হরতালের আগেই বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরন- জামায়াতের মিছিল : বিজিবি মোতায়েন
(বিএনপি
নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা হরতালের আগের দিনে রাজধানীতে বাসে আগুন
এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টন এলাকায়
একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে
পৌঁছে আগুন নেভায়। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, কয়েকজন যুবক বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে
যায়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় সাথী
আক্তার ও তার বন্ধু রাজীব হাঁটছিলেন। এ সময় পেছনে ৮-১০টি ককটেল বিস্ফোরণ
হয়। এতে সাথী আক্তারের ডান পায়ের গোড়ালিতে স্প্লিন্টারের আঘাত লাগে।
রাজীব আহত সাথীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপরই সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে টিএসসি
মোড়ে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এতে হারুনুর রশীদ (৪৪) নামের এক
রিকশাচালকের পায়ে স্প্লিন্টারের আঘাত লাগে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা) বিএনপি
জোট সোমবার সারাদেশে হরতাল পালনের ঘোষনা দিয়েছে। হরতালের আগেই রোববার
সন্ধ্যায় ঢাকার পল্টনে একটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। আইন শৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে (বিজিবি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন
করা হয়েছে। সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে পল্টন মোড়ে সড়কের ওপর পার্কিং করা একটি
বাসে (ঢাকা মেট্রো স- ১১-০১০১) এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পথচারীরা জানান,
কয়েকজন যুবক পার্কিং করা বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই এলাকায়
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাবিতে ৭ ককটেল বিস্ফোরণ
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। রোববার সন্ধ্যায় প্রায় ছাত্রদলের নেতাকর্মী এ বিক্ষোভ মিছিল করে। ওদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় ৭টি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রুপসী বাংলা হোটেলের সামনে থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিলটি শুরু হয়। প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীর মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, করিম সরকার, শফিকুল ইসলাম শফিক, শাহ নাসির উদ্দিন রুম্মন, ঢাবি ছাত্রদল নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, মাইনুল ইসলাম মাহিন, বাশার সিদ্দিকী, রোকনুজ্জামান রোকন, লিঙ্কন, মামুন, খোকন, মুক্ত, জাহিদ, রিজভী, খাইরুল, রিপন, শামীম, মোস্তাফিজ, জাহাঙ্গীর প্রমুখ। ওদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৭টি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, শিববাড়ী মোড়ে ৫টি এবং দোয়েল চত্বরের পাশে এটিএম বুথের সামনে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। হরতালের সমর্থনকারীরা এগুলো ফোটাতে পারে বলে তিনি জানান।
ঢাবিতে ৭ ককটেল বিস্ফোরণ
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। রোববার সন্ধ্যায় প্রায় ছাত্রদলের নেতাকর্মী এ বিক্ষোভ মিছিল করে। ওদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় ৭টি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রুপসী বাংলা হোটেলের সামনে থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিলটি শুরু হয়। প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীর মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, করিম সরকার, শফিকুল ইসলাম শফিক, শাহ নাসির উদ্দিন রুম্মন, ঢাবি ছাত্রদল নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, মাইনুল ইসলাম মাহিন, বাশার সিদ্দিকী, রোকনুজ্জামান রোকন, লিঙ্কন, মামুন, খোকন, মুক্ত, জাহিদ, রিজভী, খাইরুল, রিপন, শামীম, মোস্তাফিজ, জাহাঙ্গীর প্রমুখ। ওদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৭টি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, শিববাড়ী মোড়ে ৫টি এবং দোয়েল চত্বরের পাশে এটিএম বুথের সামনে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। হরতালের সমর্থনকারীরা এগুলো ফোটাতে পারে বলে তিনি জানান।
হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে জামায়াতের মিছিল
সোমবারের
হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে
ইসলামী। এসব মিছিল ও সমাবেশে সোমবারের হরতাল সফল করতে দেশবাসীর প্রতি
আহ্বান জানানো হয়। রোববার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো
হয়। মিরপুরে মিছিলপূর্ব সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয়
কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহাগনগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন বলেন,
“সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা
বাড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলের কর্মসূচির ওপর পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের
লেলিয়ে দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। গাজীপুরে ২০
দলীয় জোটের সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারির মাধ্যমে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ দেশে
আবারও একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করতে চায়।” কিন্তু জনগণ তা কখনোই
বাস্তবায়িত হতে দেবে না বলে সতর্ক করেন তিনি। মিছিলটি মিরপুর বিআরটিএ থেকে
শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা
মহানগরীর সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য
মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সালাম, আব্দুল্লাহ
আল মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, সোলাইমান হোসেন, নূরুল ইসলাম আকন্দ ও
অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন খান, আলাউদ্দীন মোল্লা,
আশরাফুল আলম ও শিবিরের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সভাপতি তামীম আহমদ প্রমুখ। এ
ছাড়া পল্টন থানা, মোহাম্মদপুর-ধানমন্ডি জোন, আদাবর থানা, চকবাজার থানা,
শেরেবাংলানগর থানা, খিলগাঁও জোন, যাত্রাবাড়ী পূর্ব, সূত্রাপুর থানা, বংশাল
থানা, কোতোয়ালি থানায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করা হয় বলে সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। গাজীপুরে পূর্বঘোষিত সমাবেশ করতে না দেযার অভিযোগে ও
গ্রেফতার করা নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সোমবার দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা
হরতাল ডেকেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল।
No comments