ইরাকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র তথ্যযুদ্ধ
আইএস’র ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান : যুক্তরাষ্ট্র যুগান্তর ডেস্ক
ইরাকের পূর্বাঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তুতে
সম্প্রতি বিমান হামলা চালিয়েছে ইরান। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের
মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কারবি মঙ্গলবার বলেন, ইরাকে আইএসের
লক্ষ্যবস্তুতে গত কয়েকদিন ধরে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইরান। তবে ইরানের বিমান
হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সমন্বয় নেই। যুক্তরাষ্ট্র গত আগস্টে
ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে প্রথম বিমান অভিযান চালায়। গত সেপ্টেম্বর মাসের
শেষের দিকে সিরিয়াতেও আইএসবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ও
এর মিত্র দেশগুলো অংশ নেয়। সিরিয়ায় বিমান হামলায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব
আমিরাত, জর্ডান, বাহরাইন, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, কানাডা,
ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ড অংশ নিচ্ছে। ইরাকের দিয়ালা প্রদেশে
আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের বিমান বাহিনী হামলা করার পর পেন্টাগনের
মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কারবি এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,
‘আমাদের কাছে এমন ইঙ্গিত আছে যে, ইরান সুনিশ্চিতভাবে গত কয়েক দিনে এফ-৪
ফ্যানটমস বিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে।’
দুর্বল হয়ে পড়েছে আইএস : কেরি
ইরাক এবং সিরিয়ায় এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার বিমান হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দলটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণের ক্ষমতাও কমেছে। সিরিয়ায় আইএসের কমান্ড কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বুধবার এ কথা বলেছেন। ব্রাসেলসের ন্যাটো সদর দফতরে জোট বাহিনীর কর্মকর্তাদের বৈঠকে কেরি বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের বিষয়টি হিসাব করতে গেলে বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে।
হামলা চালানো হয়নি : ইরান
যুগান্তর ডেস্ক
ইরাকে আইএসের অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর খবর কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ জেনারেল মাসুদ জাজাইরি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজকে জানিয়েছেন, পশ্চিমা গণমাধ্যম এ সম্পর্কে যে খবর দিয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য। কিছু কিছু পশ্চিমা গণমাধ্যম মঙ্গলবার খবর দিয়েছে, ইরানি জঙ্গি বিমান মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ইরাকে আইএসের অবস্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে। অবশ্য বুধবার ওইসব গণমাধ্যম জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয় না করেই ওই হামলা চালিয়েছে ইরান। জেনারেল মাসুদ জাজাইরি আরও বলেন, ইরান মনে করে- ইরাকের চলমান অস্থিতিশীলতা ও তাকফিরি সন্ত্রাসীদের মানবতাবিরোধী তৎপরতাসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব সংকটের মূলে রয়েছে আমেরিকা। আমেরিকাসহ আঞ্চলিক কিছু দেশের সমর্থন ও ষড়যন্ত্রের কারণেই আইএস ইরাক ও সিরিয়ায় ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে এবং মানুষ হত্যা করছে। এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্জিয়ে আফখাম অন্য এক বিবৃতিতে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ইরাক ও সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকে সব রকম পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাবে তেহরান। তবে অন্য দেশের ভেতরে সামরিক অভিযানে অংশ নেবে না ইরান।
দুর্বল হয়ে পড়েছে আইএস : কেরি
ইরাক এবং সিরিয়ায় এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার বিমান হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দলটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণের ক্ষমতাও কমেছে। সিরিয়ায় আইএসের কমান্ড কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বুধবার এ কথা বলেছেন। ব্রাসেলসের ন্যাটো সদর দফতরে জোট বাহিনীর কর্মকর্তাদের বৈঠকে কেরি বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের বিষয়টি হিসাব করতে গেলে বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে।
হামলা চালানো হয়নি : ইরান
যুগান্তর ডেস্ক
ইরাকে আইএসের অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর খবর কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ জেনারেল মাসুদ জাজাইরি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজকে জানিয়েছেন, পশ্চিমা গণমাধ্যম এ সম্পর্কে যে খবর দিয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য। কিছু কিছু পশ্চিমা গণমাধ্যম মঙ্গলবার খবর দিয়েছে, ইরানি জঙ্গি বিমান মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ইরাকে আইএসের অবস্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে। অবশ্য বুধবার ওইসব গণমাধ্যম জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয় না করেই ওই হামলা চালিয়েছে ইরান। জেনারেল মাসুদ জাজাইরি আরও বলেন, ইরান মনে করে- ইরাকের চলমান অস্থিতিশীলতা ও তাকফিরি সন্ত্রাসীদের মানবতাবিরোধী তৎপরতাসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব সংকটের মূলে রয়েছে আমেরিকা। আমেরিকাসহ আঞ্চলিক কিছু দেশের সমর্থন ও ষড়যন্ত্রের কারণেই আইএস ইরাক ও সিরিয়ায় ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে এবং মানুষ হত্যা করছে। এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্জিয়ে আফখাম অন্য এক বিবৃতিতে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ইরাক ও সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকে সব রকম পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাবে তেহরান। তবে অন্য দেশের ভেতরে সামরিক অভিযানে অংশ নেবে না ইরান।
No comments