রাজনৈতিক সমাধান হলেই সহিংসতা বন্ধ হবে by নূরুল হুদা
বিএনপি নেতা রিয়াজ রহমান মঙ্গলবার গুলশান
এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এটা নিশ্চয়ই বিনা উদ্দেশ্যে করা হয়নি। তিনি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। সাবেক কূটনীতিক। বিএনপি সরকারের
আমলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। কাজেই এ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা
হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আন্দাজ করা যায়। যারাই এটা করে থাকুক, শেষ পর্যন্ত
এর একটা খারাপ সিগন্যাল যাচ্ছে। লক্ষণটি ভালো নয়।
দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর জন্য একটি খারাপ সময় যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটছে। এসবের পেছনে দৌড়াতে হচ্ছে তাদের। যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে- রাস্তা বা রেললাইন রক্ষায় যেখানেই হোক। দেশে এ ধরনের রাজনৈতিক সংঘাত না থাকলে তো এর দরকার পড়ত না। এখন আইনশৃংখলা বাহিনীকে অতিরিক্ত শ্রম, সময় ও সম্পদ ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে অনেক জরুরি কাজ হয়তো তাদের দিয়ে করানো যাচ্ছে না। যেমন- অপরাধ দমন অথবা জনগণের জন্য কোনো সেবামূলক কাজে তাদের সেভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। দেশে যে সহিংসতা চলছে এক্ষেত্রে মূল সমস্যাটা তো রাজনৈতিক। কাজেই সহিংসতা বন্ধে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হওয়া প্রয়োজন। এটা সবাই বোঝেন যে, সমঝোতা হলেই দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। সরকার বা বিরোধী দল কেউই বলছে না যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশকে পরিপূর্ণভাবে স্থিতিশীল বলে মনে হচ্ছে না।
এ পরিস্থিতিতে যে কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। বিরোধী দল বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা ঠিকমতো হয়নি, আমরা নতুন নির্বাচন চাই। এটি রাজনৈতিক বিষয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমঝোতা হলেই আইনশৃংখলা পরিস্থিতিজনিত সমস্যার সমাধান হবে।
রাষ্ট্রের যেসব প্রশাসন ব্যবস্থা আছে, তাদের তো সরকারের কথা শুনতেই হবে। সেটা শুনতে গিয়ে যাদের অন্যরকম মতামত আছে তাদের সঙ্গে একটা সংঘাতে এসে যেতে হচ্ছে। সব জায়গাতেই এমনটি দেখা যায়। এখানে একটু বেশি হচ্ছে।
দেশে যে সহিংস পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তার একটাই সমাধান- সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনায় বসা। অনেকে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সমাধানের কথা বলেন। কিন্তু আমি মনে করি, এটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাধানের বিষয় নয়। জাতীয়ভাবেই এর সমাধান হওয়া উচিত। দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থ দেখতে গেলে যে ধরনের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দরকার, সেটা রাজনৈতিক নেতারা দেখাবেন এ আশাই করি।
নূরুল হুদা : পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর জন্য একটি খারাপ সময় যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটছে। এসবের পেছনে দৌড়াতে হচ্ছে তাদের। যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে- রাস্তা বা রেললাইন রক্ষায় যেখানেই হোক। দেশে এ ধরনের রাজনৈতিক সংঘাত না থাকলে তো এর দরকার পড়ত না। এখন আইনশৃংখলা বাহিনীকে অতিরিক্ত শ্রম, সময় ও সম্পদ ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে অনেক জরুরি কাজ হয়তো তাদের দিয়ে করানো যাচ্ছে না। যেমন- অপরাধ দমন অথবা জনগণের জন্য কোনো সেবামূলক কাজে তাদের সেভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। দেশে যে সহিংসতা চলছে এক্ষেত্রে মূল সমস্যাটা তো রাজনৈতিক। কাজেই সহিংসতা বন্ধে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হওয়া প্রয়োজন। এটা সবাই বোঝেন যে, সমঝোতা হলেই দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। সরকার বা বিরোধী দল কেউই বলছে না যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশকে পরিপূর্ণভাবে স্থিতিশীল বলে মনে হচ্ছে না।
এ পরিস্থিতিতে যে কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। বিরোধী দল বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা ঠিকমতো হয়নি, আমরা নতুন নির্বাচন চাই। এটি রাজনৈতিক বিষয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমঝোতা হলেই আইনশৃংখলা পরিস্থিতিজনিত সমস্যার সমাধান হবে।
রাষ্ট্রের যেসব প্রশাসন ব্যবস্থা আছে, তাদের তো সরকারের কথা শুনতেই হবে। সেটা শুনতে গিয়ে যাদের অন্যরকম মতামত আছে তাদের সঙ্গে একটা সংঘাতে এসে যেতে হচ্ছে। সব জায়গাতেই এমনটি দেখা যায়। এখানে একটু বেশি হচ্ছে।
দেশে যে সহিংস পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তার একটাই সমাধান- সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনায় বসা। অনেকে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সমাধানের কথা বলেন। কিন্তু আমি মনে করি, এটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাধানের বিষয় নয়। জাতীয়ভাবেই এর সমাধান হওয়া উচিত। দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থ দেখতে গেলে যে ধরনের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দরকার, সেটা রাজনৈতিক নেতারা দেখাবেন এ আশাই করি।
নূরুল হুদা : পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
No comments