একুশ শতকে চীনের ২১ চমক
অবকাঠামোগত উন্নয়নের এক বিলাসী মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছে চীন। ১১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ব্যয়ে দেশটি এমন ২১টি প্রজেক্ট নির্মাণ করতে যাচ্ছে, যা তাক লাগিয়ে দেবে বিশ্বকে। এত বড় ও দীর্ঘ সেসব স্থাপনা যে চীনের মহাপ্রাচীরকে মনে হবে খুব ক্ষুদ্র কিছু। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আন্ডার ওয়াটার টানেল, সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর, সবচেয়ে বড় গ্যাস পাইপলাইন, সবচেয়ে বড় খেলার মাঠসহ এমন দুই ডজনের মতো প্রজেক্ট নির্মাণ শুরু হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। চীনের চমক লাগানো এই প্রজেক্টের একটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘ আন্ডার ওয়াটার টানেল নির্মাণ। ভূমিকম্পপ্রবণ এশিয়ার এই দেশের অভ্যন্তরে পানির নিচ দিয়ে খনন করা হবে টানেল। যার দৈর্ঘ্য হবে ইংলিশ চ্যানেলের তুলনায় দ্বিগুণ। উত্তরাঞ্চলীয় দুটো বন্দর নগরীর মধ্যে রেলপথও তৈরি হবে এই সুড়ঙ্গে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৬০০ কোটি ডলার। ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্রিজ,
বৃহত্তম বিমানবন্দর ও দীর্ঘতম গ্যাস পাইপলাইনের। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ১৫০০ মাইল জায়গা নিয়ে এসব প্রজেক্টের নির্মাণ কাজে ব্যয় হবে ৮০০০ কোটি ডলার। সাংহাই নগরীতে কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম টাওয়ারের। ২৪০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত সাংহাই টাওয়ার নামের এই আকাশছোঁয়া ভবনটির উচ্চতা ২০৭৩ ফুট। অন্যদিকে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা টাওয়ারের উচ্চতা ২৭১৬ ফুট। তবে এই শহরেই নির্মিত হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম খেলার মাঠ ও পার্ক ‘সাংহাই ডিসনে রিজোর্ট’। ২২৫ একর জায়গা নিয়ে ম্যাজিক কিংডম স্টাইলের এই পার্ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৫০০ কোটি ডলার। আগামী বছর এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এদিকে দালিয়ান শহরে তৈরি করা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডার ওয়াটার রেল টানেল, যা নগরের ১৬৩ মাইল ট্রানজিট ব্যবস্থাকে একীভূত করবে। ৪৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত বিমানবন্দর। বিলাস বহুল এসব প্রজেক্টের প্রায় প্রতিটির কাজই শুরু হয়ে গেছে। চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন গত নভেম্বরে এই ২১টি প্রজেক্ট বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়। চীনের এসব প্রজেক্ট সম্পর্কে ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ হুয়াং ইউকন বলেন, ‘চীনের ইতিহাসটাই এমন।
No comments