রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়েছে
রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের দুর্বৃত্তায়ন বন্ধের জন্য সরকারকে এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংসতা ও সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি বন্ধে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে এবং সহিংসতার দায় একে অপরের ওপর চাপানোর সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। গতকাল মানবাধিকার সংগঠন অধিকার নভেম্বর মাসের প্রতিবেদনে এসব দাবি জানিয়েছে। অধিকারের তথ্য মতে, নভেম্বর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৯ জন নিহত এবং ৮৫৪ জন আহত হয়েছেন। এই মাসে আওয়ামী লীগের ৪৭টি এবং বিএনপির ৫টি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে ও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে ৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন। নিহত ৬ জনের মধ্যে ৫ জন তথাকথিত ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন পুলিশের হাতে এবং ৩ জন র্যাবের হাতে নিহত হয়েছেন। অধিকার মনে করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- অব্যাহত থাকায় দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা প্রতিনিয়তই হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে এবং সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক পরিম-ল এবং মানবাধিকার কর্মীদের কাছে দেয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ করে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের পায়ে গুলি করার একটি নতুন প্রবণতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেজনক। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কিন্তু দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে দায়মুক্তির সংস্কৃতিকেই আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করছেন। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে নির্বিচারে গুলির ঘটনা ঘটেই চলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকেরই কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভিকটিমদের পরিবারগুলোর দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তাদের ধরে নিয়ে গেছে এবং এরপর থেকে তারা গুম হয়েছেন অথবা পরে কারও কারও লাশ পাওয়া গেছে। গুম মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের একটি হাতিয়ার। গুম হওয়া ব্যক্তিরা প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হন এবং তাদের জীবন নিয়ে তারা ভীতসন্ত্রস্ত থাকেন। তাদের সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এমনকি তারা আইনি সুরক্ষা থেকেও বঞ্চিত থাকেন। অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত মাসে দুই ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ২০০৯ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১৪-এর নভেম্বর পর্যন্ত ১৬৪ জন গুম হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
অধিকার-এর তথ্য অনুযায়ী নভেম্বর মাসে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ ৪ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে ১ জন গুলিতে ও ৩ জন নির্যাতনে মারা গেছেন। বিএসএফ মোট ৫ জনকে আহত করেছে। এর মধ্যে ১ জন গুলিতে, ২ জন নির্যাতনে এবং ২ জন বিএসএফ-এর ছুড়ে মারা বোমার আঘাতে আহত হন। একই সময়ে বিএসএফ-এর হাতে অপহৃত হয়েছেন ১২ জন বাংলাদেশী।
অধিকার তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত মাসে কারাগারে অসুস্থতায় ৫ জন মারা গেছেন। গণপিটুনিতে সারা দেশে নিহত হয়েছেন আটজন। এ ছাড়া সারা দেশে ৩৯ নারী যৌন হয়রানির শিকার, ৩৪ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার, চারজন এসিড নিক্ষেপের শিকার ও ৫৪ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত মাসে চারজন সাংবাদিক আহত, একজন হুমকির সম্মুখীন এবং ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অধিকার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, নাগরিকদের বিভিন্ন মন্তব্য বা মতপ্রকাশের প্রতি বিদ্বেষবশত তাদেরকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এতে রাষ্ট্রকে একটা ঠুনকো বিষয়ে যেমন পরিণত করা হচ্ছে, একই সঙ্গে এই ধরনের অভিযোগ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা হরণ করার প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সর্বোচ্চ শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে মৃত্যুদ-। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোন নাগরিককে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ হিসেবে অভিযুক্ত করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠছে তা বাংলাদেশকে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার মধ্যে ঠেলে দেবে। অধিকারের প্রতিবেদনে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল বিরোধী রাজনৈতিক দলের ও মতের অনেক সভা-সমাবেশে বাধা দিচ্ছে এবং হামলা চালাচ্ছে। সভা-সমবেশে বাধা এবং হামলার করার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করা। অধিকারের হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ ক্ষমতাসীন দল সমর্থক রাজনৈতিক ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকেরই কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভিকটিমদের পরিবারগুলোর দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তাদের ধরে নিয়ে গেছে এবং এরপর থেকে তারা গুম হয়েছেন অথবা পরে কারও কারও লাশ পাওয়া গেছে। গুম মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের একটি হাতিয়ার। গুম হওয়া ব্যক্তিরা প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হন এবং তাদের জীবন নিয়ে তারা ভীতসন্ত্রস্ত থাকেন। তাদের সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এমনকি তারা আইনি সুরক্ষা থেকেও বঞ্চিত থাকেন। অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত মাসে দুই ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ২০০৯ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১৪-এর নভেম্বর পর্যন্ত ১৬৪ জন গুম হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
অধিকার-এর তথ্য অনুযায়ী নভেম্বর মাসে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ ৪ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে ১ জন গুলিতে ও ৩ জন নির্যাতনে মারা গেছেন। বিএসএফ মোট ৫ জনকে আহত করেছে। এর মধ্যে ১ জন গুলিতে, ২ জন নির্যাতনে এবং ২ জন বিএসএফ-এর ছুড়ে মারা বোমার আঘাতে আহত হন। একই সময়ে বিএসএফ-এর হাতে অপহৃত হয়েছেন ১২ জন বাংলাদেশী।
অধিকার তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত মাসে কারাগারে অসুস্থতায় ৫ জন মারা গেছেন। গণপিটুনিতে সারা দেশে নিহত হয়েছেন আটজন। এ ছাড়া সারা দেশে ৩৯ নারী যৌন হয়রানির শিকার, ৩৪ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার, চারজন এসিড নিক্ষেপের শিকার ও ৫৪ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত মাসে চারজন সাংবাদিক আহত, একজন হুমকির সম্মুখীন এবং ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অধিকার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, নাগরিকদের বিভিন্ন মন্তব্য বা মতপ্রকাশের প্রতি বিদ্বেষবশত তাদেরকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এতে রাষ্ট্রকে একটা ঠুনকো বিষয়ে যেমন পরিণত করা হচ্ছে, একই সঙ্গে এই ধরনের অভিযোগ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা হরণ করার প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সর্বোচ্চ শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে মৃত্যুদ-। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোন নাগরিককে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ হিসেবে অভিযুক্ত করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠছে তা বাংলাদেশকে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার মধ্যে ঠেলে দেবে। অধিকারের প্রতিবেদনে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল বিরোধী রাজনৈতিক দলের ও মতের অনেক সভা-সমাবেশে বাধা দিচ্ছে এবং হামলা চালাচ্ছে। সভা-সমবেশে বাধা এবং হামলার করার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করা। অধিকারের হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ ক্ষমতাসীন দল সমর্থক রাজনৈতিক ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে।
No comments