প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বদলে যায় সবকিছু by আশরাফুল ইসলাম
নিজ
নির্বাচনী এলাকায় পূর্বনির্ধারিত দু’দিনের সরকারি সফরে যাওয়ার জন্য তৈরি
হচ্ছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল
ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে এমন প্রস্তুতির মাঝে জরুরি ফোন আসে প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয় থেকে। ফোন পেয়েই গণভবনে ছুটে যান সৈয়দ আশরাফ। স্থানীয় সরকার
মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে- এমন একটি খবর বেসরকারি
টেলিভিশনগুলোতে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে এর আগে থেকেই প্রচার হতে থাকে। কিন্তু
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের সাক্ষাতের পর পরই দ্রুত বদলে যেতে থাকে
দৃশ্যপট। শেষ বিকালে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ৩ ঘণ্টা পর কিশোরগঞ্জ পৌঁছে
সৈয়দ আশরাফ নিজেই বিষয়টিকে ‘গুজব’ হিসেবে অভিহিত করে এতে কান না দেয়ার
পরামর্শ দেন সাংবাদিকদের। এরপর থেকেই ক্রমাগত গণমাধ্যমকে এড়িয়ে গেছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ জেলায় গত দু’দিনের সফরে গণমাধ্যমকর্মীরা এ ব্যাপারে তার আর কোন
মন্তব্য আদায় করতে পারেননি। তবে এলজিআরডি মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন,
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রণালয়ের কাজে
আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, দল এবং
মন্ত্রিসভায় তার বিরুদ্ধে অনেকেই কথা বলছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাকে
সে ব্যাপারেও সতর্ক করেন। কিন্তু গণমাধ্যমের নিকট সৈয়দ আশরাফ এব্যাপারে কোন
কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। গতকাল বুধবার সকালে সদরের যশোদল ইউনিয়নের
বীরদামপাড়া গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনের সময় ‘আপনার বিরুদ্ধে কারা ষড়যন্ত্র
করছেন?’ এই প্রশ্নে সৈয়দ আশরাফ দু’ঠোটে তর্জনী আঙুল চেপে নিরুত্তর থাকেন।
তবে বেলা ২টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের পরিচিতি সভায় যোগ দিতে সৈয়দ আশরাফ সার্কিট হাউজে
এসে পৌঁছালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ‘ষড়যন্ত্রের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে
দাও’- এমন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এলজিআরডি মন্ত্রীর বেইলী রোডের বাসভবন থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। মন্ত্রীর সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নিতে তার ২১ বেইলী রোডের বাসভবনে নির্ধারিত সময়ে যান কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও তার ছোট ভাই রাসেল আহাম্মদ তুহিনও। কিন্তু এর মাঝেই সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতির খবর বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচার হতে থাকলে দেশজুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জেও মন্ত্রীর সফর নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ফোন আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। প্রধানমন্ত্রীর জরুরি ফোন পেয়ে তৎক্ষণাত গণভবনে ছুটে যান সৈয়দ আশরাফ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কারণে সৈয়দ আশরাফকে অনেকটা বিলম্বে তার নির্ধারিত সফরের জন্য কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দিতে হয়। বিকাল ৩টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছার কথা থাকলেও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বিকাল সোয়া ৬টার দিকে তার খরমপট্টি এলাকার বাসভবনে পৌঁছান। সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতির বিষয়টিকে ‘গুজব’ হিসেবে উল্লেখ করে এতে কান না দেয়ার পরামর্শ দেন। পরে শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে কিশোরগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়ে সেখানে ইফতারের পূর্বে সৈয়দ আশরাফ মাত্র এক মিনিটের বক্তৃতায় কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলায় দু’দিন দু’টি ইফতারে অংশ নিতে এসেছেন জানিয়ে ইফতার আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানান। ইফতারের আগে ও পরে গণমাধ্যমকর্মীরা মন্ত্রিত্ব নিয়ে বার বার এলজিআরডি মন্ত্রীর বক্তব্য চাইলেও তাদের হতাশ করেন মন্ত্রী। ইফতার শেষে রাতে শহরের খরমপট্টি এলাকার বাসভবন ‘পূর্ণি ভিলা’য় মন্ত্রী রাতযাপন করেন। