সার্ক কি কখনও যথার্থ আঞ্চলিক সংস্থা হতে পারবে? by ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী

সম্প্রতি সার্ক নেতাদের আরেকটি দ্বিবার্ষিক ‘বনভোজন’ সাড়ম্বরে শেষ হয়েছে। এবারের বনভোজনটির স্থানও ছিল যথাযথ। পর্বতকন্যা নেপাল। রাজকীয় বনভোজনে অংশগ্রহণকারী রাজপুরুষরা ফিরে এসেছেন এবং ভোজনতৃপ্তির ঢেকুর তুলে পরবর্তী বনভোজনের ‘মেনু’ পর্যালোচনা করছেন। সার্ক যে এখনও ঠুঁটো জগন্নাথ হয়েই আছে এবং আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে তার ‘যাত্রাই এখনও শুরু হয়নি’ (Non Starter) সেই বাস্তবতা নতুনভাবে উপস্থাপন করা হল। এবারে অবশ্য পর্বত দু’-একটি মূষিক প্রসব করেছে। একটি- ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চূড়ান্ত করার আশ্বাস। অপরটি নেপাল, ভুটান ও ভারতের কিছু বিদ্যুৎ বাংলাদেশের কাছে ‘বিক্রয়ে’র প্রস্তাব। এ নিয়েই আমাদের সরকারি মহলে আহ্লাদের যেন সীমা নেই। এ বগল-বাদ্য কতটা অর্থবহ সেদিকে দৃষ্টি দেয়া যাক।
ছিটমহল
ছিটমহল হচ্ছে বাংলার বুক চিরে রক্তক্ষরণের ক্ষতচিহ্ন। ১৯৪৭ সালে বাংলা বিভাজনের সময় র‌্যাডক্লিফ সাহেবের ঝড়ো গতির পেন্সিল চালনায় সীমান্তরেখা অংকনের পর দেখা যায়, কিছু ভারতীয় মালিকানাধীন ভূমি বাংলাদেশের ভেতরে এবং বাংলাদেশী মালিকানাধীন কিছু ভূমি ভারতের ভেতরে পড়ে গেছে। জমিদারি বা জোতদারির সূত্র থেকে এ সমস্যার উদ্ভব ঘটে। সীমান্তের দু’পাশে ছড়িয়ে থাকা এ জমির টুকরোগুলোকেই ‘ছিটমহল’ নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৪৭ সালেই এ ছিটমহলগুলোর বিনিময়ের প্রস্তার ওঠে। কিন্তু গোটা পাকিস্তান আমলে তাতে কোনোই অগ্রগতি হয়নি। ফলে এক দেশের ভেতরে অন্য দেশের ছিটমহলের অধিবাসীরা বহুবিধ সমস্যার মোকাবেলা করে কার্যত বন্দি জীবনযাপন করে আসছেন।
১৯৭৪ সালের ১৬ মে সম্পাদিত মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিতে এ ছিটমহলগুলো পরস্পর বিনিময়ের মাধ্যমে এই বিরোধ নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেই চুক্তির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ভারতের ভেতরে থাকা সবচেয়ে বড় বাংলাদেশী ছিটমহল বেরুবাড়ী তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রত্যাশা ছিল, অতঃপর অন্যান্য ছিটমহলও অনুরূপভাবে হস্তান্তরিত হবে। হিন্দু অধ্যুষিত বেরুবাড়ীর বিনিময়ে ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের সীমানা সংলগ্ন দুটি মুসলমান অধ্যুষিত ছিটমহল, আঙ্গরপোতা ও দহগ্রাম, বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য এক টুকরা জমি (১৭৮x৮৫ মিটার) বাংলাদেশকে চিরস্থায়ী লিজ দেয়ার সমঝোতা হয়। দুর্ভাগ্যবশত ভারতীয় পক্ষ স্থানীয় জনগণের আপত্তি এবং ভারতীয় সংবিধানের কতিপয় ধারার অজুহাত দেখিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নে গড়িমসি করতে থাকে। ফলে চুক্তিটি গত ৪০ বছর ধরে হিমঘরে পড়ে আছে। ফলে বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অধিবাসীরা এখনও চরম দুর্ভোগে রয়েছেন, এক দেশের নাগরিক অপর দেশের অভ্যন্তরে কার্যত আটকা পড়ে আছেন। তাদের নিজ নিজ দেশের বৃহত্তর জাতীয় জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পদে পদে বাধা পেতে হয়। আবার যে দেশের ভেতরে তারা অবস্থান করছেন, সে দেশের জনজীবনের সঙ্গেও বোধগম্য কারণে তাদের সম্পর্ক সংঘাতময় হয়ে থাকছে। দু’পাশে সর্বমোট ১৬২টি ছিটমহলে দু’দেশের প্রায় ৫২ হাজার মানুষ এ দুর্ভোগে আছেন।
মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে বড় ছিটমহলটি ছিল বেরুবাড়ী। যা ছিল বাংলাদেশী মালিকানাধীন; কিন্তু পড়েছে ভারতে। এটি একটি পুরো ইউনিয়ন, যার আয়তন ১১.২৯ বর্গকিলোমিটার, যা ১৯৭৪ সালে ভারতকে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট ছিটমহলগুলো বিনিময় সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ পাবে তার অভ্যন্তরে থাকা ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল, যেগুলোর মোট আয়তন হবে ১৭ হাজার ২০০ একর। বিনিময়ে ভারত পাবে তার অভ্যন্তরে থাকা ৫১টি বাংলাদেশী ছিটমহল। যেগুলোর মোট আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর। বেরুবাড়ী, আঙ্গরপোতা ও দহগ্রাম ছাড়া অন্য ছিটমহলগুলোয় জনবসতি খুব সামান্য।
অপদখলীয় ভূমি বিনিময়
ছিটমহলের পাশাপাশি রয়েছে দু’দেশের সীমান্তে কিছু ‘অপদখলীয় ভূমি’। মূলত নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও চর জেগে ওঠার কারণে অথবা বিরান অঞ্চলে সীমান্ত ঠিকভাবে চিহ্নিত না থাকায় এ সমস্যার উদ্ভব। এরকম ভূমি বাংলাদেশের ভেতরে আছে ভারতের ৩ হাজার ১৯৭ একর, ভারতের ভেতরে আছে বাংলাদেশের ২ হাজার ১৬৮ একর। বেরুবাড়ীসহ হিসাব কষলে এ ভূমি বিনিময়ে দু’পক্ষে আদান-প্রদান সমান সমান। অথচ এ ভূমির জন্য গত ৪০ বছর কত বৈঠক, কত বিবাদ-বিসম্বাদ, কত বক্তৃতা-বিবৃতি, কত আলোচনা-পর্যালোচনা, কত লেখালেখি। স্পষ্টত; সমস্যা সমাধানে সদিচ্ছার অভাবেই এটি এতদিন ঝুলে আছে। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে বরাবরই এক পা এগিয়ে থেকেছে। আগ্রহের অভাবটা ছিল বরাবরই ভারতের দিক থেকে। যদিও ভারত শুরুতেই লাভবান হয়েছে বেরুবাড়ী পেয়ে এবং অবশিষ্ট বিনিময় সম্পন্ন হলেও ভারতই লাভবান থাকবে।
ভূমি বিনিময়ে সামান্য কমবেশি হওয়ার ব্যাপারটা ধর্তব্য নয়। ৫২ হাজার মানুষের নিত্যদিনের অবরুদ্ধ ও অস্বস্তিকর অবস্থার অবসান ঘটার ব্যাপারটাকেই বড় করে দেখতে হবে। দু’দেশের মধ্যে এ সামান্য ব্যাপার নিয়ে নিত্যদিনের মন কষাকষিও কোনো পক্ষের জন্যই স্বস্তিকর নয়। এবারকার সার্ক সম্মেলনের জের ধরে ভারতীয় পক্ষের সুমতি জাগ্রত হয়েছে, দু’দেশের সম্পর্কের জন্য তা অবশ্যই শুভ সংবাদ। এখন অপেক্ষা এ প্রত্যাশা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। সেটা নির্ভর করবে ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর। ভারত তার লোকসভায় এ ব্যাপারে প্রস্তাব আনবে, সেজন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সমঝোতা
