সরকার থেকেই আলোচনার প্রস্তাব চায় বিএনপি
৫
জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন থেকেই রাজনৈতিক অবস্থা
উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। চলছে বিএনপির লাগাতার অবরোধ। তৈরি হয়েছে সংকট। চলমান
এই সংকট নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকেই প্রথমে আলোচনার প্রস্তাব চায় বিএনপি।
নতুন বার্তার সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতারা এমন কথাই বলেছেন। তারা অভিযোগ
করেছেন সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই সংকট নিরসন সম্ভব হচ্ছে না। দেশের এমন
পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন সুশীল সমাজ ও অর্থনীতিবিদরা। তারা মনে করেন,
সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের
ব্যবস্থা করতে হবে, যার মাধ্যমে জনগণের মতামতের সঠিক প্রতিফলন ঘটবে। নইলে
দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে এবং দেশের অর্থনীতি গুরুতর সংকটের মুখে
পড়বে। ৬ জানুয়ারি দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সব দল নিয়ে এক টেবিলে
আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির
চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান
সরোয়ার নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগ মনে করে-বিএনপি-জামায়াতকে শেষ
করে দিয়ে তারা থাকতে পারবে। তাদের এই চিন্তা ভাবনায় একটি গর্ব চলে এসেছে।
এবং তারা দীর্ঘ মেয়াদী চিন্তাভাবনা করছে। আমি মনে করি এসব চিন্তা থেকে একটি
বড় ধরণের খারাপি ঘটনা ঘটতে পারে।” তিনি বলেন, “চলমান এই সমস্যা সমাধানের
জন্য উভয় দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। সরকারে যেহেতু আওয়ামী লীগ
সুতরাং তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।” বরিশালের এই নেতা আন্দোলন প্রসঙ্গে টেনে
বলেন, “২০ দলীয় জোটে যে দলগুলো আছে তা নির্বাচনী দল। আন্দোলন জন্য ত্যাগী
নেতা ও অনেক প্রস্তুতি দরকার। আমরা তা না করেই দেশের প্রয়োজনেই আন্দোলনে
নেমেছি। তাতে কিছুটা সমন্বয়হীনতা থাকবেই। তবে আমাদের এ আন্দোলনে জনগণের
প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে। আর এটাই আমাদের বড় শক্তি।আর আমরা গুছিয়ে উঠছি।”
বি্এনপি চেয়ার পারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন নতুন
বার্তা ডটকমকে বলেন, “এবারের আন্দোলন জনগণের হাতে চলে গেছে। অস্ত্র দিয়ে,
হামলা-মামলা করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না। এভাবে চলতে থাকলে আন্দোলন আরো
দীর্ঘ হবে। তখন এই আন্দোলন কোনো নেতার হাতে বদ্ধ থাকবে না। বরং সারাদেশে
ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পরবে। তখন অরাজকতা দেখা দিতে পারে। এ থেকে দেশকে রক্ষা
করার জন্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আজকে সারাদেশে
যা ঘটছে, গণমাধ্যমে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না। সংবাদ প্রকাশে সুযোগ দেয়া
হচ্ছে না।” বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার নতুন বার্তা ডটকমকে
বলেন, “এই আন্দোলনে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা দেশের ক্ষতি চাই না। সরকারের
সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। আলোচনার দরজা সবসমই খোলা আছে। আমরা চাই সরকার
আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধান করুক।” স্থায়ী কমিটির প্রবীণ এই নেতা বলেন,
“সরকার আমাদের দাবি না মানলে আন্দোলন আরো জোরদার হবে। চলমান আন্দোলনে
আমাদের কোনো পরিকল্পনা ও সমন্বয়হীনতার আভাব নেই বরং এবার সবচেয়ে বেশি
জোরদার আন্দোলন হয়েছে। তাই সরকারের মাথা খারাপ হয়েছে।” বিএনপি স্থায়ী
কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান নতুন বার্তা ডটকমকে
বলেন, “গণতন্ত্রের সংকট উত্তরণে সরকারের কোনো উদ্যোগতো নেই বরং অবস্থা যাতে
খারাপ হয় তারা সেই কাজ করছে।” তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের সংকট উত্তরণের
জন্য আমরা প্রস্তুত। আর এই আলোপ-আলোচনা জন্য সব দলকে বসতে হবে। এর জন্য
সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
No comments