অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু তোলায় হুমকিতে বাঁধ
পটুয়াখালীর শহররক্ষা বাঁধসংলগ্ন লোহালিয়া নদী থেকে ড্রেজার (খননযন্ত্র) দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হচ্ছে। -প্রথম আলো |
অপরিকল্পিতভাবে
লোহালিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় পটুয়াখালী শহররক্ষা বাঁধ হুমকির
মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বালু উত্তোলন বন্ধ করতে গত রোববার
তালতলা এলাকার বাসিন্দারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
নদীর পাড়ের তালতলা এলাকার ১৫ জন বাসিন্দার সই করা ওই অভিযোগে বলা হয়, পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১১-২০১২ অর্থবছরে শহররক্ষা বাঁধটি নির্মাণ করে। এক মাস ধরে পাঁচটি বাল্কহেড ড্রেজার (নদী খননযন্ত্র) দিয়ে দিন-রাত ২ নম্বর বাঁধঘাটসংলগ্ন অংশের নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে শহররক্ষা বাঁধসহ নদীপাড়ের বাড়িঘরও বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় বাঁধসংলগ্ন নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবি জানান তাঁরা। শহররক্ষা বাঁধের পাশের বাসিন্দা নুরু ঢালী বলেন, জোয়ারের প্লাবন ও ভাঙনের হাত থেকে পৌরবাসীকে রক্ষায় শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ যেভাবে বাঁধসংলগ্ন নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
গত রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানে দায়িত্বরত বশার হাওলাদার জানান, জনৈক জুয়েল মৃধা বালুমহাল ইজারা নিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি বছর তিন লাখ ১০ হাজার টাকায় লোহালিয়া নদীর বালুমহাল ঠিকাদার জুয়েল মৃধার কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে বালু উত্তোলনের কারণে কোনোভাবেই যেন শহররক্ষা বাঁধের ক্ষতি না হয়, তাসহ শর্ত বেশ কিছু শর্ত উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে জুয়েল মৃধা বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল পতাকা দিয়ে বালু কাটার স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই নির্দিষ্ট এলাকা এবং বাঁধ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেভাবেই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।’
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, বাঁধের দূরত্ব রেখে নদীখনন করা হচ্ছে কি না এবং বালু উত্তোলনের কারণে শহররক্ষা বাঁধের কোনো ক্ষতি হয় কি না, সেসব যাচাই করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর জানান, নিয়ম না মেনে শহররক্ষা বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করা হলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদীর পাড়ের তালতলা এলাকার ১৫ জন বাসিন্দার সই করা ওই অভিযোগে বলা হয়, পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১১-২০১২ অর্থবছরে শহররক্ষা বাঁধটি নির্মাণ করে। এক মাস ধরে পাঁচটি বাল্কহেড ড্রেজার (নদী খননযন্ত্র) দিয়ে দিন-রাত ২ নম্বর বাঁধঘাটসংলগ্ন অংশের নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে শহররক্ষা বাঁধসহ নদীপাড়ের বাড়িঘরও বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় বাঁধসংলগ্ন নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবি জানান তাঁরা। শহররক্ষা বাঁধের পাশের বাসিন্দা নুরু ঢালী বলেন, জোয়ারের প্লাবন ও ভাঙনের হাত থেকে পৌরবাসীকে রক্ষায় শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ যেভাবে বাঁধসংলগ্ন নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
গত রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানে দায়িত্বরত বশার হাওলাদার জানান, জনৈক জুয়েল মৃধা বালুমহাল ইজারা নিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি বছর তিন লাখ ১০ হাজার টাকায় লোহালিয়া নদীর বালুমহাল ঠিকাদার জুয়েল মৃধার কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে বালু উত্তোলনের কারণে কোনোভাবেই যেন শহররক্ষা বাঁধের ক্ষতি না হয়, তাসহ শর্ত বেশ কিছু শর্ত উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে জুয়েল মৃধা বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল পতাকা দিয়ে বালু কাটার স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই নির্দিষ্ট এলাকা এবং বাঁধ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেভাবেই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।’
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, বাঁধের দূরত্ব রেখে নদীখনন করা হচ্ছে কি না এবং বালু উত্তোলনের কারণে শহররক্ষা বাঁধের কোনো ক্ষতি হয় কি না, সেসব যাচাই করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর জানান, নিয়ম না মেনে শহররক্ষা বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করা হলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments