সঙ্কট সমাধানের উপায় by আনু মুহাম্মদ
এ
এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই। একদিকে পেট্রলবোমা
হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ অন্যদিকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা
বন্দুকযুদ্ধ, এনকাউন্টার, ক্রসফায়ার নানা নামে সরাসরি গুলি করে মানুষ হত্যা
করছে। চারদিকে ভয়ঙ্কর নিরাপত্তাহীনতা। শ্বাসরুদ্ধকর এই সময়ে আমরা গণতন্ত্র
থেকে অনেক দূরে।
এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হলে তিনটি কাজ করতে হবে। ১. সরকারকে ক্রসফায়ার-এনকাউন্টার বন্ধ করতে হবে। হামলা-গ্রেপ্তার-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সভা-সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সবাই যেন অবাধে মত প্রকাশ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ২. বিরোধী জোটকে হরতাল-অবরোধ স্থগিত করতে হবে। সহিংসতা থেকে দূরে থাকতে হবে। সভা-সমাবেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ফিরতে হবে। ৩. যুদ্ধাপরাধী, লুটেরাদের বাদ দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলেও এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে হবে। বিশেষ করে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এ তিনটি কাজ করা গেলে আমরা বর্তমান সঙ্কট থেকে বের হতে পারবো। এক্ষেত্রে সংলাপেরও প্রয়োজন হবে না। বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটানোই সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা। না হয় আত্মঘাতী পরিস্থিতি কারও জন্যই ভালো হবে না। এখন আওয়ামী লীগের লোকও কিন্তু ক্রসফায়ারে মারা যাচ্ছে। এ লড়াই আওয়ামী লীগ-বিএনপি কারও জন্যই সুখকর হবে না।
নোট: প্রতিক্রিয়াটি দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব।
এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হলে তিনটি কাজ করতে হবে। ১. সরকারকে ক্রসফায়ার-এনকাউন্টার বন্ধ করতে হবে। হামলা-গ্রেপ্তার-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সভা-সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সবাই যেন অবাধে মত প্রকাশ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ২. বিরোধী জোটকে হরতাল-অবরোধ স্থগিত করতে হবে। সহিংসতা থেকে দূরে থাকতে হবে। সভা-সমাবেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ফিরতে হবে। ৩. যুদ্ধাপরাধী, লুটেরাদের বাদ দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলেও এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে হবে। বিশেষ করে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এ তিনটি কাজ করা গেলে আমরা বর্তমান সঙ্কট থেকে বের হতে পারবো। এক্ষেত্রে সংলাপেরও প্রয়োজন হবে না। বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটানোই সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা। না হয় আত্মঘাতী পরিস্থিতি কারও জন্যই ভালো হবে না। এখন আওয়ামী লীগের লোকও কিন্তু ক্রসফায়ারে মারা যাচ্ছে। এ লড়াই আওয়ামী লীগ-বিএনপি কারও জন্যই সুখকর হবে না।
নোট: প্রতিক্রিয়াটি দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব।
No comments