ডিসিসির প্রশাসকের মেয়াদ এক বছর হচ্ছে
বিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের মেয়াদ ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সংশোধন করা হচ্ছে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। শিগগিরই তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আইন সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।
তবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একান্ত সচিব ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) অশোক মাধব রায় যুগান্তরকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকদের মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ মন্ত্রিসভায় তোলা হবে তা বলা মুশকিল।
বিদ্যমান স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত প্রশাসকরা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তাদের মেয়াদ হবে ১৮০ দিন বা ছয় মাস। ২০১১ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগ করা হয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে সরকারি কর্মকর্তাদেরই প্রশাসক পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান এবং ঢাকা উত্তরের দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিল। মে মাসে তাদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। চলতি মাসেই তাদের নিয়োগের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার উভয় সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সবুজ সংকেত নেই। কবে নাগাদ নির্বাচন হবে তাও সরকারের শীর্ষমহল ছাড়া কেউই বলতে পারছেন না। ছয় মাস অন্তর অন্তর প্রশাসক বদলের সময় গণমাধ্যমে এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, প্রশাসকের মেয়াদ এক বছর করা হলে গণমাধ্যমের সমালোচনা কমে যাবে। অন্যদিকে আমলাদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক প্রশাসক নিয়োগেরও একটি বিষয় চাউর আছে। আগামীতে রাজনৈতিক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। রাজনৈতিক বা আমলা যে ধরনের প্রশাসকই নিয়োগ হোক না কেন, মেয়াদ বাড়ানো হলে সরকারের জন্যই তা ভালো হবে।
সরকারের উচ্চ মহলের সবুজ সংকেত পেয়েই বিদ্যমান আইনের প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ১৮০ দিনের পরিবর্তে ৩৬৫ দিন করে প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত নথি তৈরি না করে স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের কক্ষে বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে করা হয়। সেখান থেকে সচিবের অনুমোদন নিয়ে রোববার রাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করার জন্য তদবিরও করা হয়। তবে এদিন মন্ত্রিসভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়নি। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা উপস্থাপন করা হতে পারে।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০০২ সালের এপ্রিলে। নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা। এরপর টানা প্রায় ১০ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৭ সালের ১৫ মে ডিসিসিও মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ অবস্থায় ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর ডিসিসি দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। এরপর ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল বিভক্ত ডিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয় ২৪ মে। কিন্তু ভোটার তালিকা আর সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় আটকে যায় নির্বাচন। এরপর ২০১৩ সালের ১৩ মে উচ্চ আদালত ডিসিসি নির্বাচনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। উচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও রহস্যজনক কারণে আটকে আছে উভয় সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আইন সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।
তবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একান্ত সচিব ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) অশোক মাধব রায় যুগান্তরকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকদের মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ মন্ত্রিসভায় তোলা হবে তা বলা মুশকিল।
বিদ্যমান স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত প্রশাসকরা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তাদের মেয়াদ হবে ১৮০ দিন বা ছয় মাস। ২০১১ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগ করা হয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে সরকারি কর্মকর্তাদেরই প্রশাসক পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান এবং ঢাকা উত্তরের দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিল। মে মাসে তাদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। চলতি মাসেই তাদের নিয়োগের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার উভয় সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সবুজ সংকেত নেই। কবে নাগাদ নির্বাচন হবে তাও সরকারের শীর্ষমহল ছাড়া কেউই বলতে পারছেন না। ছয় মাস অন্তর অন্তর প্রশাসক বদলের সময় গণমাধ্যমে এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, প্রশাসকের মেয়াদ এক বছর করা হলে গণমাধ্যমের সমালোচনা কমে যাবে। অন্যদিকে আমলাদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক প্রশাসক নিয়োগেরও একটি বিষয় চাউর আছে। আগামীতে রাজনৈতিক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। রাজনৈতিক বা আমলা যে ধরনের প্রশাসকই নিয়োগ হোক না কেন, মেয়াদ বাড়ানো হলে সরকারের জন্যই তা ভালো হবে।
সরকারের উচ্চ মহলের সবুজ সংকেত পেয়েই বিদ্যমান আইনের প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ১৮০ দিনের পরিবর্তে ৩৬৫ দিন করে প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত নথি তৈরি না করে স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের কক্ষে বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে করা হয়। সেখান থেকে সচিবের অনুমোদন নিয়ে রোববার রাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করার জন্য তদবিরও করা হয়। তবে এদিন মন্ত্রিসভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়নি। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা উপস্থাপন করা হতে পারে।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০০২ সালের এপ্রিলে। নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা। এরপর টানা প্রায় ১০ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৭ সালের ১৫ মে ডিসিসিও মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ অবস্থায় ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর ডিসিসি দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। এরপর ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল বিভক্ত ডিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয় ২৪ মে। কিন্তু ভোটার তালিকা আর সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় আটকে যায় নির্বাচন। এরপর ২০১৩ সালের ১৩ মে উচ্চ আদালত ডিসিসি নির্বাচনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। উচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও রহস্যজনক কারণে আটকে আছে উভয় সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন।
No comments