প্রবাসে কঠিন জীবনে..., আরব আমিরাতে অগি্নকাণ্ডে মৃত্যু
সংযুক্ত
আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে শুক্রবার অগি্নকাণ্ডে নিহত ১০ জন শ্রমিকের
মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি। আহতদের তালিকায়ও অন্তত সাত বাংলাদেশি রয়েছেন।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, এবারের দুর্ঘটনাসহ গত পাঁচ বছরে
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কমপক্ষে ৩৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও কেবল গত ছয় বছরেই বিভিন্ন রোগে, সড়ক দুর্ঘটনায় ও অন্য কারণে ১৪
হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমজীবী ও কর্মজীবীর লাশ দেশে এসেছে। এই
মৃত্যুহার অস্বাভাবিক। বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে দেখা
যাচ্ছে, কর্মপরিবেশ উন্নত না হওয়া, বিদেশে গমনের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় মেটানো
ও পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ করতে গিয়ে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক এক
দিবসে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করেন। ফলে অপেক্ষাকৃত কম বয়সেই অনেকে জটিল
ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। অথচ উপযুক্ত বেতন ও কর্মপরিবেশ উন্নত করার জন্য
আন্তর্র্জাতিক শ্রম সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও এ
ক্ষেত্রে অগ্রগতি সামান্যই হয়েছে। আরব আমিরাতে যে তিনজন বাংলাদেশি শ্রমিক
অগি্নকাণ্ডে মৃত্যুবরণ করলেন, তাদের পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে। নিহত
শ্রমিকরা আমিরাতের নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী।
আহতরাও চিকিৎসাসহ আর্থিক সুবিধা পাবেন। কিন্তু এই অর্থ আদায়ের প্রক্রিয়াটি
বেশ ঝামেলার। সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা-তদবিরের পর ক্ষতিপূরণের
উপযুক্ত অর্থ মেলে। আমরা আশা করব, বাংলাদেশ সরকার হতাহতদের উপযুক্ত
ক্ষতিপূরণ পেতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। যারা প্রবাসে থেকে পরিবারের ভরণপোষণের
সঙ্গে সঙ্গে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার স্ফীত করে চলেছেন, প্রবাসে তাদের
কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা ও জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা বিধানে সরকারের উচিত
যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা। যে পরিবারের কর্মক্ষম মানুষটি বিদেশে
অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে মারা যান, তারাই বোঝেন কী হারিয়েছেন। সরকারের উচিত,
বিদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও মালয়েশিয়ায় যাতে শ্রমিকরা
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও স্বল্প বেতনে কাজ করার কারণে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে
গিয়ে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে না পড়েন, সেটা নিশ্চিত করা। এতে অস্বাভাবিক
মৃত্যুর হার অনেকটাই কমে আসবে।
এনামুলের বাড়িতে কান্না, ফেরা হলো না সেলিম ও শুক্কুরের
সংযুক্ত
আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অগি্নকাণ্ডে নিহত বাংলাদেশিদের গ্রামের
বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এ ঘটনায় আহতদের বাড়িতেও উৎকণ্ঠিত স্বজনদের কান্নার
রোল থামছে না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত ৩ প্রবাসীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া
গেছে। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরীহাটে। তিনি ওই
এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে এনামুল হক। ফটিকছড়ির যে ২ জন মারা গেছেন তারা
হচ্ছেন_ হারুয়ালছড়ি ইউপির লিচুতলার আলমের ঘোনার মৃত মীর আহম্মদের ছেলে
আবদুশ শুক্কুর ও নাজিরহাট পৌরসভার নুরুল আবছারের ছেলে সেলিম উদ্দিন।
অগি্নকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ইসমাঈল, বাগোয়ান ইউনিয়নের আবসার ও তার ছেলে রোমান, মহিউদ্দিন ও তার ভাই ইসমাইল, নোয়াপাড়ার আজম ও ফারুক। অনেক প্রবাসীর পরিবারের উদ্বিগ্ন সদস্যরা রাউজানে কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে ফোন করে জানতে চাচ্ছেন নিহতদের নাম-ঠিকানা। স্বজনের নিহত বা আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তারা।
ফটিকছড়ির নিহত সেলিমের আগামী ১ মার্চ ও আবদুস শুক্কুরের ৩ মার্চ বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন আর তারা জীবিত নয়, ফিরবেন লাশ হয়ে। নিহতদের স্বজনদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। আবদুশ শুক্কুর গত বুধবার শেষবারের মতো তার স্ত্রী পপি আক্তারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তিনি ৫ বছর যাবৎ আবুধাবিতে অবস্থান করছিলেন। শুক্কুরের স্ত্রী পপি আক্তার স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শুনে একমাত্র শিশুপুত্র ওয়াছিকে (৬) বুকে জড়িয়ে আহাজারি করছেন। অন্যদিকে, বাবুনগরের সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী ও ছেলে শাহাদাত (১২) এবং আরমানের (১০) বুকফাটা আর্তনাদে আশপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে।
ফটিকছড়ির এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. তৌহিদুল আলম বাবু, ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন এবং সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীর শিল্পনগরী মোসাফফাহ ৭ নং প্রথম গলিতে গত শুক্রবার রাতে এ অগি্নকা ের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত কয়েকজন জানান, 'ওই ভবনের নিচে রেস্টুরেন্ট ও গাড়ির টায়ারের দোকানের ওপর বাসস্থানে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আবুধাবি দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর আমান উল্লাহ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হতাহতদের দেখতে গিয়ে প্রবাসী কমিনিউটি নেতারা হতাহতদের পরিবাবের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার ঘোষণা দেন।
অগি্নকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ইসমাঈল, বাগোয়ান ইউনিয়নের আবসার ও তার ছেলে রোমান, মহিউদ্দিন ও তার ভাই ইসমাইল, নোয়াপাড়ার আজম ও ফারুক। অনেক প্রবাসীর পরিবারের উদ্বিগ্ন সদস্যরা রাউজানে কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে ফোন করে জানতে চাচ্ছেন নিহতদের নাম-ঠিকানা। স্বজনের নিহত বা আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তারা।
ফটিকছড়ির নিহত সেলিমের আগামী ১ মার্চ ও আবদুস শুক্কুরের ৩ মার্চ বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন আর তারা জীবিত নয়, ফিরবেন লাশ হয়ে। নিহতদের স্বজনদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। আবদুশ শুক্কুর গত বুধবার শেষবারের মতো তার স্ত্রী পপি আক্তারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তিনি ৫ বছর যাবৎ আবুধাবিতে অবস্থান করছিলেন। শুক্কুরের স্ত্রী পপি আক্তার স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শুনে একমাত্র শিশুপুত্র ওয়াছিকে (৬) বুকে জড়িয়ে আহাজারি করছেন। অন্যদিকে, বাবুনগরের সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী ও ছেলে শাহাদাত (১২) এবং আরমানের (১০) বুকফাটা আর্তনাদে আশপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে।
ফটিকছড়ির এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. তৌহিদুল আলম বাবু, ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন এবং সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীর শিল্পনগরী মোসাফফাহ ৭ নং প্রথম গলিতে গত শুক্রবার রাতে এ অগি্নকা ের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত কয়েকজন জানান, 'ওই ভবনের নিচে রেস্টুরেন্ট ও গাড়ির টায়ারের দোকানের ওপর বাসস্থানে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আবুধাবি দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর আমান উল্লাহ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হতাহতদের দেখতে গিয়ে প্রবাসী কমিনিউটি নেতারা হতাহতদের পরিবাবের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার ঘোষণা দেন।
সমকাল, রাউজান ও ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
No comments