চার্জশিট গ্রহণ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নারায়ণগঞ্জের
আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে পলাতক ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করেছেন আদালত।
এর আগে একটি মামলার বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করেন আদালত। বুধবার সকালে
নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফ এ আদেশ দেন।
সাত খুনের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) দাখিল করা চার্জশিটের
(অভিযোগপত্র) বিরুদ্ধে একটি মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা
ইসলাম বিউটি নারাজি আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনের ওপর গত ৮ই জুন শুনানি হয়।
আদেশের জন্য বুধবার তারিখ ধার্য ছিল। আদালত ওই আবেদন নাকচ করে দুই মামলার
চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। আদেশের সময় সাত খুনের মামলায় অভিযুক্ত
র্যাব-১১ এর সাবেক তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন,
লে. কমান্ডার এমএম রানাসহ ২২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সেলিনা ইসলাম বিউটির মামলার আইনজীবী জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, মামলার তদন্ত সংস্থা আদালতে যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল তাতে অনেক অসঙ্গতি এবং এজাহার নামীয় অনেক আসামিকে বাদ দেয়ার কারণে আদালতে নারাজি পিটিশন দেয়া হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম সুবিচার পাবো। কিন্তু আদালতের আদেশে আমরা ব্যথিত, হতাশ ও সংক্ষুব্ধ হয়েছি। আদেশের সই মুড়ি নকল হাতে পাওয়ার পর আমরা এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে যাবো। সেলিনা ইসলাম বিউটি জানান, মামলার এজাহার থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর দুই আসামি ইকবাল ও আমিনুল হক রাজু এলাকায় ফিরে এসে হুমকিধমকি দিচ্ছে। রাজু মিজমিজি এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে দেড় কোটি টাকা খরচ করে নাকি মামলা থেকে বেরিয়ে এসেছে। যারা মামলা করেছে তাদের এখন দেখে নেবে। আর সাত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে যারা আন্দোলন করেছে ইকবাল তাদের হুমকি দিচ্ছে। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। হত্যার পরিকল্পনাকারীদের চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অথচ তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিল ১৫ দিনের মধ্যে নজরুল ইসলামকে শেষ করে দেবে। আমি আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি কেএম ফজলুর রহমান জানান, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে একটি মামলার বাদী নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল আদালতে উপস্থিত থেকে কোন আপত্তি উত্থাপন করেনি। এবং চার্জশিট গ্রহণ করলে তার কোন আপত্তি নেই বলে আদালতকে জানান। আরেকটি মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি নারাজি দিয়েছিল, আদালত পর্যালোচনা ও উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নারাজি পিটিশন খারিজ করে দিয়ে দুটি মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করেছেন এবং মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। নারাজি খারিজের পর আদালত প্রাঙ্গণে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার অনেকেই মন্তব্য করেন, একচেটিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে এবং এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন। তিনি এজাহারে ৬ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। অথচ পুলিশ তদন্ত করে ৩৫ জনকে শনাক্ত করেছেন। এরমধ্যে র্যাবেরই ২৫ জন। কিন্তু মামলায় তিনি র্যাবের কাউকে আসামি করেননি। শুধুমাত্র নজরুলের নানা অপকর্মের বিরোধিতা করার কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া ৫ জনকে মামলায় আসামি করেছেন সেলিনা ইসলাম এবং নারাজি দিয়েছেন।
নাসিক প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা করেন। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামি অজ্ঞাত ছিল। গত ৮ই এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সেভেন মার্ডারের দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশিটে ভারতের কলকাতায় গ্রেপ্তারকৃত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূর হোসেন এবং র্যাব-১১ এর সাবেক তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এমএম রানাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে বিউটির মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এজাহারভুক্ত ৫ জনসহ ১৬ জনকে। এ ঘটনায় গত ১১ই মে আদালতে সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। অন্যদিকে একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাতা বিজয় কুমার পাল চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উল্লেখ, ২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নাসিক প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, স্বপনের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহীমকে অপহরণ করে র্যাব-১১ এর একটি টিম। পরে তাদের প্রত্যেককে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য লাশের পেট ফুটো করে বস্তাভর্তি ইট বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। ৩০শে এপ্রিল বিকালে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১লা মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা
এদিকে অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে পলাতক ১৩ জন এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তারা হলো, করপোরাল লতিফুর রহমান, সিপাহী আবদুল বারী, মহিউদ্দিন মুন্সী, আলামীন শরীফ, তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, নাসিক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূর হোসেন, তার সহযোগী মো. সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করেছেন। এদিকে চার্জশিটে অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৫ জন এবং নূর হোসেন ও তার ৯ সহযোগী। এদের মধ্যে নূর হোসেন ও তার সহযোগী সেলিম কলকতায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি রয়েছে।
পুলিশ সুপারের বক্তব্য
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ খন্দকার মুহিদ উদ্দিন জানান, অভিযুক্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালত আজ (বুধবার) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তারাও পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার হয়ে যাবে। তিনি আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা স্পর্শকাতর সেভেন মার্ডারের ২টি মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছি। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল শুরু থেকে চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আরেকটি মামলার বাদী নারাজি পিটিশন দিয়েছেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে তা খারিজ করে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, মামলার সবগুলো তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে চলে আসে। যার আর কোন কিছু অবশিষ্ট ছিল না। তাই চার্জশিট দিতে পেরেছি। এখন নূর হোসেনকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই আসতে হবে। এবং নূর হোসেন দেশে আসলেই গ্রেপ্তার হবে।
