চীনের জিনজিয়াংয়ে বোরকা নিষিদ্ধ

চীনের মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশ জিনজিয়াং-এর রাজধানী উরুমকিতে বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। এ খবর দিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এটি ক্রমবর্ধমান চরমপন্থা রোধের একটি প্রচেষ্টা। জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর সমপ্রদায়ের মানুষরা বসবাস করেন, যারা মূলত মুসলমান। এ প্রদেশটির সঙ্গে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও কাজাখস্তানের সীমান্ত রয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, উইঘুর নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক নয় বোরকা। প্রকাশ্যে বোরকা পরিধান বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের মতো দেশেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চীনের ওই এলাকায় সমপ্রতি বেশ সংঘর্ষ হয়েছে, যাকে চীন ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যায়িত করছে। যদিও, অনেক বিশেষজ্ঞের দাবি জাতিগত উত্তেজনার কারণে উইঘুর ও অভিবাসী চীনা হ্যানদের মধ্যে এ ধরনের সংঘর্ষ ঘটেছে। চীনের নেতৃত্ব যদিও জোর দিয়ে বলছে সামপ্রতিক রক্তাক্ত সহিংসতার পেছনে ধর্মীয় চরমপন্থা কাজ করছে। অপরদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সরকার উইঘুর সমপ্রদায়ের ধর্ম পালনের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। চীনের ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টির ধর্ম সমপর্কে অনমনীয় অবস্থানের কারণে এ অঞ্চলে মুসলমান যুবকদের মধ্যে চরমপন্থার বিস্তার ঘটছে। সমপ্রতি, জিনজিয়াং-এর কম্যুনিস্ট পার্টি প্রধান ঝাং চুনজিয়াং ‘সন্ত্রাসীদের সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ’ করতে আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তাদের প্রতি। গত বছরের মে মাসে বেইজিং ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানুষের যুদ্ধের’ ঘোষণা দেয়। উরুমকির একটি বাজারে বোমা হামলায় ৩১ জন নিহত হওয়ার পর এ ঘোষণা দেয় চীন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে জিনজিয়াং-এর অপর অংশের পুলিশ বলেছিল, তারা ছয় আক্রমণকারীকে হত্যা করেছে, যারা নিজেদের শরীরের সঙ্গে বোমা বেঁধে হামলা করার চেষ্টা করছিল।

No comments

Powered by Blogger.