রংপুরে পেট্রলবোমায় প্রাণ গেল ৫ যাত্রীর
রংপুরের
মিঠাপুকুরে নৈশকোচে পেট্রলবোমা হামলায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে এক শিশু ও
দুই মহিলাসহ ৫জন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ চলাকালে
মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০
জন। আহতদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭
জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসী ও আহতরা জানান, মঙ্গলবার রাতে কুড়িগ্রাম উলিপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী খলিল স্পেশাল কোচ (যশোর ব-১১৬৮৬০) ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার পথে রাত ১২টায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের মিঠাপুকুর উপজেলার বাতাসন এলাকায় পৌঁছলে দুবৃর্ত্তরা বাসটিকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েকটি পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারে। পেট্রোল বোমার আঘাতে সঙ্গে সঙ্গে কোচে আগুন লেগে যায়। কোচের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় ড্রাইভার-হেল্পারসহ কোন যাত্রী নামতে না পেরে অগ্নিদদ্ধ হয়ে পুড়ে ঘটনাস্থলে এক শিশু, ২ মহিলাসহ ৪ জন নিহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় আরও একজন। এ সময় আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন। আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।
পুলিশ দাবি করেছে, রাত সোয়া ১২টার দিকে রংপুর শহরের মডার্ন মোড় এলাকা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী ৩০টি বাস পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ ও বিজিবি। ওই বাস বহরের সামনে ছিল পুলিশের গাড়ি, পেছনে বিজিবির গাড়ি। বহরের ২৩ নম্বরে ছিল পেট্রলবোমা হামলার শিকার হওয়া খলিল এন্টারপ্রাইজ নামের যাত্রীবাহী বাসটি। পুলিশ-বিজিবির প্রহরায় বাসের বহর মিঠাপুকুর উপজেলার বাতাসন এলাকায় এলে মহাসড়কের পাশের বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে বাস লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। খলিল এন্টারপ্রাইজ নামের বাসটিতে পেট্রোলবোমা এসে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো বাসে আগুন ধরে যায়। বাসের ভেতরে পুড়ে মারা যায় চারজন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, সাহিদা (৩৫), মনোয়ারা (৪০), হাসিনা (৩৭), অজ্ঞাত (৩২), মিনারা (২২), রাশিদা (২৮), শাম্মী (৩৬), লাকি (৩২), সোলেমান (৪৮), আলমগীর (২৮), মাহাবুব (৩২), আজগর (৪২), রাশেদ (২৭), আমির (২৬), আনোয়ার (৪৫), বক্কর (৪২), সুনীল (৩৩)। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে সেনাসদস্য নূর আলমের স্ত্রী ও কন্যাও রয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়েছে। মারাত্মকভাবে দগ্ধ অন্যদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেয়ার মধ্যে ১০ জন একই পরিবারের সদস্য। তারা হলেন, ফারজানা, আনোয়ার, আল আমিন, শামীম, রাশেদা, জরিনা, মিনারা, তফিরন বেওয়া, নূরজাহান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাক জানান, দগ্ধদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর। এদের অনেকের শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়াও দুজনের শ্বাসনালীও পুড়ে গেছে।
অগ্নিদগ্ধ আল-আমিন বলেন, টিভিত দেখনু একটা আর আস্তাত ব্যারে হইল আর একটা ঘটনা। মোর সউগ স্বপ্ন শ্যাষ বাহে। সরকার হামাক খালি খালি ফাও কতা কইছে। টিভিত কইল পুলিশ গাড়ি ঘোড়া সোগে পাহারা দিয়্যা ঢাকা নিয়্যা যাওছে। আর আস্তাত ব্যার হলে হরতাল-অবরোধোত বোমা মারি হামার সোগে শ্যাষ হয়্যা গেইল। মুই ওমারগুল্যার কঠিন শাস্তি চাও বাহে, কঠিন শাস্তি।
এদিকে মিঠাপুকুর উপজেলায় পেট্রোল বোমায় নিহত ও আহতদের হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির, র্যাব-১৩ এর সিও লে. কর্নেল কিসমৎ হায়াত, জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। গতকাল দিনভর তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিঠাপুকুর উপজেলাজুড়ে ব্যাপক দাঙ্গা পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন ছিল। ঘটনার পরপরই রাতে বাতাসন গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আটককৃতরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ দাবি করেছে। এর মধ্যে দুজন বোমা হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রংপুরের পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক পিপিএম বলেন, গাড়িবহরের সামনে পুলিশের ও পেছনে বিজিবির গাড়ি ছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর কারণে তাদের প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসী ও আহতরা জানান, মঙ্গলবার রাতে কুড়িগ্রাম উলিপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী খলিল স্পেশাল কোচ (যশোর ব-১১৬৮৬০) ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার পথে রাত ১২টায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের মিঠাপুকুর উপজেলার বাতাসন এলাকায় পৌঁছলে দুবৃর্ত্তরা বাসটিকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েকটি পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারে। পেট্রোল বোমার আঘাতে সঙ্গে সঙ্গে কোচে আগুন লেগে যায়। কোচের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় ড্রাইভার-হেল্পারসহ কোন যাত্রী নামতে না পেরে অগ্নিদদ্ধ হয়ে পুড়ে ঘটনাস্থলে এক শিশু, ২ মহিলাসহ ৪ জন নিহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় আরও একজন। এ সময় আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন। আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।
পুলিশ দাবি করেছে, রাত সোয়া ১২টার দিকে রংপুর শহরের মডার্ন মোড় এলাকা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী ৩০টি বাস পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ ও বিজিবি। ওই বাস বহরের সামনে ছিল পুলিশের গাড়ি, পেছনে বিজিবির গাড়ি। বহরের ২৩ নম্বরে ছিল পেট্রলবোমা হামলার শিকার হওয়া খলিল এন্টারপ্রাইজ নামের যাত্রীবাহী বাসটি। পুলিশ-বিজিবির প্রহরায় বাসের বহর মিঠাপুকুর উপজেলার বাতাসন এলাকায় এলে মহাসড়কের পাশের বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে বাস লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। খলিল এন্টারপ্রাইজ নামের বাসটিতে পেট্রোলবোমা এসে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো বাসে আগুন ধরে যায়। বাসের ভেতরে পুড়ে মারা যায় চারজন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, সাহিদা (৩৫), মনোয়ারা (৪০), হাসিনা (৩৭), অজ্ঞাত (৩২), মিনারা (২২), রাশিদা (২৮), শাম্মী (৩৬), লাকি (৩২), সোলেমান (৪৮), আলমগীর (২৮), মাহাবুব (৩২), আজগর (৪২), রাশেদ (২৭), আমির (২৬), আনোয়ার (৪৫), বক্কর (৪২), সুনীল (৩৩)। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে সেনাসদস্য নূর আলমের স্ত্রী ও কন্যাও রয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়েছে। মারাত্মকভাবে দগ্ধ অন্যদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেয়ার মধ্যে ১০ জন একই পরিবারের সদস্য। তারা হলেন, ফারজানা, আনোয়ার, আল আমিন, শামীম, রাশেদা, জরিনা, মিনারা, তফিরন বেওয়া, নূরজাহান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাক জানান, দগ্ধদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর। এদের অনেকের শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়াও দুজনের শ্বাসনালীও পুড়ে গেছে।
অগ্নিদগ্ধ আল-আমিন বলেন, টিভিত দেখনু একটা আর আস্তাত ব্যারে হইল আর একটা ঘটনা। মোর সউগ স্বপ্ন শ্যাষ বাহে। সরকার হামাক খালি খালি ফাও কতা কইছে। টিভিত কইল পুলিশ গাড়ি ঘোড়া সোগে পাহারা দিয়্যা ঢাকা নিয়্যা যাওছে। আর আস্তাত ব্যার হলে হরতাল-অবরোধোত বোমা মারি হামার সোগে শ্যাষ হয়্যা গেইল। মুই ওমারগুল্যার কঠিন শাস্তি চাও বাহে, কঠিন শাস্তি।
এদিকে মিঠাপুকুর উপজেলায় পেট্রোল বোমায় নিহত ও আহতদের হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির, র্যাব-১৩ এর সিও লে. কর্নেল কিসমৎ হায়াত, জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। গতকাল দিনভর তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিঠাপুকুর উপজেলাজুড়ে ব্যাপক দাঙ্গা পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন ছিল। ঘটনার পরপরই রাতে বাতাসন গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আটককৃতরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ দাবি করেছে। এর মধ্যে দুজন বোমা হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রংপুরের পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক পিপিএম বলেন, গাড়িবহরের সামনে পুলিশের ও পেছনে বিজিবির গাড়ি ছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর কারণে তাদের প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি।
No comments