সেলিনা ইসলাম বিউটির মামলার আইনজীবী জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, মামলার তদন্ত সংস্থা আদালতে যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল তাতে অনেক অসঙ্গতি এবং এজাহার নামীয় অনেক আসামিকে বাদ দেয়ার কারণে আদালতে নারাজি পিটিশন দেয়া হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম সুবিচার পাবো। কিন্তু আদালতের আদেশে আমরা ব্যথিত, হতাশ ও সংক্ষুব্ধ হয়েছি। আদেশের সই মুড়ি নকল হাতে পাওয়ার পর আমরা এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে যাবো। সেলিনা ইসলাম বিউটি জানান, মামলার এজাহার থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর দুই আসামি ইকবাল ও আমিনুল হক রাজু এলাকায় ফিরে এসে হুমকিধমকি দিচ্ছে। রাজু মিজমিজি এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে দেড় কোটি টাকা খরচ করে নাকি মামলা থেকে বেরিয়ে এসেছে। যারা মামলা করেছে তাদের এখন দেখে নেবে। আর সাত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে যারা আন্দোলন করেছে ইকবাল তাদের হুমকি দিচ্ছে। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। হত্যার পরিকল্পনাকারীদের চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অথচ তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিল ১৫ দিনের মধ্যে নজরুল ইসলামকে শেষ করে দেবে। আমি আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি কেএম ফজলুর রহমান জানান, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে একটি মামলার বাদী নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল আদালতে উপস্থিত থেকে কোন আপত্তি উত্থাপন করেনি। এবং চার্জশিট গ্রহণ করলে তার কোন আপত্তি নেই বলে আদালতকে জানান। আরেকটি মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি নারাজি দিয়েছিল, আদালত পর্যালোচনা ও উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নারাজি পিটিশন খারিজ করে দিয়ে দুটি মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করেছেন এবং মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। নারাজি খারিজের পর আদালত প্রাঙ্গণে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার অনেকেই মন্তব্য করেন, একচেটিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে এবং এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন। তিনি এজাহারে ৬ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। অথচ পুলিশ তদন্ত করে ৩৫ জনকে শনাক্ত করেছেন। এরমধ্যে র্যাবেরই ২৫ জন। কিন্তু মামলায় তিনি র্যাবের কাউকে আসামি করেননি। শুধুমাত্র নজরুলের নানা অপকর্মের বিরোধিতা করার কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া ৫ জনকে মামলায় আসামি করেছেন সেলিনা ইসলাম এবং নারাজি দিয়েছেন।
নাসিক প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা করেন। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামি অজ্ঞাত ছিল। গত ৮ই এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সেভেন মার্ডারের দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশিটে ভারতের কলকাতায় গ্রেপ্তারকৃত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূর হোসেন এবং র্যাব-১১ এর সাবেক তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এমএম রানাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে বিউটির মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এজাহারভুক্ত ৫ জনসহ ১৬ জনকে। এ ঘটনায় গত ১১ই মে আদালতে সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। অন্যদিকে একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাতা বিজয় কুমার পাল চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উল্লেখ, ২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নাসিক প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, স্বপনের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহীমকে অপহরণ করে র্যাব-১১ এর একটি টিম। পরে তাদের প্রত্যেককে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য লাশের পেট ফুটো করে বস্তাভর্তি ইট বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। ৩০শে এপ্রিল বিকালে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১লা মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা
এদিকে অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে পলাতক ১৩ জন এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তারা হলো, করপোরাল লতিফুর রহমান, সিপাহী আবদুল বারী, মহিউদ্দিন মুন্সী, আলামীন শরীফ, তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, নাসিক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূর হোসেন, তার সহযোগী মো. সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করেছেন। এদিকে চার্জশিটে অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৫ জন এবং নূর হোসেন ও তার ৯ সহযোগী। এদের মধ্যে নূর হোসেন ও তার সহযোগী সেলিম কলকতায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি রয়েছে।
পুলিশ সুপারের বক্তব্য
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ খন্দকার মুহিদ উদ্দিন জানান, অভিযুক্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালত আজ (বুধবার) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তারাও পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার হয়ে যাবে। তিনি আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা স্পর্শকাতর সেভেন মার্ডারের ২টি মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছি। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল শুরু থেকে চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আরেকটি মামলার বাদী নারাজি পিটিশন দিয়েছেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে তা খারিজ করে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, মামলার সবগুলো তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে চলে আসে। যার আর কোন কিছু অবশিষ্ট ছিল না। তাই চার্জশিট দিতে পেরেছি। এখন নূর হোসেনকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই আসতে হবে। এবং নূর হোসেন দেশে আসলেই গ্রেপ্তার হবে।
No comments