‘ছেলেকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছ, বলো’ by নজরুল ইসলাম
পানির
পাইপে পড়ে গেছে চার বছরের ছেলে জিহাদ। সবাই তাকে খুঁজছে। ফায়ার সার্ভিস
থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও স্থানীয় লোকজন ব্যস্ত তাকে
উদ্ধারে। এ পরিস্থিতিতে ছোটাছুটি করছেন জিহাদের বাবা নাসির ফকির। হঠাৎ
পুলিশ তাঁকে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ছেলের তথ্য জানতে ‘ধরে’ নিয়ে
যায়। জিহাদকে আজ বেলা তিনটার দিকে পাইপ থেকে ওঠানোর পরই তাঁকে ছেড়ে দেয়
পুলিশ। প্রায় ১২ ঘণ্টা পুলিশের হেফাজতে থাকার সময়ের কথা আজ শনিবার রাতে
তিনি বিস্তারিত জানান প্রথম আলোকে। নাসির ফকির বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে
আমি যখন জিহাদকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে ছোটাছুটি করছিলাম, তখন
দুজন পুলিশ আমাকে ওই এলাকায় একটি বাসার নিচতলায় নিয়ে আটকে রাখে। পরে
‘ওসি সাহেব ডাকছেন’ বলে রেলওয়ে কলোনির মাঠের এক পাশে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে তারা আমাকে থানায় নিতে চায়। কিন্তু আমি যেতে চাইনি। আমি
ছেলেকে উদ্ধারের স্থানে যেতে চাই। কিন্তু তারা জোর করে গাড়িতে তুলে আমাকে
থানায় নিয়ে যায়।’
জিহাদের বাবা জানান, সারা রাত তাঁকে শাহজাহানপুর থানায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আজ সকালে এসআইদের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে একজন দারোগা বলেন, “তোমার ছেলে পাইপের মধ্যে পড়েনি। তাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছ, বলো। না বললে র্যাবের কাছে দেব। সেখানে সব সত্য কথা বলবা।” একের পর এক জেরা করতে থাকে পুলিশ। কিন্তু আমি বারবার ছেলেকে উদ্ধারের স্থানে যেতে চাচ্ছিলাম।
নাসির ফকির বলেন, ‘আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে তারা জানায়, আমার ছেলে উদ্ধার হয়েছে। তখন আমি থানা থেকে বেরিয়ে দৌড়ে সেখানে যাই। পরে পুলিশের একটি গাড়িতে করে আমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর আবারও পুলিশের গাড়িতে করে কিছু দূর নিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে আমি শাহজাহানপুরে শ্যালকের বাসায় যাই।’
রাতে শ্যালকের বাসায় নাসির ফকির কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। এ সময় জিহাদের মা খাদিজা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তাঁর স্বামীকে মারধর করেছে। রাতে কোনো খাবার দেয়নি। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নাসির ফকিরকে মারধর করা হয়নি। অসুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য এবং তাঁর ছেলের বিষয়ে তথ্যের জন্য থানায় নেওয়া হয়। ২৩ ঘণ্টা পর আজ বেলা তিনটার দিকে সাধারণ মানুষের চেষ্টায় রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠের কাছে রেলওয়ের পানির পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজ স্থগিত ঘোষণা করার পাঁচ মিনিট পরই নাটকীয়ভাবে উদ্ধার হয় জিহাদ। শিশু জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক কে এম নিয়াজ মোর্শেদ।
জিহাদের বাবা জানান, সারা রাত তাঁকে শাহজাহানপুর থানায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আজ সকালে এসআইদের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে একজন দারোগা বলেন, “তোমার ছেলে পাইপের মধ্যে পড়েনি। তাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছ, বলো। না বললে র্যাবের কাছে দেব। সেখানে সব সত্য কথা বলবা।” একের পর এক জেরা করতে থাকে পুলিশ। কিন্তু আমি বারবার ছেলেকে উদ্ধারের স্থানে যেতে চাচ্ছিলাম।
নাসির ফকির বলেন, ‘আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে তারা জানায়, আমার ছেলে উদ্ধার হয়েছে। তখন আমি থানা থেকে বেরিয়ে দৌড়ে সেখানে যাই। পরে পুলিশের একটি গাড়িতে করে আমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর আবারও পুলিশের গাড়িতে করে কিছু দূর নিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে আমি শাহজাহানপুরে শ্যালকের বাসায় যাই।’
রাতে শ্যালকের বাসায় নাসির ফকির কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। এ সময় জিহাদের মা খাদিজা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তাঁর স্বামীকে মারধর করেছে। রাতে কোনো খাবার দেয়নি। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নাসির ফকিরকে মারধর করা হয়নি। অসুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য এবং তাঁর ছেলের বিষয়ে তথ্যের জন্য থানায় নেওয়া হয়। ২৩ ঘণ্টা পর আজ বেলা তিনটার দিকে সাধারণ মানুষের চেষ্টায় রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠের কাছে রেলওয়ের পানির পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজ স্থগিত ঘোষণা করার পাঁচ মিনিট পরই নাটকীয়ভাবে উদ্ধার হয় জিহাদ। শিশু জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক কে এম নিয়াজ মোর্শেদ।
No comments