আওয়ামী লীগের দমনপীড়ন তাদের ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি করবে by বদরুদ্দীন উমর
বাংলাদেশের শাসক শ্রেণীর চরিত্রে
ফ্যাসিস্ট উপাদান প্রথম থেকেই এত প্রকট ছিল যে, স্বাধীন বাংলাদেশের ৪৩
বছরের কোনো সময়েই তাদের বিভিন্ন সরকারের ফ্যাসিস্ট চরিত্র গোপন থাকেনি।
কোনো কোনো সময়ে তার মাত্রা কিছু বেশি, কোনো সময়ে কম হলেও জনগণের ওপর এবং
তাদের নিজেদের শ্রেণীর প্রতিপক্ষদের ওপর প্রতিটি সরকার হামলা করেছে। এই
অবস্থার ফল ভোগ সব থেকে বেশি করতে হয়েছে এ দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিকে;
কিন্তু শাসক শ্রেণীর বিভিন্ন সংসদীয় বিরোধী অংশও তাদের সমশ্রেণীর ক্ষমতাসীন
সরকারের আক্রমণের শিকার হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি
ইত্যাদি প্রত্যেকটি দলের শাসন আমলেই দেখা গেছে। এর সব থেকে লক্ষণীয়
বিপজ্জনক দিক হল, শাসক শ্রেণীর এ ফ্যাসিস্ট চরিত্র দিন দিন উগ্র থেকে
উগ্রতর হচ্ছে। বর্তমানে এ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, এর
সঙ্গে সামরিক সরকারের ফ্যাসিবাদের কোনো পার্থক্য করার উপায় নেই।
নামমাত্র একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান এবং তার অধীনে নামমাত্র গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে যেভাবে একের পর এক সরকার গঠিত হয়েছে, এমনকি ১৯৯০ সালের পর থেকেও নির্বাচনের মাধ্যমে যে কয়টি সরকার গঠিত হয়েছে তার মধ্যে গণতান্ত্রিক উপাদানের ক্রমাগত অবক্ষয়ই ঘটতে দেখা গেছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশে তথাকথিত গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মুখোশ একেবারে খসে গেছে। দুনিয়ার সাংবিধানিক ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা হিসেবে যা ঘটেছে তা হল, একটি সম্পূর্ণ ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য (১৫৩) জাতীয় সংসদে ‘নির্বাচিত’ হয়েছে! এসব আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন ছাড়াই প্রার্থীরা ‘নির্বাচিত’ হয়েছেন!! অন্য ১৪৭টি আসনে নির্বাচন হয়েছে ভোটারদের নামমাত্র উপস্থিতিতে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে সরকার ক্ষমতায় বসেছিল, সেটা ফ্যাসিস্ট চরিত্রসম্পন্ন হলেও বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদের দিক দিয়ে আগের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এরা এখন সম্পূর্ণ বেপরোয়া। যেভাবে এরা নির্বাচিত হয়েছে তার সঙ্গে যে এদের বর্তমান বেপরোয়া ফ্যাসিবাদী চরিত্র ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত এতে সন্দেহ নেই। অবস্থা দেখে মনে হয়, এরা জনগণের কোনো তোয়াক্কা আর করে না। কারণ জনগণের ভোট ছাড়াই এরা যেভাবে সাংবিধানিক সরকার গঠন করেছে এ পদ্ধতিতে এরা অন্তত ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকবে, এটা এরা ধরেই নিয়েছে! এছাড়া এদের শক্তির একটা ভিত্তি হয়েছে ভারতের পুরোদস্তুর সমর্থন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় বাংলাদেশের বৈদেশিক পৃষ্ঠপোষক শক্তি হিসেবে ভারতের আধিপত্যই এখানে প্রাধান্যে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশকে এখন ভারতের একটি ‘মক্কেল রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করাটাও কোনো ভুল নয়। শুধু তাই নয়, এই মক্কেলগিরির জোরেই আওয়ামী লীগ সরকার এখন ফ্যাসিস্ট শক্তি হিসেবে একেবারেই বেপরোয়া। জনগণকে এদের আর প্রয়োজন নেই!
এই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এখন জনগণের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সভা-সমিতি, মিছিলের ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ কায়েম রেখেছে। ‘মুক্তাঙ্গন’ নামে ঢাকার যে জায়গাটি দীর্ঘদিন সভা-সমাবেশের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল, সে জায়গাটিতে এরা সভা-সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। অন্যত্র সভা-সমাবেশের জন্যও এরা পুলিশের অনুমতির ব্যবস্থা দীর্ঘদিন থেকেই করে রেখেছে। অর্থাৎ জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এরা নিজেদের আজ্ঞাবাহী পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে!! এভাবে ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে পুলিশ জনগণের ওপর এমন নির্যাতন নেই যা করছে না। সভা-সমিতির অনুমতি না দেয়া, জনগণের ওপর লাঠিবাজি করা, গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা, এমনকি নিরপরাধ মানুষকে খুন করাও এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের নিয়মিত কর্মকাণ্ড। এর জন্য তাদের কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেই! আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী হিসেবে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় এরা প্রতিপালিত হলেও এরা এখন প্রকৃত অর্থে আইনের ঊর্ধ্বে!! তারা অসীম ক্ষমতার অধিকারী!!!
