পরীক্ষা দুর্নীতি নিয়ে বিপদে বিজেপি by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির নতুন সমস্যার নাম ‘ব্যপম দুর্নীতি’। মধ্য প্রদেশের এই দুর্নীতির সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িতদের একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যু গোটা বিষয়কে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে। প্রশ্নের মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং রাজ্যপাল রাম নরেশ যাদবের ভূমিকা। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের ইস্তফার দাবিতে সরব বিরোধী দল কংগ্রেস। গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত হবে কি না এবং রাজ্যপালকে জেরা করা যাবে কি না, সেই মামলার শুনানি হবে আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে।
মধ্য প্রদেশ সরকারের ব্যবসায়িক পরীক্ষা মণ্ডল (ব্যপম) সংস্থা রাজ্যের বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রের পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষা শেষে সফল প্রার্থীদের বিভিন্ন সরকারি পদে নিযুক্তিও দেয় এই সংস্থা। অভিযোগ, দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্নীতি চলছে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে। রাজ্যের রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও আমলাদের বড় বড় মাথা এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। পরীক্ষা না দিয়েও পাস করিয়ে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বছরের পর বছর ধরে প্রভাবশালীরা রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থায় নিযুক্তি দিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, তাঁর স্ত্রী সাধনা, রাজ্যপাল রাম নরেশ যাদবসহ বহু আমলা ও পদস্থ ব্যক্তি। আর দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার পর অভিযুক্ত, তদন্তকারী এবং তদন্তের কাজে সাহায্যকারীরা একের পর এক মারা যাচ্ছেন। অধিকাংশ মৃত্যুই অস্বাভাবিক!
এখন পর্যন্ত এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪৮। এঁদের মধ্যে রয়েছেন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজ্যপাল রাম নরেশ যাদবের পুত্র শৈলেশও। জব্বলপুর মেডিকেল কলেজের ডিন অরুণ শর্মা ও তাঁর পূর্বসূরি ডি কে সকাল্লেরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা তদন্তকারীদের সাহায্য করছিলেন। এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে সন্দেহভাজন এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। আবার মেয়েটির বাবার সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সর্বভারতীয় এক টেলিভিশন সংস্থার সাংবাদিকের। গত সোম ও মঙ্গলবার মারা যান রাজ্যের দুই পুলিশ কনস্টেবল। অভিযোগ, তাঁদের নিযুক্তিও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। একের পর এক এ ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্যু চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে গোটা দেশে।
দুর্নীতির বিচার থেকে রেহাই পেতে আইপিএলের সাবেক কমিশনার বিদেশে থাকা ললিত মোদির সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগের কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমনিতেই জেরবার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ইস্তফার দাবিতে কংগ্রেস এখনো সরব। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির ভুয়া সার্টিফিকেট মামলাও এই মাসে আদালতে উঠছে। মহারাষ্ট্রে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যতিব্যস্ত বিজেপির দুই মন্ত্রী পঙ্কজা মুন্ডে ও বিনোদ তাওড়ে প্রধানমন্ত্রীর বিব্রতকর অবস্থা আরও বাড়িয়েছেন। এরই মধ্যে ব্যপম দুর্নীতিকেন্দ্রিক একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির শিরঃপীড়ার নতুন কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্য প্রদেশ সরকারের ব্যবসায়িক পরীক্ষা মণ্ডল (ব্যপম) সংস্থা রাজ্যের বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রের পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষা শেষে সফল প্রার্থীদের বিভিন্ন সরকারি পদে নিযুক্তিও দেয় এই সংস্থা। অভিযোগ, দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্নীতি চলছে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে। রাজ্যের রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও আমলাদের বড় বড় মাথা এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। পরীক্ষা না দিয়েও পাস করিয়ে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বছরের পর বছর ধরে প্রভাবশালীরা রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থায় নিযুক্তি দিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, তাঁর স্ত্রী সাধনা, রাজ্যপাল রাম নরেশ যাদবসহ বহু আমলা ও পদস্থ ব্যক্তি। আর দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার পর অভিযুক্ত, তদন্তকারী এবং তদন্তের কাজে সাহায্যকারীরা একের পর এক মারা যাচ্ছেন। অধিকাংশ মৃত্যুই অস্বাভাবিক!
এখন পর্যন্ত এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪৮। এঁদের মধ্যে রয়েছেন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজ্যপাল রাম নরেশ যাদবের পুত্র শৈলেশও। জব্বলপুর মেডিকেল কলেজের ডিন অরুণ শর্মা ও তাঁর পূর্বসূরি ডি কে সকাল্লেরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা তদন্তকারীদের সাহায্য করছিলেন। এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে সন্দেহভাজন এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। আবার মেয়েটির বাবার সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সর্বভারতীয় এক টেলিভিশন সংস্থার সাংবাদিকের। গত সোম ও মঙ্গলবার মারা যান রাজ্যের দুই পুলিশ কনস্টেবল। অভিযোগ, তাঁদের নিযুক্তিও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। একের পর এক এ ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্যু চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে গোটা দেশে।
দুর্নীতির বিচার থেকে রেহাই পেতে আইপিএলের সাবেক কমিশনার বিদেশে থাকা ললিত মোদির সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগের কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমনিতেই জেরবার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ইস্তফার দাবিতে কংগ্রেস এখনো সরব। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির ভুয়া সার্টিফিকেট মামলাও এই মাসে আদালতে উঠছে। মহারাষ্ট্রে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যতিব্যস্ত বিজেপির দুই মন্ত্রী পঙ্কজা মুন্ডে ও বিনোদ তাওড়ে প্রধানমন্ত্রীর বিব্রতকর অবস্থা আরও বাড়িয়েছেন। এরই মধ্যে ব্যপম দুর্নীতিকেন্দ্রিক একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির শিরঃপীড়ার নতুন কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
No comments