সুযোগ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে: পাচৌরি
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তসরকারি প্যানেলের (আইপিসিসি) প্রধান রাজেন্দ্র পাচৌরি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে হলে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। কেননা, ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ দ্রুত চলে যাচ্ছে। খবর গার্ডিয়ান ও রয়টার্সের। পেরুর রাজধানী লিমায় গত সোমবার ১২ দিনব্যাপী সম্মেলনের শুরুতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সামনে এই সাবধানবাণী উচ্চারণ করেন পাচৌরি। আইপিসিসির বিজ্ঞানীরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনিরাময়যোগ্য। ইতিমধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে গেছে শূন্য দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দ্রুতগতিতে গলছে হিমবাহ। এর ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যেতে পারে। তলিয়ে যেতে পারে অনেক ছোট দ্বীপদেশসহ বিশ্বের বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা। আগামী বছর প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি হওয়ার কথা। লিমা সম্মেলনে সে বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি হওয়ার কথা। জাতিসংঘের লক্ষ্য, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র উল্টো পথে?: প্যারিসের সম্ভাব্য চুক্তিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কার্বন নিঃসরণের সীমা নির্ধারণ করবে।
এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, চুক্তিতে থাকা সেসব প্রতিশ্রুতির কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা থাকবে কি না। লিমা সম্মেলনে ইইউয়ের প্রতিনিধিদলের প্রধান এলিনা বারড্রাম যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কার্বন নিঃসরণের বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে ফল পেতে গেলে এটাই একমাত্র পথ। এই প্রথমবারের মতো ইইউয়ের পক্ষ থেকে আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়টি তুলে ধরা হলো। ইতিমধ্যে ইইউ ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের কার্বন নিঃসরণ ১৯৯০ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনবে। ঘোষিত বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, ইইউয়ের এ অবস্থানের একেবারে বিপরীতে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তারা চায়, নিঃসরণ হ্রাসের বিষয়টি দেশগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া হোক। এতে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা রাখার বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র। তবে সোমবার ইইউয়ের ঘোষণার পর জলবায়ু সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের কাউকে এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য পাওয়া যায়নি।
No comments