নিউইয়র্ক টাইমস’র সম্পাদকীয় মন্তব্যে ট্রাইব্যুনালের বিস্ময়
বাংলাদেশে
কর্মরত বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের শাস্তি নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এর
সম্পাদকীয় মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
একই বিষয়ে বাংলাদেশের ৫০ বিশিষ্ট নাগরিকের দেয়া বিবৃতির পূর্ণাঙ্গ
অনুলিপিও তলব করেছে ট্রাইব্যুনাল। প্রথম আলো সম্পাদককে ওই বিবৃতির অনুলিপি
৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দিতে বলা
হয়েছে। আজ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেয়।
বিবৃতির অনুলিপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ
ব্যাপারে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে। গত ২রা ডিসেম্বর আদালত অবমাননার দায়ে দোষী
সাব্যস্ত করে ইংরেজি দৈনিক নিউএজের বিশেষ প্রতিনিধি ডেভিড বার্গম্যানকে
পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে সাত দিনের কারাদ- দেয়া হয়। এ রায়ের পর
নানা মহল থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২০শে ডিসেম্বর প্রথম
আলো’তে প্রকাশিত ৫০ নাগরিকের বিবৃতি ও ২৩শে ডিসেম্বর নিউইয়র্ক টাইমস এ
প্রকাশিত সম্পাদকীয় আমলে নিয়ে রোববার স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সম্পাদীয় মন্তব্য
এবং বিবৃতি ভুল ধারণা থেকে করা এবং তা স্বীকৃত সীমার লংঘন। এটা দেখে আমরা
বিস্মিত হয়েছি যে, প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস এর
সম্পাদকীয় বোর্ড এমন মন্তব্য করতে পারে যে, ট্রাইব্যুনাল যে ন্যায় বিচারের
সন্ধানে রয়েছে সে ন্যায় বিচার যদি তারা চায় তাহলে ট্রাইব্যুনালের উচিত
অনতিবিলম্বে বার্গম্যানের শাস্তি প্রত্যাহার করা। এটা বুঝতে আমরা অক্ষম
নিউইয়র্ক টাইমস এর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদপত্র কিভাবে একটি
স্বাধীন দেশের আদালতকে বার্গম্যানের সাজা প্রত্যাহার করতে বলতে পারে।
No comments