মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আন্না হাজারে
ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে ভারত সরকারের জারি করা একটি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামবেন ভারতের আলোচিত সামাজিক আন্দোলনকারী আন্না হাজারে। অধ্যাদেশকে ‘কৃষকবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তিনি দিল্লির যন্তর মন্তরে দুই দিনের এক প্রতিবাদের আয়োজন করতে যাচ্ছেন। এতে যোগ দিচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এনডিটিভিকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বিজেপি সরকার ঘোষিত অধ্যাদেশটিকে কৃষকদের স্বার্থবিরোধী অধ্যাদেশ বলে চিহ্নিত করেছেন আন্না। একটি কৃষিপ্রধান দেশের প্রত্যেক মানুষের একত্র হয়ে এই অধ্যাদেশের প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, কোনো সাধারণ নাগরিকের মতো করে তাকে দেখা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সবাই যদি রাজি হয় তাহলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়ালকে প্রতিবাদ মঞ্চে স্বাগত জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে এই ধরনের পরিস্থিতিগুলো কাজে লাগাতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী প্রতিবাদস্থলে এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসতে চাইলে তা করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আন্নার ভাষায় এই অর্ডিন্যান্স এক কথায় ‘কৃষকবিরোধী’। তিনি সরকারের কাছে এই অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এর সঙ্গেই জানিয়েছেন এই অর্ডিন্যান্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করলে রামলীলা ময়দানে বৃহত্তর প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলবেন তিনি। ‘ইন্ডিয়া আগেনস্ট কোরাপশন’ আন্দোলনের জনক জানিয়েছেন কৃষক মারা এই অর্ডিন্যান্সের বদলে কেন্দ্র সরকারের উচিত এ দেশের কৃষকদের দুরবস্থা দূরীকরণে সচেষ্ট হওয়া। হরিয়ানার পালওয়াল থেকে শুক্রবার পদযাত্রা শুরু করেছিলেন এক দল কৃষক। সোমবার যন্তর মন্তরে আন্নার অবস্থান মঞ্চে যোগদান করেছেন তারা। জমি অধিগ্রহণ অ্যাক্ট, ২০১৩ অনুযায়ী পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে শর্তাধীনভাবে ৭০% ক্ষেত্রে জমির মালিকের অনুমতি বাধ্যতামূলক। নয়া এই অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, পাঁচটি ক্ষেত্র- শিল্প করিডর, পিপিপি প্রজেক্ট, গ্রামীণ পরিকাঠামো, প্রতিরক্ষা ও আয়ত্তের মধ্যে আবাসন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আর প্রয়োজনীয় নয় জমি মালিকের সম্মতি।
No comments