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, বাসায় দলীয় নেতৃবৃন্দের অনেকেই মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তবে সেটি কুশলাদি বিনিময় পর্যন্তই ছিল। রাত একটার দিকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফাঁকে ফাঁকে পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গেও অনুরূপ কুশল বিনিময় করেন। তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে তিনি টুকটাক কথা বলেন। এ সময় তিনি এও বলেন, ‘নো নিউজ ইজ গুড নিউজ, গুড নিউজ ইজ নো নিউজ।’ সকালে ঘুম থেকে ওঠে সোয়া দশটার দিকে তিনি যশোদল ইউনিয়নের বীরদামপাড়া গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনের উদ্দেশে বের হন। বেলা ১১টার দিকে সেখানে পৌঁছে পারিবারিক কবরস্থানে সদ্যপ্রয়াত ফুফু সৈয়দা সজেতুন নেছার কবর জিয়ারত, নবনির্মিত মসজিদ পরিদর্শন ও শাহ সৈয়দ গওহর আলীর মাজার জিয়ারত করেন। সেখান থেকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি কিশোরগঞ্জের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়ে সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় পৌঁছান। পরে বেলা ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের পরিচিতি সভায় যোগ দিতে সৈয়দ আশরাফ সার্কিট হাউজে যান।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এলজিআরডি মন্ত্রীর বেইলী রোডের বাসভবন থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। মন্ত্রীর সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নিতে তার ২১ বেইলী রোডের বাসভবনে নির্ধারিত সময়ে যান কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও তার ছোট ভাই রাসেল আহাম্মদ তুহিনও। কিন্তু এর মাঝেই সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতির খবর বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচার হতে থাকলে দেশজুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জেও মন্ত্রীর সফর নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ফোন আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। প্রধানমন্ত্রীর জরুরি ফোন পেয়ে তৎক্ষণাত গণভবনে ছুটে যান সৈয়দ আশরাফ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কারণে সৈয়দ আশরাফকে অনেকটা বিলম্বে তার নির্ধারিত সফরের জন্য কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দিতে হয়। বিকাল ৩টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছার কথা থাকলেও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বিকাল সোয়া ৬টার দিকে তার খরমপট্টি এলাকার বাসভবনে পৌঁছান। সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতির বিষয়টিকে ‘গুজব’ হিসেবে উল্লেখ করে এতে কান না দেয়ার পরামর্শ দেন। পরে শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে কিশোরগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়ে সেখানে ইফতারের পূর্বে সৈয়দ আশরাফ মাত্র এক মিনিটের বক্তৃতায় কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলায় দু’দিন দু’টি ইফতারে অংশ নিতে এসেছেন জানিয়ে ইফতার আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানান। ইফতারের আগে ও পরে গণমাধ্যমকর্মীরা মন্ত্রিত্ব নিয়ে বার বার এলজিআরডি মন্ত্রীর বক্তব্য চাইলেও তাদের হতাশ করেন মন্ত্রী। ইফতার শেষে রাতে শহরের খরমপট্টি এলাকার বাসভবন ‘পূর্ণি ভিলা’য় মন্ত্রী রাতযাপন করেন। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, বাসায় দলীয় নেতৃবৃন্দের অনেকেই মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তবে সেটি কুশলাদি বিনিময় পর্যন্তই ছিল। রাত একটার দিকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফাঁকে ফাঁকে পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গেও অনুরূপ কুশল বিনিময় করেন। তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে তিনি টুকটাক কথা বলেন। এ সময় তিনি এও বলেন, ‘নো নিউজ ইজ গুড নিউজ, গুড নিউজ ইজ নো নিউজ।’ সকালে ঘুম থেকে ওঠে সোয়া দশটার দিকে তিনি যশোদল ইউনিয়নের বীরদামপাড়া গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনের উদ্দেশে বের হন। বেলা ১১টার দিকে সেখানে পৌঁছে পারিবারিক কবরস্থানে সদ্যপ্রয়াত ফুফু সৈয়দা সজেতুন নেছার কবর জিয়ারত, নবনির্মিত মসজিদ পরিদর্শন ও শাহ সৈয়দ গওহর আলীর মাজার জিয়ারত করেন। সেখান থেকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি কিশোরগঞ্জের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়ে সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় পৌঁছান। পরে বেলা ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের পরিচিতি সভায় যোগ দিতে সৈয়দ আশরাফ সার্কিট হাউজে যান।
No comments