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট দমন কাণ্ডের সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হল, ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে বিএনপির ঘোষিত সমাবেশ বন্ধ করা। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি সত্ত্বেও শেখ হাসিনার সরকার খুব পরিচিত কৌশলেই বিএনপির এই কর্মসূচি পণ্ড করেছে। তারা নিজেদের ছাত্র পায়ের সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের নামিয়েছে বিএনপির সভা বন্ধ করার জন্য। ছাত্রলীগের এই কর্মীরা বড় আকারের মিছিল এবং মোটরসাইকেলের মিছিল করে পুলিশের নাকের ডগায় থেকে বিএনপির সমাবেশ বন্ধের জন্য শক্তি প্রদর্শন করেছে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এলাকায় অশান্তি রোধ করার নামে ১৪৪ ধারা জারি করে বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করেছে। এ এক খুব পরিচিত কৌশল। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশের জায়গায় সরকারি দলের লোক দিয়ে পাল্টা সমাবেশের ব্যবস্থা করে এলাকায় শান্তি ভঙ্গের আশংকার কথা বলে বিরোধীদের কর্মসূচি বানচাল করা। গাজীপুরে তা-ই হয়েছে এবং এক্ষেত্রে লীগ কর্মী নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের গুণ্ডাবাহিনী তাদের পরিচিত ভূমিকা পালন করেছে।
যেভাবে ও যে কৌশলে শেখ হাসিনার সরকার এই দমননীতি পরিচালনা করছে, এটা কোনো শক্তির পরিচায়ক নয়। অন্তর্নিহিত দুর্বলতার কারণেই তাদের এভাবে চলতে হচ্ছে এবং এ দুর্বলতা হল, জনগণ থেকে এদের প্রায়-পরিপূর্ণ বিচ্ছিন্নতা। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, বিদেশী শক্তির ওপর নির্ভরশীল থেকে দমন কর্ম করলে তার পরিণতি কী হয় এর উদাহরণ দুনিয়ায় কম নেই। প্রকৃতি থেকে নিয়ে মানব সমাজ পর্যন্ত সবকিছুই কিছু নিয়মের অধীন। এই নিয়ম কাউকে খাতির করে না। এই নিয়মের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। কাজেই আওয়ামী লীগ যে এ নিয়মকে পাশ কাটিয়ে অথবা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে, এ চিন্তা তাদের বিকারগ্রস্ত মানসিক অবস্থারই পরিচায়ক। কাজেই আওয়ামী লীগ ও তাদের সরকারের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এটা বলার উপায় নেই। প্রকৃতি ও সমাজের অলংঘনীয় নিয়ম অনুযায়ী যে পরিণতি আওয়ামী লীগের জন্য অপেক্ষা করছে, তার মুখোমুখি তাদের অদূর ভবিষ্যতে হতেই হবে।
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
নামমাত্র একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান এবং তার অধীনে নামমাত্র গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে যেভাবে একের পর এক সরকার গঠিত হয়েছে, এমনকি ১৯৯০ সালের পর থেকেও নির্বাচনের মাধ্যমে যে কয়টি সরকার গঠিত হয়েছে তার মধ্যে গণতান্ত্রিক উপাদানের ক্রমাগত অবক্ষয়ই ঘটতে দেখা গেছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশে তথাকথিত গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মুখোশ একেবারে খসে গেছে। দুনিয়ার সাংবিধানিক ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা হিসেবে যা ঘটেছে তা হল, একটি সম্পূর্ণ ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য (১৫৩) জাতীয় সংসদে ‘নির্বাচিত’ হয়েছে! এসব আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন ছাড়াই প্রার্থীরা ‘নির্বাচিত’ হয়েছেন!! অন্য ১৪৭টি আসনে নির্বাচন হয়েছে ভোটারদের নামমাত্র উপস্থিতিতে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে সরকার ক্ষমতায় বসেছিল, সেটা ফ্যাসিস্ট চরিত্রসম্পন্ন হলেও বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদের দিক দিয়ে আগের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এরা এখন সম্পূর্ণ বেপরোয়া। যেভাবে এরা নির্বাচিত হয়েছে তার সঙ্গে যে এদের বর্তমান বেপরোয়া ফ্যাসিবাদী চরিত্র ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত এতে সন্দেহ নেই। অবস্থা দেখে মনে হয়, এরা জনগণের কোনো তোয়াক্কা আর করে না। কারণ জনগণের ভোট ছাড়াই এরা যেভাবে সাংবিধানিক সরকার গঠন করেছে এ পদ্ধতিতে এরা অন্তত ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকবে, এটা এরা ধরেই নিয়েছে! এছাড়া এদের শক্তির একটা ভিত্তি হয়েছে ভারতের পুরোদস্তুর সমর্থন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় বাংলাদেশের বৈদেশিক পৃষ্ঠপোষক শক্তি হিসেবে ভারতের আধিপত্যই এখানে প্রাধান্যে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশকে এখন ভারতের একটি ‘মক্কেল রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করাটাও কোনো ভুল নয়। শুধু তাই নয়, এই মক্কেলগিরির জোরেই আওয়ামী লীগ সরকার এখন ফ্যাসিস্ট শক্তি হিসেবে একেবারেই বেপরোয়া। জনগণকে এদের আর প্রয়োজন নেই!
