আফগান-তালেবান আলোচনা চলবে
আফগানিস্তানের সরকার ও তালেবানের মধ্যে প্রথম দফা আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মারি শহরে গত মঙ্গলবার রাতে এ আলোচনা শুরু হয়েছিল। দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা আবারও আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপি ও ডনের।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাজী খলিলুল্লাহ জানিয়েছেন, আফগান নেতৃত্বাধীন শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ইসলামাবাদ এ বৈঠকের আয়োজন করে। আফগান হাই পিস কাউন্সিল (এইচপিসি) ও তালেবানের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সেহরি খাওয়ার পর আলোচনা শেষ হয়।
আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার উপায় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। মুখপাত্র খলিলুল্লাহ বলেন, সমঝোতার বিষয়ে দুই পক্ষই আশাবাদী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা আবারও আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে পরবর্তী আলোচনার তারিখ ঠিক করা হয়নি। রমজান মাস শেষে তা ঠিক হবে।
আলোচনায় বসলেও বার্ষিক গ্রীষ্মকালীন হামলা বন্ধ রাখেনি তালেবান। মঙ্গলবার কাবুলে ন্যাটোর গাড়িবহর এবং একটি গোয়েন্দা কার্যালয় লক্ষ্য করে দুটি আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।
কয়েক মাস ধরে তালেবানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। তবে প্রায় সব কটিই হয়েছে গোপনে। এবার মারি শহরের এই আলোচনায় আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হেকমত খলিল কারজাই। এ ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আফগান সরকারের পক্ষ থেকে তালেবান জঙ্গিদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা আলোচনায় বসবেন, এমন ইঙ্গিত কয়েক দিন ধরেই দেওয়া হচ্ছিল। তবে তিনিই যে খোদ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী, তা আগেভাগে জানানো হয়নি।
পাকিস্তানের মুখপাত্র কাজী খলিলুল্লাহ আরও বলেন, মঙ্গলবারের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর্যবেক্ষকেরাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সদিচ্ছা প্রদর্শন করায় আফগান সরকার ও তালেবানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিনন্দন: আফগানিস্তান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আফগানিস্তান সরকার পাকিস্তানে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে—এ খবর প্রকাশের পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট মঙ্গলবার বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য শান্তির সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে এটা একটা বড় পদক্ষেপ।’
২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে আফগানিস্তানের কট্টরপন্থী তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে সশস্ত্র লড়াই অব্যাহত রেখেছে তালেবান। এ সংঘাত বন্ধে গত কয়েক মাসে নরওয়ে, কাতার ও চীনে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাজী খলিলুল্লাহ জানিয়েছেন, আফগান নেতৃত্বাধীন শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ইসলামাবাদ এ বৈঠকের আয়োজন করে। আফগান হাই পিস কাউন্সিল (এইচপিসি) ও তালেবানের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সেহরি খাওয়ার পর আলোচনা শেষ হয়।
আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার উপায় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। মুখপাত্র খলিলুল্লাহ বলেন, সমঝোতার বিষয়ে দুই পক্ষই আশাবাদী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা আবারও আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে পরবর্তী আলোচনার তারিখ ঠিক করা হয়নি। রমজান মাস শেষে তা ঠিক হবে।
আলোচনায় বসলেও বার্ষিক গ্রীষ্মকালীন হামলা বন্ধ রাখেনি তালেবান। মঙ্গলবার কাবুলে ন্যাটোর গাড়িবহর এবং একটি গোয়েন্দা কার্যালয় লক্ষ্য করে দুটি আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।
কয়েক মাস ধরে তালেবানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। তবে প্রায় সব কটিই হয়েছে গোপনে। এবার মারি শহরের এই আলোচনায় আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হেকমত খলিল কারজাই। এ ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আফগান সরকারের পক্ষ থেকে তালেবান জঙ্গিদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা আলোচনায় বসবেন, এমন ইঙ্গিত কয়েক দিন ধরেই দেওয়া হচ্ছিল। তবে তিনিই যে খোদ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী, তা আগেভাগে জানানো হয়নি।
পাকিস্তানের মুখপাত্র কাজী খলিলুল্লাহ আরও বলেন, মঙ্গলবারের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর্যবেক্ষকেরাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সদিচ্ছা প্রদর্শন করায় আফগান সরকার ও তালেবানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিনন্দন: আফগানিস্তান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আফগানিস্তান সরকার পাকিস্তানে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে—এ খবর প্রকাশের পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট মঙ্গলবার বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য শান্তির সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে এটা একটা বড় পদক্ষেপ।’
২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে আফগানিস্তানের কট্টরপন্থী তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে সশস্ত্র লড়াই অব্যাহত রেখেছে তালেবান। এ সংঘাত বন্ধে গত কয়েক মাসে নরওয়ে, কাতার ও চীনে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়।
No comments