খুলে বিস্তারিত বর্ণনাসহ তদন্ত কর্মকর্তা জব্দ তালিকা তৈরি করবেন। প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে তা (নমুনা) পরীক্ষার জন্য আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। আদেশে বলা হয়েছে, নমুনা সংগ্রহের পর ভবিষ্যতে কোনো কারণে আলামত যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য প্রতিটি ড্রামের মুখ বন্ধ করে সিলগালা করা এবং কনটেইনার সিলগালা করে সংরক্ষণ করতে হবে। সিলগালা কার্ডে উপস্থিত সব সংস্থার প্রতিনিধি স্বাক্ষর করবেন।
পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ জুন কোকেন সন্দেহে সূর্যমুখী তেলের চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গত ২৭ জুন তেলের চালানের একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে বন্দর থানায় মামলা করে পুলিশ। কিন্তু মামলায় ত্রুটি থাকায় জব্দ হওয়া সূর্যমুখী তেলের চালানের প্রতিটি ড্রাম থেকে ২০০ মিলিমিটার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো, জব্দ তালিকা তৈরি এবং তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে গত রোববার নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলম। বর্তমানে এই মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
No comments