এই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এখন জনগণের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সভা-সমিতি, মিছিলের ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ কায়েম রেখেছে। ‘মুক্তাঙ্গন’ নামে ঢাকার যে জায়গাটি দীর্ঘদিন সভা-সমাবেশের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল, সে জায়গাটিতে এরা সভা-সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। অন্যত্র সভা-সমাবেশের জন্যও এরা পুলিশের অনুমতির ব্যবস্থা দীর্ঘদিন থেকেই করে রেখেছে। অর্থাৎ জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এরা নিজেদের আজ্ঞাবাহী পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে!! এভাবে ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে পুলিশ জনগণের ওপর এমন নির্যাতন নেই যা করছে না। সভা-সমিতির অনুমতি না দেয়া, জনগণের ওপর লাঠিবাজি করা, গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা, এমনকি নিরপরাধ মানুষকে খুন করাও এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের নিয়মিত কর্মকাণ্ড। এর জন্য তাদের কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেই! আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী হিসেবে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় এরা প্রতিপালিত হলেও এরা এখন প্রকৃত অর্থে আইনের ঊর্ধ্বে!! তারা অসীম ক্ষমতার অধিকারী!!!
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট দমন কাণ্ডের সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হল, ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে বিএনপির ঘোষিত সমাবেশ বন্ধ করা। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি সত্ত্বেও শেখ হাসিনার সরকার খুব পরিচিত কৌশলেই বিএনপির এই কর্মসূচি পণ্ড করেছে। তারা নিজেদের ছাত্র পায়ের সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের নামিয়েছে বিএনপির সভা বন্ধ করার জন্য। ছাত্রলীগের এই কর্মীরা বড় আকারের মিছিল এবং মোটরসাইকেলের মিছিল করে পুলিশের নাকের ডগায় থেকে বিএনপির সমাবেশ বন্ধের জন্য শক্তি প্রদর্শন করেছে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এলাকায় অশান্তি রোধ করার নামে ১৪৪ ধারা জারি করে বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করেছে। এ এক খুব পরিচিত কৌশল। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশের জায়গায় সরকারি দলের লোক দিয়ে পাল্টা সমাবেশের ব্যবস্থা করে এলাকায় শান্তি ভঙ্গের আশংকার কথা বলে বিরোধীদের কর্মসূচি বানচাল করা। গাজীপুরে তা-ই হয়েছে এবং এক্ষেত্রে লীগ কর্মী নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের গুণ্ডাবাহিনী তাদের পরিচিত ভূমিকা পালন করেছে।
যেভাবে ও যে কৌশলে শেখ হাসিনার সরকার এই দমননীতি পরিচালনা করছে, এটা কোনো শক্তির পরিচায়ক নয়। অন্তর্নিহিত দুর্বলতার কারণেই তাদের এভাবে চলতে হচ্ছে এবং এ দুর্বলতা হল, জনগণ থেকে এদের প্রায়-পরিপূর্ণ বিচ্ছিন্নতা। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, বিদেশী শক্তির ওপর নির্ভরশীল থেকে দমন কর্ম করলে তার পরিণতি কী হয় এর উদাহরণ দুনিয়ায় কম নেই। প্রকৃতি থেকে নিয়ে মানব সমাজ পর্যন্ত সবকিছুই কিছু নিয়মের অধীন। এই নিয়ম কাউকে খাতির করে না। এই নিয়মের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। কাজেই আওয়ামী লীগ যে এ নিয়মকে পাশ কাটিয়ে অথবা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে, এ চিন্তা তাদের বিকারগ্রস্ত মানসিক অবস্থারই পরিচায়ক। কাজেই আওয়ামী লীগ ও তাদের সরকারের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এটা বলার উপায় নেই। প্রকৃতি ও সমাজের অলংঘনীয় নিয়ম অনুযায়ী যে পরিণতি আওয়ামী লীগের জন্য অপেক্ষা করছে, তার মুখোমুখি তাদের অদূর ভবিষ্যতে হতেই হবে।
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
No comments