যে কারণে বিএনপির পিছুটান
গাজীপুরের জনসভাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনীতি। গত কয়েক দিনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল গাজীপুর। ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে কী হচ্ছে-সেই কৌতূহল ছিল সবার। অবশেষে শুক্রবার প্রশাসন গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্রলীগের বাধার মুখে যেকোনো মূল্যে সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও পরে তা থেকে সরে আসে বিএনপি। ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে শনিবার গাজীপুরে হরতালের ডাক দেয় ২০ দলীয় জোট। তবে এই কর্মসূচিকে বিএনপির পিছুটান হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কৌশলগত কারণে সাময়িক এই পিছুটান দিয়েছেন। কারণ বিএনপি ও ২০ দলের কাছে এ মুহূর্তে অগ্রাধিকার পাচ্ছে ৩ ও ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি। ওই কর্মসূচি ঘিরে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় উটকো কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছে না দলটি। শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটি ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে কর্মকৌশল ঠিক করেন। ১৪৪ ধারা জারির পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া গাজীপুরে যাওয়ার কর্মসূচির কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ জানান, সরকারের পাতানো ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না। সতর্কভাবে লক্ষ্যের দিকে আগানো হচ্ছে। তাই এখনই কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছে না বিএনপি। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ গাজীপুরে ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ মাঠে ২০-দলীয় জোটের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে খালেদা জিয়ার বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু অবৈধ সরকার এই জনসভা বানচাল করতে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে জনসভাস্থল দখল করে নেয়। দুপুরে স্থানীয় প্রশাসন গোটা জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা জারির নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার অন্যায়ভাবে সাংবিধানিক অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করেছে। এভাবে অবৈধ সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করতে চাচ্ছে।
No comments