উদ্বেগ-আতঙ্ক by নুরুজ্জামান লাবু
অরক্ষিত
হয়ে পড়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকা। পরপর
কয়েকটি ঘটনার পর ডিপ্লোমেটিক জোন বলে পরিচিত এ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধে প্রায়
প্রতিদিনই কূটনৈতিক এলাকায় কোন না কোন ঘটনা ঘটছে। যানবাহনে আগুন, ককটেল
বিস্ফোরণ ছাড়াও গুলির ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা কোন ঘটনারই কূলকিনারা করতে পারছেন না। সর্বশেষ গুলশান-২ নম্বর
চত্বরের পাশে ৪৬ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানকে গুলি ও গাড়িতে আগুনের ঘটনায় কূটনৈতিক
এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি আরও বেশি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, কূটনৈতিক এলাকায় সব সময় নিরাপত্তা জোরদার থাকে।
বর্তমানে আগের চেয়ে আরও বেশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কূটনৈতিক এলাকার
নিরাপত্তা নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় বিভিন্ন দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের
সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকও করেছেন। জানতে চাইলে পুলিশের
গুলশান জোনের উপকমিশনার (ডিসি) লুৎফুল কবীর বলেন, কূটনৈতিক এলাকায় প্রবেশের
প্রতিটি রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। এ ছাড়া
আগের চেয়ে আরও বেশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার নিয়ে
বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথাও স্বীকার করেন তিনি।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত শনিবার রাত ৯টায় গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে
দুর্বৃত্তরা। এর ঘণ্টাখানেক পর আরেক উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর গুলশান
এভিনিউয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরদিন রাতেও
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের
গুলশান-২ নম্বরের বাসার সামনেও ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ চারটি
জিডিও করেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কানাডিয়ান হাইকমিশনের সামনে ককটেল ছোড়ে
দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,
প্রতিটি ঘটনাতেই দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করেছে। মোটরসাইকেলে কখনও
দু’জন, কখনও তিনজন আরোহী ককটেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ বা গুলি ছুড়ে পালিয়ে
গেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কয়েক দিন ধরেই গুলশান এলাকায় মোটরসাইকেল
চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কোন কোন রাস্তায় মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত
সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশের গুলশান জোনের এক কর্মকর্তা জানান,
মঙ্গলবার রাতে রিয়াজ রহমানকে গুলি ও গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনার পর গুলশান
এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাড়তি আরও ৩০টি পয়েন্টে
চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার
সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশির নির্দেশ দেয়া
হয়েছে। একই সঙ্গে আগের চেয়ে ফুট ও প্যাট্রলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের
গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নূরুল আলম বলেন, কূটনৈতিক এলাকায়
নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় তার সবই করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল গুলশান-বারিধারা ও বনানী এলাকার বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। বৈঠকে কানাডিয়ান হাইকমিশন অফিসের সামনে ককটেল হামলাসহ বিভিন্ন এলাকায় আগুন, ককটেল ও গুলির বিষয়ে কথা হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আগের চেয়ে আরও বেশি নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করেন। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর গুলশান-বারিধারা ও বনানীর কূটনৈতিক জোনে অর্ধশত দেশের দূতাবাস রয়েছে। এসব এলাকা স্বাভাবিক সময়েও কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়। কিন্তু এবার নিরাপত্তার বলয় ভেঙে প্রায়ই নানা ঘটনা ঘটছে। এজন্য দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে বলে। কূটনৈতিক এলাকার বিভিন্ন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের চ্যান্সেরি বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আতাউল কিবরিয়া বলেন, দূতাবাস এলাকায় আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা থাকে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে গতকাল গুলশান-বারিধারা ও বনানী এলাকার বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। বৈঠকে কানাডিয়ান হাইকমিশন অফিসের সামনে ককটেল হামলাসহ বিভিন্ন এলাকায় আগুন, ককটেল ও গুলির বিষয়ে কথা হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আগের চেয়ে আরও বেশি নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করেন। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর গুলশান-বারিধারা ও বনানীর কূটনৈতিক জোনে অর্ধশত দেশের দূতাবাস রয়েছে। এসব এলাকা স্বাভাবিক সময়েও কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়। কিন্তু এবার নিরাপত্তার বলয় ভেঙে প্রায়ই নানা ঘটনা ঘটছে। এজন্য দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে বলে। কূটনৈতিক এলাকার বিভিন্ন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের চ্যান্সেরি বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আতাউল কিবরিয়া বলেন, দূতাবাস এলাকায় আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা থাকে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
No comments