ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে হামলার হুমকি
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে সন্ত্রাসী
হামলার হুমকি দিয়েছে দেশটির নিষিদ্ধ সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। রাজস্থানের
১৬ মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সংগঠনটি হুমকি দিয়েছে। শনিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। রাজস্থান রাজ্যের ১০ জন কেবিনেট মন্ত্রী ও ৬
জন রাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি ই-মেইলে শুক্রবার হুমকি চিঠি আসে। ইন্ডিয়ান
মুজাহিদিনের তরফ থেকে এ ই-মেইল পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ই-মেইলে বলা হয়েছে, আগামী ২৬ জানুয়ারি দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নাশকতামূলক হামলা চালানো হবে। ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘লিওনাজারদা’ নামে একটি জি-মেইল আইডি থেকে পাঠানো ওই ই-মেইলগুলোতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের তরফ থেকে জানাচ্ছি, তৈরি থাকুন। আমরা একটি বিগ ব্যাং সারপ্রাইজ দেব। রাজস্থানে অনেকগুলো বিস্ফোরণ হবে এবং তা ঘটবে ২৬ জানুয়ারি।’
এদিকে, এই ই-মেইল পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে রাজস্থানের প্রশাসন। রাজস্থান পুলিশের ডিজিপি ওমেন্দ্র ভরদ্বাজ জানান, তারা ওই ই-মেইলের সত্যতা যাচাই করছে। একইসঙ্গে ই-মেইলগুলো কোথা থেকে পাঠানো হয়েছে তা রাজ্য পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা বা এটিএস জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজস্থান প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ডিজিপি ওমেন্দ্র ভরদ্বাজ জানান, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, অনেক সময় মজা করার জন্য বা আতংক ছড়ানোর উদ্দেশে এই ধরনের চিঠি পাঠানো হয়ে থাকে। তবে পুলিশ এই হুমকি চিঠিকে হালকাভাবে নেবে না বলেও জানান তিনি।
‘আসামে জঙ্গি ধরতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাহায্য প্রয়োজন’ : আসামের বিদ্রোহীদের (জঙ্গি) ধরতে প্রতিবেশী ভুটান, মিয়ানমার, চীন ও বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চেয়েছে ভারত। আসামে আদিবাসীদের ওপর রক্তক্ষয়ী হামলায় দায়ী সেখানকার বোরো বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর চিরুনি অভিযান পরিচালনার পর দেশটির সরকার এ সাহায্য চাইল। পাশাপাশি রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছয় হাজারের বেশি অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী ও বেশকিছু সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে, কিছুসংখ্যক জঙ্গি প্রতিবেশী দেশ ভুটানে পালিয়েছে। আর তাদের নেতা মিয়ানমারে পালিয়ে রয়েছেন। শনিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়া জঙ্গিদের খোঁজার ব্যাপারে সাহায্য করতে ভুটান ও পাশের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
আগের দিন রাজ্যর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা দেশে-বিদেশে বিদ্রোহীদের খুঁজে বের করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দিতে সংকল্পবদ্ধ।’ শনিবার ভারতের সেনাপ্রধান দলবীর সিং সোহাগ জানিয়েছেন, আসামে সেনা অভিযান আরও জোরদার করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমাতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ডন, টাইসম অব ইন্ডিয়া।
এদিকে আসামে নিষিদ্ধ বোড়ো সংগঠন এনডিএফবির একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় শোনিতপুর ও কোকড়াঝাড় জেলায় চা বাগানের শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বারোটি আদিবাসী সংগঠন শুক্রবার ‘আসাম বন্ধ’ এর ডাক দিয়েছিল। ধর্মঘট চলে সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। পুলিশ বলছে, এসময় বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে আসামের শোনিতপুর ও কোকড়াঝাড় জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তত পাঁচটি গ্রামে এনডিএফবি জঙ্গিদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