এবারের সার্ক সম্মেলনে অপর যে বিষয়টিতে সমঝোতা হয়েছে তা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিনিময়ে সম্মতি। একে ‘বিনিময়’ না বলে ‘বিক্রয়’ বলাই উত্তম। ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প একান্তভাবেই ভারতীয় কর্তৃত্বাধীন, নেপালের অবস্থাও তথৈবচ। ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মণিপুর, মেঘালয়, সিকিম ও আসামে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মোটের ওপর সার্ক দেশগুলোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ভারতই বিক্রেতা, অন্যরা ক্রেতা। আবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্রেতা একান্তভাবেই বাংলাদেশ। বর্তমান বিদ্যুৎ ঘাটতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি আকর্ষণীয় হতে পারে যদি বিদ্যুতের মূল্য, সরবরাহের নিশ্চয়তা এবং কারিগরি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। দু’দেশের সম্পর্কে নিত্যদিনের টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে যা ঝুঁকিপূর্ণ।
বর্তমান সময়ে ‘জ্বালানি নিরাপত্তা’ একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না (কয়েকদিন আগে ভারত থেকে ক্রয় করা বিদ্যুতের সঞ্চালনা থেকে উদ্ভূত সমস্যায় দেশজুড়ে যে অচিন্তনীয় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে সে বিষয়টি সব সময় মাথায় রাখতে হবে)। তাছাড়া অন্য দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির কারণে দেশের জ্বালানি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রয়াসে ভাটা পড়লে তার পরিণাম হবে মারাত্মক। জ্বালানি খাতে পরনির্ভরশীল থাকা খাদ্যে পরনির্ভরশীল থাকার চেয়েও ভয়ংকর। কারণ, খাদ্য ঘাটতি দু’-চার দিন সহ্য করা যায়, বিকল্প উৎস খোঁজা যায়; কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে তার পরিণতি কী হতে পারে তা আমরা দেখেছি।
কানেকটিভিটি এবারকার সার্ক সম্মেলনে আঞ্চলিক ‘কানেকটিভিটি’ নিয়ে কিছু কথাবার্তা হয়েছে; কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশেষ করে রেল ও সড়ক যোগাযোগ অবারিত করার প্রস্তাবে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের পূর্বমুখী রুট বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সঠিকভাবে নির্ধারণের বিষয় আলোচিত হয়নি। এ বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সে ব্যাপারে কোনো জোরালো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
পাকিস্তানের ওপর দিয়ে আফগানিস্তান হয়ে মধ্য এশিয়া থেকে তেল-গ্যাস দক্ষিণ এশিয়ায় আনার জন্য পাকিস্তানের প্রস্তাবে ভারত কোনো আগ্রহ দেখায়নি।
এ সম্মেলনে চীনকে সার্কের সদস্যপদ প্রদান করার বিষয়টি ভারতের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছে। অপরদিকে ভূরাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে মিয়ানমার বরাবরই দক্ষিণ এশিয়ার অংশ বিবেচিত হয়ে এসেছে। সার্কের সদস্যপদের ব্যাপারে আফগানিস্তানের চেয়ে মিয়ানমারের দাবি অগ্রগণ্য। কিন্তু আফগানিস্তানকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়া হলেও মিয়ানমারকে পর্যবেক্ষকের পর্যায়ে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারকে সার্কের পূর্ণ সদস্য করার ব্যাপারে বাংলাদেশেরই অগ্রণী ভূমিকায় থাকা প্রয়োজন।
সার্ক কি সত্যই যথার্থ ‘সহযোগিতা’ সংস্থা হয়ে উঠবে?
আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা হিসেবে সার্ক পৃথিবীর অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থার তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বহুদূরে, এমনকি প্রতিবেশী ‘আসিয়ানে’রও ধারেকাছে নয়। এর বড় কারণ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আয়তন ও শক্তিমত্তার বিস্তর পার্থক্য। এর আটটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে একটির আয়তন ও শক্তিমত্তা অপর সাতটির মিলিত আয়তন ও শক্তিমত্তার চেয়ে বেশি। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকেও রয়েছে সীমাবদ্ধতা। বিশাল ভারত রয়েছে কেন্দ্রীয় অবস্থানে। তার সঙ্গে আছে ছয়টি রাষ্ট্রের সীমান্ত। সবারই ভারতের সঙ্গে রয়েছে কিছু না কিছু সীমান্ত বিরোধ এবং সীমান্ত সম্পর্কিত নানাবিধ সমস্যা। একমাত্র পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ছাড়া আর কারও সঙ্গে কারও সীমান্ত-সম্পৃক্ততা নেই। যা সার্কের ‘ভারতকেন্দ্রিকতা’ আরও বাড়িয়ে দেয় এবং অপরাপর রাষ্ট্রকে একবারেই প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দেয়।
অপরদিকে সার্কের কর্মপরিধিতে দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত নয়। দ্বিপাক্ষিক বিরোধ এ ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কোনো সুযোগ নেই। ভারত এতে রাজি নয়। এ সীমাবদ্ধতা ফোরাম হিসেবে সার্কের কার্যকারিতা ও উপযোগিতা প্রায় শূন্যে নামিয়ে রেখেছে।
আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা হিসেবে সার্ককে কার্যকর ও অর্থবহ করতে হলে এ মৌলিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে এগোতে হবে। প্রথমত, দ্বিপাক্ষিক বিরোধ সার্ক ফোরামে আলোচনার সুযোগ অবারিত করতে হবে।
আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা হিসেবে বর্তমান বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সবচেয়ে সফল উদ্যোগ বিবেচনা করা যেতে পারে। পঞ্চাশের দশকের ‘ইউরোপীয় কয়লা ইউনিয়ন’ থেকে যাত্রা শুরু করে আজকের ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত আসতে অনেক ধাপ পেরিয়ে আসতে হয়েছে এবং সেজন্য অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে। এক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে এগিয়ে আসতে হয়েছে এবং ছাড় দিতে হয়েছে। শক্তিমান সদস্যদের বেশি ছাড় দিতে হয়েছে (যেমন জার্মানি)। তবে একথা মনে রাখতে হবে যে, পৃথিবীর সব অঞ্চলের ভৌগোলিক রাষ্ট্রবিন্যাস, স্থানিক সমস্যাবলী এবং রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিকতার ধরন অভিন্ন নয়। ফলে সব আঞ্চলিক সংস্থা একই মডেলের হবে, তা আশা করা যায় না। সার্কের ক্ষেত্রেও তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিকতার নিরিখে একটি কার্যকর কাঠামো নির্মাণ করতে হবে। ধরিত্রীর প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক আস্থা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে পরস্পর-নির্ভরশীলতার কোনো বিকল্প নেই। অবাধ জনচলাচল, সমন্বিত ও অবিচ্ছেদ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা, অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব-পরিবেশ, সহিংসতামুক্ত জনজীবন, ন্যায়ভিত্তিক পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সার্বিক আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমষ্টিগতভাবে এগিয়ে যাওয়া এখন সময়ের দাবি। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সেক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে সামনে রাখা যেতে পারে।
সেই অর্থে, আবারও বলব, সার্কের যাত্রা এখনও শুরু হয়নি।
ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী : রাজনীতিক, ভূ-রাজনীতি ও উন্নয়ন গবেষক

No comments

Powered by Blogger.