মার্চে নতুন মাত্রা আন্দোলনে by মঈন উদ্দিন খান
বিএনপি
নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকে ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ চলছে। শুক্র শনি বাদ
দিয়ে অবরোধের পাশাপাশি হরতাল চলছে চার সপ্তাহ ধরে। দেশজুড়ে এসব কর্মসূচির
আজ ৫০তম দিনে দাঁড়িয়ে বিএনপি নেতারা বলেছেন, আন্দোলনের ‘ফল’ ছাড়া ঘরে ফিরবে
না ২০ দল। প্রয়োজনে মার্চজুড়েও একইভাবে কর্মসূচি চলবে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ কর্মসূচি রেখেই ঢাকায় বড় ধরনের শোডাউন করার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল রয়েছে রাজধানীসহ দেশজুড়ে। এই কর্মসূচির পরে রাজধানীতে গণমিছিলের মতো কর্মসূচির ডাক দেয়া হতে পারে। নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে আন্দোলনের ফল ঘরে তুলতেই মূলত এসব কর্মসূচি ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে বিএনপি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে আন্দোলনে নতুনমাত্রা যোগ করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার করে নয়। কর্মসূচি যেভাবে চলছে, আপাতত সেভাবেই চলবে। তিনি জানান, সপ্তাহে দুই দিন বিক্ষোভ মিছিল দেয়া হচ্ছে নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর জন্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকায় ২০ দলের নেতাকর্মীরা মাঠে নামছেন। সারা দেশেও তৃণমূল নেতাকর্মীরা মাঠে থেকে আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের ফল আসতে হয়তো একটু দেরি হচ্ছে, তবে চূড়ান্তভাবে বিএনপিই বিজয়ী হবে।
গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, আন্দোলন থেকে সরে আসার কোনো পথ বিএনপির সামনে খোলা নেই। সংলাপ হোক, আর যাই হোক সরকারকে শিগগিরই নতী স্বীকার করতেই হবে।
সরকারের ওপর দেশী-বিদেশী চাপ আন্দোলনের সফলতা : রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকারের ওপর দেশী-বিদেশী চাপকে আন্দোলনের সফলতা হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলের নেতারা বলেছেন, বিএনপি নতুন নির্বাচনের দাবিতে যে আন্দোলন করছে, তার যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির কাছে তথ্য আছে, আগামী সপ্তাহে কূটনৈতিক তৎপরতা আরো বাড়বে।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানিয়েছেন, বিশ্বসম্প্রদায়ের সংলাপের আহ্বান সরকার উপেক্ষা করে এলেও শিগগিরই অবস্থার পরিবর্তন হবে। অচিরেই সরকারের অবস্থান পরিবর্তনের সপক্ষে যুক্তি হিসেবে এই নেতা আরো জানান, ঢাকা সফর করে ফিরে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকারবিষয়ক সংসদীয় উপকমিটি তাদের প্রতিবেদন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পেশ করবে শিগগিরই। প্রতিনিধিদল যেসব তথ্য নিয়ে ফিরে গেছে, তাতে সেখান থেকে সংলাপে বসতে সরকারের ওপর আরো একটা চাপ আসবে। এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব সংলাপে বসার তাগিদ দিয়ে চিঠি দেয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের উদ্যাগ নেয়ার কথা বলেছেন। অন্য দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সব দলের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক মতপ্রকাশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারকে ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরাও সংলাপের সপক্ষে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে শিগগিরই খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক হতে পারে মার্কিন রাষ্ট্রদূতেরও।