শোনিতপুরে মারা গেছে ৪১ জন এবং কোকড়াঝাড়ে ৪২ জন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, এনডিএফবি (সংবিজিৎ) গোষ্ঠীর জঙ্গিরা মূলত চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিক পরিবারগুলোর নারী, শিশু ও পুরুষদের বাড়ি থেকে বের করে এনে সারি বেঁধে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। জিনিউজ।
ই-মেইলে বলা হয়েছে, আগামী ২৬ জানুয়ারি দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নাশকতামূলক হামলা চালানো হবে। ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘লিওনাজারদা’ নামে একটি জি-মেইল আইডি থেকে পাঠানো ওই ই-মেইলগুলোতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের তরফ থেকে জানাচ্ছি, তৈরি থাকুন। আমরা একটি বিগ ব্যাং সারপ্রাইজ দেব। রাজস্থানে অনেকগুলো বিস্ফোরণ হবে এবং তা ঘটবে ২৬ জানুয়ারি।’
এদিকে, এই ই-মেইল পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে রাজস্থানের প্রশাসন। রাজস্থান পুলিশের ডিজিপি ওমেন্দ্র ভরদ্বাজ জানান, তারা ওই ই-মেইলের সত্যতা যাচাই করছে। একইসঙ্গে ই-মেইলগুলো কোথা থেকে পাঠানো হয়েছে তা রাজ্য পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা বা এটিএস জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজস্থান প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ডিজিপি ওমেন্দ্র ভরদ্বাজ জানান, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, অনেক সময় মজা করার জন্য বা আতংক ছড়ানোর উদ্দেশে এই ধরনের চিঠি পাঠানো হয়ে থাকে। তবে পুলিশ এই হুমকি চিঠিকে হালকাভাবে নেবে না বলেও জানান তিনি।
‘আসামে জঙ্গি ধরতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাহায্য প্রয়োজন’ : আসামের বিদ্রোহীদের (জঙ্গি) ধরতে প্রতিবেশী ভুটান, মিয়ানমার, চীন ও বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চেয়েছে ভারত। আসামে আদিবাসীদের ওপর রক্তক্ষয়ী হামলায় দায়ী সেখানকার বোরো বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর চিরুনি অভিযান পরিচালনার পর দেশটির সরকার এ সাহায্য চাইল। পাশাপাশি রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছয় হাজারের বেশি অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী ও বেশকিছু সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে, কিছুসংখ্যক জঙ্গি প্রতিবেশী দেশ ভুটানে পালিয়েছে। আর তাদের নেতা মিয়ানমারে পালিয়ে রয়েছেন। শনিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়া জঙ্গিদের খোঁজার ব্যাপারে সাহায্য করতে ভুটান ও পাশের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
আগের দিন রাজ্যর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা দেশে-বিদেশে বিদ্রোহীদের খুঁজে বের করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দিতে সংকল্পবদ্ধ।’ শনিবার ভারতের সেনাপ্রধান দলবীর সিং সোহাগ জানিয়েছেন, আসামে সেনা অভিযান আরও জোরদার করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমাতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ডন, টাইসম অব ইন্ডিয়া।
এদিকে আসামে নিষিদ্ধ বোড়ো সংগঠন এনডিএফবির একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় শোনিতপুর ও কোকড়াঝাড় জেলায় চা বাগানের শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বারোটি আদিবাসী সংগঠন শুক্রবার ‘আসাম বন্ধ’ এর ডাক দিয়েছিল। ধর্মঘট চলে সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। পুলিশ বলছে, এসময় বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে আসামের শোনিতপুর ও কোকড়াঝাড় জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তত পাঁচটি গ্রামে এনডিএফবি জঙ্গিদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
শোনিতপুরে মারা গেছে ৪১ জন এবং কোকড়াঝাড়ে ৪২ জন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, এনডিএফবি (সংবিজিৎ) গোষ্ঠীর জঙ্গিরা মূলত চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিক পরিবারগুলোর নারী, শিশু ও পুরুষদের বাড়ি থেকে বের করে এনে সারি বেঁধে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। জিনিউজ।
No comments