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, চলমান আন্দোলন সফলতার দিকেই যাচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতাকে নেতাকর্মী ‘বিচ্ছিন্ন’ করে রাখা, গণগ্রেফতার-হামলা-মামলা, গুম, খুন, ক্রসফায়ারের মধ্যেও আন্দোলন ৫০তম দিনে এসে দাঁড়িয়েছে। সারা দেশ থেকে এখন ঢাকা বিচ্ছিন্ন। এত দিন রাজপথে টিকে থাকাটাই প্রথম সফলতা। পাশাপাশি সঙ্কট নিরসনে সুশীলসমাজ ও বহির্বিশ্বের উদ্যোগ আন্দোলনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ কর্মসূচি রেখেই ঢাকায় বড় ধরনের শোডাউন করার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল রয়েছে রাজধানীসহ দেশজুড়ে। এই কর্মসূচির পরে রাজধানীতে গণমিছিলের মতো কর্মসূচির ডাক দেয়া হতে পারে। নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে আন্দোলনের ফল ঘরে তুলতেই মূলত এসব কর্মসূচি ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে বিএনপি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে আন্দোলনে নতুনমাত্রা যোগ করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার করে নয়। কর্মসূচি যেভাবে চলছে, আপাতত সেভাবেই চলবে। তিনি জানান, সপ্তাহে দুই দিন বিক্ষোভ মিছিল দেয়া হচ্ছে নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর জন্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকায় ২০ দলের নেতাকর্মীরা মাঠে নামছেন। সারা দেশেও তৃণমূল নেতাকর্মীরা মাঠে থেকে আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের ফল আসতে হয়তো একটু দেরি হচ্ছে, তবে চূড়ান্তভাবে বিএনপিই বিজয়ী হবে।
গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, আন্দোলন থেকে সরে আসার কোনো পথ বিএনপির সামনে খোলা নেই। সংলাপ হোক, আর যাই হোক সরকারকে শিগগিরই নতী স্বীকার করতেই হবে।
সরকারের ওপর দেশী-বিদেশী চাপ আন্দোলনের সফলতা : রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকারের ওপর দেশী-বিদেশী চাপকে আন্দোলনের সফলতা হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলের নেতারা বলেছেন, বিএনপি নতুন নির্বাচনের দাবিতে যে আন্দোলন করছে, তার যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির কাছে তথ্য আছে, আগামী সপ্তাহে কূটনৈতিক তৎপরতা আরো বাড়বে।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানিয়েছেন, বিশ্বসম্প্রদায়ের সংলাপের আহ্বান সরকার উপেক্ষা করে এলেও শিগগিরই অবস্থার পরিবর্তন হবে। অচিরেই সরকারের অবস্থান পরিবর্তনের সপক্ষে যুক্তি হিসেবে এই নেতা আরো জানান, ঢাকা সফর করে ফিরে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকারবিষয়ক সংসদীয় উপকমিটি তাদের প্রতিবেদন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পেশ করবে শিগগিরই। প্রতিনিধিদল যেসব তথ্য নিয়ে ফিরে গেছে, তাতে সেখান থেকে সংলাপে বসতে সরকারের ওপর আরো একটা চাপ আসবে। এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব সংলাপে বসার তাগিদ দিয়ে চিঠি দেয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের উদ্যাগ নেয়ার কথা বলেছেন। অন্য দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সব দলের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক মতপ্রকাশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারকে ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরাও সংলাপের সপক্ষে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে শিগগিরই খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক হতে পারে মার্কিন রাষ্ট্রদূতেরও।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, চলমান আন্দোলন সফলতার দিকেই যাচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতাকে নেতাকর্মী ‘বিচ্ছিন্ন’ করে রাখা, গণগ্রেফতার-হামলা-মামলা, গুম, খুন, ক্রসফায়ারের মধ্যেও আন্দোলন ৫০তম দিনে এসে দাঁড়িয়েছে। সারা দেশ থেকে এখন ঢাকা বিচ্ছিন্ন। এত দিন রাজপথে টিকে থাকাটাই প্রথম সফলতা। পাশাপাশি সঙ্কট নিরসনে সুশীলসমাজ ও বহির্বিশ্বের উদ্যোগ আন্দোলনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছে।
No comments